নিউজ ডেস্ক: শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান বলেছেন, দেশের জিআই পণ্যের তালিকা সমৃদ্ধ করার পর সেগুলো বাণিজ্যিকভাবে বিকশিত করতে হবে। জিআই পণ্য আমাদের ইতিহাস ঐতিহ্যকে লালন করে। এই পণ্যের বাজারজাতকারীদের ন্যায্য স্বীকৃতি এবং পারিশ্রমিক নিশ্চিত করতে হবে। যার ফলে স্থানীয় উদ্যোক্তা বা উৎপাদনকারীদের ক্ষমতায়ন হবে। এ জন্য সরকারের পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট সকলের অংশগ্রহণ জরুরী। জামদানি শাড়ি দেশের প্রথম পণ্য হিসেবে জিআই স্বীকৃতি পেয়েছে। আজ পর্যন্ত ৫৫ টি পণ্য জিআই স্বীকৃতি পেয়েছে।
তিনি আরো বলেন, মেধাসম্পদ ‘আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সনদে বর্ণিত মানুষের জন্য স্বীকৃত অধিকারগুলোর মধ্যে অন্যতম অধিকার। সংগীত কেবল বিনোদন নয়। এটি মানবতার আবেগ, অনুভূতি ও সংস্কৃতির এক অনুপম প্রকাশভঙ্গি। প্রতিটি গানের সুর ও তালের পেছনে রয়েছে অগণিত সৃষ্টিশীল শ্রম। সৃজনশীলতা ও উদ্ভাবনের জন্য সঙ্গীতের মেধাসম্পদ অধিকার সংরক্ষণ জরুরী।
ঢাকায় ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে শিল্প মন্ত্রণালয়ের পেটেন্ট, শিল্প-নকশা ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তর আয়োজিত বিশ্ব মেধাসম্পদ দিবস ২০২৫” এর আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
শিল্প সচিব জনাব মোঃ ওবায়দুর রহমানের সভাপতিত্বে আলোচক ছিলেন সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। মেধা সম্পদ দিবসের উপর মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিশিষ্ট শিল্পী,অভিনেত্রী ও সংগীত পরিচালক জনাব আরমিন মুসা।
আলোচনা সভায় সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী বলেন, বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ সাংস্কৃতিক উৎসব গান। এদেশের মানুষ গানের মাধ্যমে ভাব প্রকাশ করে। যা দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে আছে। সঙ্গীত নিয়ে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় বড় প্রকল্পের কাজ করছে। যা দেশের মানুষ কিছুদিনের মধ্যে দেখতে পাবে। সঙ্গীতের কপিরাইট নিশ্চিত করতে হবে।
শিল্প সচিব জনাব মোঃ ওবায়দুর রহমান বলেন, যারা জীবিকা নির্বাহ করে, বাজারজাত করে এবং পণ্যের গুণগত মান বজায় রাখে সেসব আবেদনকারীকে জিআই সনদ নিবন্ধন পাবে। জিআই পণ্য সবার মাঝে ছড়িয়ে দিতে শিল্প মন্ত্রণালয় কাজ করছে। এর মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী বাংলাদেশের পণ্য জনপ্রিয় হয়ে উঠবে।
এ অনুষ্ঠানে ২৪ টি ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্যের নিবন্ধন সনদ প্রদান করা হয়। ভৌগোলিক পণ্যের সনদ বাংলাদেশ তাঁত বোর্ড, সংশ্লিষ্ট জেলার জেলা প্রশাসক ও নওগাঁর বদলগাছি উপজেলার নাকফজলি আমচাষী সমবায় সমিতির নিকট হস্তান্তর করা হয়। World Intellectual Property Organisation (WIPO) ঘোষিত “বিশ্ব মেধাসম্পদ দিবস ২০২৫” এর বৈশ্বিক প্রতিপাদ্য ছিল “IP and music: Feel the beat of IP”। এবছর সংগীতশিল্পী, সুরকার, গীতিকারসহ সংগীতায়তনের সংশ্লিষ্ট সকলের সৃজনশীলতা সংরক্ষণ এবং নতুন উদ্ভাবনকে উৎসাহিত করার মাধ্যমে মেধাসম্পদের অধিকার সুরক্ষার উপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে।