
মৌলভীবাজার জেলা প্রতিনিধি : মৌলভীবাজারে শ্রীমঙ্গলে মহালয়া তিথি উপলক্ষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে ।
১৪ অক্টোবর (২৬ আশ্বিন), শনিবার ভোর ৬ টায় বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ শ্রীমঙ্গল শাখার আয়োজনে সূর্য উদয়ের আগের মহালয়ে বরণ করতে শ্রীমঙ্গল কলেজ রোডস্থ শ্রীমঙ্গলেশ্বরী কালীবাড়ি মন্দিরে গীতা পাঠ, ধর্মীয় ভক্তিমূলক গান ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন শ্রীমঙ্গল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ভানু লাল রায়, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের শ্রীমঙ্গল পৌর শাখার সভাপতি ডা: হরিপদ রায়, উপজেলা মহিলা ভাইস্ চেয়ারম্যান মিতালী দত্ত, সাবেক মহিলা ভাইস্ চেয়ারম্যান জয়শ্রী চৌধুরী শিখা, শ্রীমঙ্গল শ্রী শ্রী নিমাই শিববাড়ি ও দয়াময়ী কালীবাড়ি পরিচালনা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক জহর তরফদার, শ্রীমঙ্গল উপজেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক বিকুল চক্রবর্তী, ভিক্টোরিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অয়ণ চৌধুরী সহ প্রমুখ।
চারিদিকে পুজো পুজো গন্ধ। আশ্বিনের 'শারদ প্রাতে' আলোকবেণু বাজতে আর হাতে গোনা দিনের অপেক্ষা। মহালয়ার দিন পিতৃপক্ষের অবসান হয়ে, মাতৃপক্ষ শুরু হয়। সেদিনই আক্ষরিক অর্থে দুর্গাপুজোর সূচনা হয়। কথিত আছে মহালয়ার দিন অসুর ও দেবতাদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছিলো।
মহালয়ার দিন পিতৃ পুরুষদের উদ্দেশ্যে তর্পণ করার রীতি প্রচালিত আছে। এদিনই দেবীর দুর্গার চক্ষুদান হয়। শুধুমাত্র কোনও নারীশক্তির কাছে তার পরাজয় নিশ্চিত। অসুরদের অত্যাচারে যখন দেবতারা অতিষ্ঠ, তখন ত্রিশক্তি ব্রহ্মা, বিষ্ণু ও মহেশ্বর নারীশক্তির সৃষ্টি করেন। তিনিই মহামায়ারূপী দেবী দুর্গা। দেবতাদের দেওয়া অস্ত্র দিয়ে মহিষাসুরকে বধ করেন দুর্গা। এই জন্যেই বিশ্বাস করা হয় যে, এই উৎসব খারাপ শক্তির বিনাশ করে শুভশক্তির বিজয় হবে।
মহালয়ার দিন ভোরে বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের কন্ঠে মহিষাসুরমর্দিনীর শোনার রীতি বাঙালির যুগ যুগ ধরে চলে আসছে। মহালয়ার আগে ১৫ দিন চলে পিতৃপক্ষ।
উমার মর্তে আগমনের আগে পিতৃপক্ষের শেষে পিতৃ তর্পণ ঘিরে হিন্দু ধর্মে নানা রীতিনীতি রয়েছে। শাস্ত্র মতে কোনও মৃত ব্যক্তির শ্রাদ্ধ শান্তি করলে, তাঁর আত্মা প্রশান্তি লাভ করে এবং সেই আত্মা মুক্তি লাভে সক্ষম হয়। চারিদিকে পুরদস্তুর শুরু হয়ে যায় দুর্গাপুজোর প্রস্তুতি।
ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন
আপনার মতামত লিখুন: