নিউজ ডেস্ক: ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে চাঁদাবাজির প্রতিবাদে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন অটোরিকশা চালকরা। সোমবার দুপুরে ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ মহাসড়কের ঈশ্বরগঞ্জের বটতলা বাসস্ট্যান্ডে এ কর্মসূচি পালন করেন তারা।
প্রায় আধা ঘন্টাব্যাপি চলা এই অবরোধের কারণে মহাসড়কে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। খবর পেয়ে সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও ওসি ঘটনাস্থলে গিয়ে বিচারের আশ্বাস দিলে অবরোধ তুলে নেন চালকরা।
বিক্ষোভকারীরা অভিযোগ করে বলেন, ঈশ্বরগঞ্জ মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সের সামনে থেকে নান্দাইলের কানুরামপুর পর্যন্ত শতাধিক মাহেন্দ্র গাড়ি চলাচল করে। পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের সময় স্থানীয় নেতারা ওই সব বাহন থেকে প্রতিমাসে ৩ হাজার ও প্রতিদিন ২০০ টাকা করে চাঁদা আদায় করতো। এ নিয়ে তখন প্রতিবাদ করেও কোনো কাজ হয়নি। তবে গত ৫ আগস্টের পর প্রেক্ষাপট পরিবর্তন হলে ওই সড়কে সকল ধরনের চাঁদাবাজি বন্ধ হয়ে যায়।
কিন্তু বেশীদিন তা বহাল থাকেনি।
তারা বলেন, এর মধ্যে ওই নেতারাই স্থানীয় বিএনপির নেতাদের হাত করে ফের চাঁদা আদায় শুরু করে। এতে প্রতিবাদ করলে চাঁদাবাজদের হাতে মারধরের শিকার হয় অনেক চালক।
গত রবিবার দুপুরে বাবু নামে এক চালক নিজের পাওয়ার গাড়ি নিয়ে কানুরামপুর গেলে ২ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেন রুবেল নামে একজন।
চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় বাবুকে মারধর করেন রুবেল। এ ঘটনায় বিচার চেয়ে সোমবার ঈশ্বরগঞ্জের বটতলা নামক স্থানে শতাধিক চালক একত্রিত হয়ে সড়ক অবরোধসহ বিক্ষোভ মিছিল করে চাঁদা বন্ধের দাবি জানান।
টিপু নামে এক চালক জানান, তিনি দীর্ঘদিন ধরে এই সড়কে পাওয়ার গাড়ি চালান। ঈশ্বরগঞ্জের জসিম নামে এক ব্যক্তি গাড়ি প্রতি ৩ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে। না দেওয়ায় গাড়ি চালানো বন্ধের কড়া নির্দেশ দেয়।
এ বিষয়ে প্রতিবাদ করলে নানান ধরনের হুমকী দিয়ে আসে। টিপু জানান, চাঁদা দিতে হলে যাত্রীদের কাছ থেকে বেশী ভাড়া আদায় করা হয়। এতে যাত্রীরা ভোগান্তিতে পড়েন।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত রুবেল জানান, তাঁর কানুরাম বাসস্ট্যান্ডে একটি দোকান আছে। সেখান থেকে বেশ কয়েকজন মবিল ও আনুষাঙ্গিক জিনিস নিয়ে টাকা বকেয়া রেখেছিল। ওই টাকাই চাওয়া হয়। চাঁদা নয়। তাছাড়া মারধরের কোনো ঘটনা ঘটেনি। অপর দিকে আরেক অভিযুক্ত ঈশ্বরগঞ্জের জসিম জানান, তাঁর বিরুদ্ধে কেউ অভিযোগ প্রমাণ করতে পারলে যে শাস্তি হবে তা মেনে নিবেন।
এ বিষয়ে ঈশ্বরগঞ্জ থানার ওসি ওবায়দুর রহমান জানান, প্রতিবাদী চালকদের বলা হয়েছে একটি লিখিত অভিযোগ দেওয়ার জন্য। এরপর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।