নিউজ ডেস্ক : আগামীর রাজনীতিতে তরুণদের দল কতটা প্রভাব ফেলবে, সে-সম্পর্কে এখনই উপসংহারে পৌঁছাতে চায় না রাজনৈতিক মহল। জুলাই অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেয়া তরুণদের নেতৃত্বে ‘জাতীয় নাগরিক পার্টি’র আত্মপ্রকাশকে স্বাগত জানিয়েছেন রাজনীতিকরা। আবার নতুন দলের পেছনে যেন সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা না থাকে, সে বিষয়টিও ভাবনায় রয়েছে অনেকের।
জল্পনা-কল্পনা শেষে গতকাল শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) যাত্রা শুরু করে জাতীয় নাগরিক পার্টির। রাজনীতির মঞ্চে জুলাই অভ্যুত্থানের নায়কদের হাত ধরে আত্মপ্রকাশ করা দলটি নিয়ে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে তৈরি হয়েছে তুমুল আলোচনা।
জাতীয় নাগরিক পার্টির যাত্রা শুরুকে কীভাবে দেখছে অন্য রাজনৈতিক দলগুলো?
জামায়াতের কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা ও কর্মপরিষদ সদস্য শফিকুল ইসলাম মাসুদ বলেন, ‘আমাদের স্টেকহোল্ডার হচ্ছেন দেশের সম্মানিত নাগরিকরা। তাদের চাহিদা, তাদের অধিকার, চিন্তা ও দর্শনকে কে বেশি লালন করে সেটা দেখার সুযোগ তখন হবে যখন যত বেশি দল হবে। তখন জনগণের চিন্তা রাজ্যে বাছাই করার সুযোগ তত বেশি হবে। ফলে আমরা মনে করি রাজনীতিতে যদি আরও দুটি দল হয়, সেটিকে আমরা ইতিবাচক চ্যালেঞ্জ হিসেবে নেব।’
শফিকুল ইসলাম মাসুদ বলেন, ‘যারা দল করছেন এবং যারা সরকারে আছেন দুই দলেরই দায়বদ্ধতা আছে। সরকারে যারা আছেন তারা সরকারের নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করবেন। আর যারা রাজনীতিতে আছেন তারা কোনোভাবে কিংস পার্টিতে পরিণত হচ্ছেন কিনা, তারা সরকারের কোনো ব্লেসিংস নিচ্ছেন কিনা! আমার ধারণা তারা এটা বিবেচনায় রাখবেন বা রাখছেন।’
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেন, ‘ছাত্রদের আরও দুজন প্রতিনিধি সরকারে আছে। তারা কি এ দলের সঙ্গী কিনা, সেগুলো স্পষ্ট না করলে বিতর্ক থেকে যাবে।’ বাংলাদেশে রাজনীতি করলে বাংলাদেশের থিম, বাংলাদেশের উদ্দেশ্য ও মর্যাদা- এ জিনিসগুলো সামনে আসলে ভালো হয়।’
বৈষম্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্য পূরণে কাজ করবে তরুণদের দল- এ প্রত্যাশা রাজনীতিকদের।
বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, ‘আমি আশা করব, নতুন কোনো দল অন্য কোনো গ্রুপের বা দলের স্বার্থ রক্ষাকারী হয়ে উঠবে না। ২৪ এর গণ-অভ্যুত্থানের চেতনাকে সামনে রেখে তারা যদি ইতিবাচক রাজনীতি করে, গণতন্ত্র করে, অসাম্প্রদায়িকতা চর্চা করে, সেটা বাংলাদেশের রাজনীতিতে কতগুলো ইতিবাচক উপাদান হিসেবে যুক্ত হবে।’