নান্দাইল প্রতিনিধি: ময়মনসিংহের নান্দাইলে দীর্ঘ সাত মাস পর আদালতের নির্দেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত জুয়েলের (৩০) মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য কবর থেকে উত্তোলনে পরিবারের বাধা। এতে কয়েক ঘন্টা অপেক্ষারপর ফিরে চলেযান উপজেলার সহকারী কমিশনার(ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্র্যাট মো. ফয়জুর রহমান।যদিও এর আগে মামলার বাদী নিহতের স্ত্রীর কাছ থেকে একটি লিখিত নেওয়া হয়েছিল।
সোমবার নান্দাইল উপজেলার আচারগাঁও ইউনিয়নের সিংদই গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটে।
জানাযায়,গত বছরের ৫ই আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গাজীপুরের মাওনা এলাকায় পুলিশের গুলিতে নিহত হন সিংদই গ্রামের আব্দুল হাইয়ের পুত্র গার্মেন্টসকর্মী জুয়েল মিয়া। ওই দিন রাতেই ময়নাতদন্ত ছাড়াই তাঁর লাশ দাফন করা হয় নিজ গ্রামে। পরে ঐ ঘটনায় গত ৩ সেপ্টেম্বর নিহতের স্ত্রী বাদী হয়ে গাজীপুরের শ্রীপুর থানায় শেখ হাসিনা সহ ১১০জনকে নামে ও অজ্ঞাত কমপক্ষে ২০০ জনকে অভিযুক্ত করে মামলা দায়ের করেন।মামলার কার্ষক্রম পরিচালনার জন্য নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য নির্দেশ দেয় আদালত।
এ মামলাটি তদন্ত কর্মকর্তা শ্রীপুর থানার এসআই এ.আর.এম সাফায়েত উসমান বলেন, আদালতের নির্দেশে এসেছিলাম লাশ তুলতে। কিন্তু পরিবারের আপত্তির মুখে তা পারা যায়নি।
নিহত জুয়েলের মা জিনুয়ারা বেগম বলেন, লাশ তুললে আর কি হবে ? তাকে তো আর পাবো না ? এখন লাশ তুললে আর সহ্য করতে পারবো না।
এ বিষয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্র্যাট মো. ফয়জুর রহমান বলেন, নিহত জুয়েলের পরিবারকে কয়েক ঘণ্টা বুঝিয়েছি, কিন্তু তারা কোনভাবেই রাজি হচ্ছে না। তাই বাধ্য হয়ে চলে আসতে হলো। আদালতের নির্দেশে পরবর্তী কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে।