নীলফামারী প্রতিনিধি : নীলফামারীর সৈয়দপুরে ব্যক্তি মালিকাধীন জমি দখলের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন শিল্পপতি মো. মোস্তফা। সেই সাথে সীমানা প্রাচীর নির্মাণ কাজে সন্ত্রাসী কায়দায় হামলা চালিয়ে বাধা দেয়া ও মালামাল লুট করা হয়েছে। মিথ্যে প্রোপাগান্ডা চালিয়ে বখাটেদের সংঘবদ্ধ করে এক যুবক এই ঘটনা ঘটিয়েছে। এর প্রতিবাদ করায় মানববন্ধন করে তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে অপপ্রচার চালানো হয়েছে।
তিনি অভিযোগ করেন, সৈয়দপুর শহরের নতুন বাবুপাড়া মহল্লার কতিপয় উছৃংখল তরুণ আমার ছেলে মো. সরফরাজের সাত শতক জমি দখল করতে আসেন। তাঁরা ওই জমির টিনের বেড়া ভেঙ্গে ফেলে এবং নির্মাণ সামগ্রী লুট করে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় তিনি সৈয়দপুর থানায় মামলা করেছেন বলে জানান।
সোমবার দুপুরে (৫ মে) সৈয়দপুর বিসিক শিল্প নগরীতে মো. মোস্তফার মালিকাধীন গাউসিয়া মেজর অটোমেটিক ফ্লাওয়ার মিলে ওই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে মো. মোস্তফা লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান। তিনি এতে উল্লেখ করেন সৈয়দপুর শহরে ৫০ বছর ধরে সুনামের সাথে ব্যবসা করে আসছেন। অথচ তাঁকে ভূমিদস্যু বলে অপপ্রচারে নেমেছেন রোটারী ক্লাব সৈয়দপুরের প্রেসিডেন্ট ইলেক্ট মোবাস্বির প্রিন্স এমাদি ও তাঁর বাবা আফতাব আলম জুবায়ের এমাদি।
মো. মোস্তফা বলেন, আমাদের বাড়ি সৈয়দপুর শহরের নতুন বাবুপাড়া মহল্লার পৌরসভা সড়কে। সেখানে আমার নিজস্ব দ্বিতল ভবন রয়েছে। বাড়িটির উত্তর পাশে সরকারি খাস জমিতে রোটারী ক্লাব সৈয়দপুরের অবস্থান। এর পাশে রয়েছে আমার ছেলে মো. সরফরাজের মালিকাধীন আরও সাত শতক জায়গা। ওই জমিতে বাড়ির করার লক্ষ্যে একটি বেসরকারি ব্যাংক থেকে ঋন নেওয়া হয়। যার নকশা সৈয়দপুর পৌরসভা অনুমোদন করা হয়। বাড়ি নির্মাণের আয়োজনের মধ্যেই গত ২৩ এপ্রিল মোবাস্বির প্রিন্স এমাদি ও এলাকার কিছু উছৃংখল তরুণ কে নিয়ে ওই জমি দখল করতে আসে। এসময় তারা টিনের বেড়া ভেঙ্গে ফেলে এবং এর ভেতরে থাকা নির্মাণ সামগ্রী লুটপাট করেন। ওইদিনই আমরা ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে সৈয়দপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করি। মোবাস্বির প্রিন্স এমাদি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে (ফেসবুক) আমাকে ভূমিদস্যু উল্লেখ করে অপপ্রচার চালায়। এতে করে আমি সামাজিকভাবে হেয় হয়েছি। আমার দীর্ঘদিনের সুনাম ক্ষুন্ন হয়েছে। আমি উছৃংখল ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার দাবি করছি।
এনিয়ে কথা হয় রোটারী ক্লাব সৈয়দপুরের প্রেসিডেন্ট ইলেক্ট মোবাস্বির প্রিন্স এমাদির সাথে। তিনি বলেন, অভিযোগ সত্য নয়। বিবাদমান সাত শতক জমিটি সরকারি খাস সম্পত্তি। যা এলাকার ছেলেরা খেলার মাঠ হিসাবে ব্যবহার করে আসছিল। অথচ তিনি ওই জমি ঘিরে নিয়ে এলাকায় অশান্তি সৃুষ্টি করেছেন। আমরা খেলার মাঠটি ঠেরত চাই। এছাড়া বিষয়টি সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও পৌর প্রশাসক কে জানানো হয়েছে।
এ ব্যাপারে সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও পৌর প্রশাসক নূর-ই আলম সিদ্দিকী জানান, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এরপর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সংবাদ সম্মেলনে এসময় উপস্থিত ছিলেন তাঁর ছেলে মো. সারফরাজ, কন্ট্রাক্টর কাজী সমসের আলী, উর্দুভাষী ক্যাম্প উন্নয়ন কমিটির সভাপতি মাজিদ ইকবাল প্রমুখ।