ঢাকা  মঙ্গলবার, ৬ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ; ২০শে মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ          সরকারি নিবন্ধন নং ৬৮

spot_img
HomeUncategorizedচিলড্রেন রিসার্চ ফান্ড পেলো ৯ জন শিক্ষার্থী

চিলড্রেন রিসার্চ ফান্ড পেলো ৯ জন শিক্ষার্থী

বাংলাদেশ বিজ্ঞান জনপ্রিয়করণ সমিতির কার্যালয়ে চিলড্রেন রিসার্চ ফান্ড-এর ৯ জন নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের গবেষণার জন্য অনুদান এবং উপকরণ হস্তান্তর করা হয়েছে।

চিলড্রেন রিসার্চ ফান্ড বাংলাদেশের মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের ক্ষুদে গবেষকদের জন্য একটি গবেষণা সহায়ক প্রোগ্রাম। ষষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের বিজ্ঞান ও গবেষণায় আগ্রহী করে তোলার লক্ষ্যে বাংলাদেশ বিজ্ঞান জনপ্রিয়করণ সমিতি (এসপিএসবি) এবং মাকসুদুল আলম বিজ্ঞানাগার (ম্যাসল্যাব) যৌথভাবে এই উদ্যোগ বাস্তবায়ন করছে। এ প্রোগ্রামের আওতায় শিক্ষার্থীরা তাদের নিজস্ব গবেষণা প্রকল্পের জন্য প্রয়োজনীয় সহযোগিতা, সরঞ্জাম এবং প্রশিক্ষণ পাবে। শিক্ষার্থীরা ভৌত বিজ্ঞান, জীববিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও রোবটিকস, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন, সামাজিক বিজ্ঞান, কৃষি এবং শিক্ষা বিষয়ক গবেষণার জন্য আবেদন করে।

ফান্ডের জন্য শিক্ষার্থীদের একটি ধারণাপত্র বা কনসেপ্ট পেপার জমা দিয়েছে, যেখানে গবেষণার নাম, বিষয়, পদ্ধতি, উদ্দেশ্য এবং সম্ভাব্য ফলাফল সংক্ষেপে উল্লেখ করতে হয়েছে। ধারণাপত্র গৃহীত হওয়ার পর শিক্ষার্থীদের বিস্তারিত গবেষণা প্রস্তাব জমা দিতে হয়েছে যেখানে গবেষণার পদ্ধতি, সম্ভাব্য প্রভাব, প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম ও তাদের খরচ, ল্যাব বা প্রশিক্ষণের প্রয়োজনীয়তা এবং মেন্টরের সুপারিশপত্র উল্লেখ করা হয়েছিল। এ বছর জমাকৃত প্রায় দেড় শতাধিক ধারণাপত্র থেকে ৫৪ জন শিক্ষার্থীকে প্রাথমিকভাবে বাছাই করা হয়। এরপর গৃহীত ধারণাপত্রের ভিত্তিতে শিক্ষার্থীদের জন্য গবেষণা প্রস্তাব কীভাবে লিখতে হবে , বৈজ্ঞানিক কার্যপদ্ধতি অনুসরণ করে এক্সপেরিমেন্ট ডিজাইন, গবেষণার বাজেট প্রস্তাবনা- বিষয়ে তিনটি অনলাইন কর্মশালা আয়োজন করা হয়েছে।

বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলার ক্ষুদে গবেষকদের মধ্যে এই কোহোর্টে ৭ম থেকে ১২শ শ্রেণির ৯ জন ( ৫ জন মেয়ে এবং ৪ জন ছেলে) শিক্ষার্থী ফান্ড পাওয়ার জন্য মনোনীত হয়েছে। এদের মধ্যে রয়েছে নটরডেম কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী শুভাশিস হালদার, চট্টগ্রামের গভর্নমেন্ট সিটি কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী মৃত্তিকা দে ও স্বস্তিকা দে , মতিঝিল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী আলী আহসান, রাজউক উত্তরা মডেল কলেজের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী মুয়াম্মার দাইয়ান অরিত্র ও মুহাইমেনুল ইসলাম নাফিস, একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী নাহিয়ান পারিন ইফা, ওয়াইডব্লিউসিএ উচ্চ মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণীর শিক্ষার্থী রূদাইবা তারান্নুম ও নুসাইবা তাজরীন তানিশা।

গবেষণাগুলোর মধ্যে রয়েছে স্বয়ংক্রিয স্যালাইন নিয়ন্ত্রণ এর উদ্ভাবনী ব্যবস্থার প্রস্তাবনা, সক্রিয় ডেলিভারি রোবট সিস্টেমের কার্যক্ষমতা বাড়ানো,বাংলাদেশের বায়ু দূষণ হ্রাস করার ক্ষেত্রে ভার্টিক্যাল গার্ডেনের কার্যকারিতা পরীক্ষার জন্য আরডুইনো মডেল তৈরি , নবায়নযোগ্য শক্তি সোলার প্যানেলের ক্ষমতা বাড়ানোর উপায় ,অ্যাসকরবিক অ্যাসিড দ্বারা মেট্রোনিডাজলকে জৈব নিষ্ক্রিয় রূপে রূপান্তর করার জন্য কার্যকারিতা মূল্যায়ন করা। এই গবেষণাগুলো পরিচালিত হবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনসহ আরও কিছু প্রতিষ্ঠানের স্বনামধন্য ল্যাবে।

ক্ষুদে গবেষকদের অনুপ্রেরণা যোগাতে ও গবেষণার অনুদান প্রদানের জন্য অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ড. বি এম মইনুল হোসেন, পরিচালক, তথ্য প্রযুক্তি ইনস্টিটিউট, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। এ বিষয়ে তিনি বলেন, “স্কুল পর্যায়ে এ ধরনের গবেষণা দেশে আরো হওয়া উচিত, পড়াশোনাকে মূল কাঠামো ধরে পাশাপাশি খেলার ছলে গবেষণা করলে উচ্চশিক্ষা গ্রহনের ক্ষেত্রে অনেক এগিয়ে থাকার সুযোগ রয়েছে।”

এই প্রোগ্রাম ভবিষ্যৎ বিজ্ঞানীদের সৃজনশীল চিন্তা এবং উদ্ভাবনী ক্ষমতাকে বিকশিত করার সুযোগ করে দিবে বলে

RELATED ARTICLES
- Advertisment -
Google search engine

Most Popular