ঢাকা  মঙ্গলবার, ৬ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ; ২০শে মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ          সরকারি নিবন্ধন নং ৬৮

spot_img
Homeসারাদেশসারের বাজারে অস্থিরতা সৃষ্টি করছে আওয়ামী ফ্যাসিবাদী দোসর

সারের বাজারে অস্থিরতা সৃষ্টি করছে আওয়ামী ফ্যাসিবাদী দোসর

নিজস্ব প্রতিবিদেক : অর্ন্তবর্তীকালীন সরকারকে বিব্রত করতে দেশে সারের বাজারে চরম অস্থিরতা সৃষ্টি করছে আওয়ামী ফ্যাসিবাদী সরকারের দোসর ও কিছু অসাধু ডিলারদের চক্র। এতে বিফলে যাচ্ছে বর্তমান অর্ন্তবর্তীকালীন সরকারের সকল উদ্যোগ। জানাগেছে, গত ৭ জানুয়ারী কৃষি মন্ত্রনালয়ের সার ব্যবস্থাপনা ও মনিটরিং অধিশাখা থেকে বেসরকারী পর্যায়ে ভর্তূকির আওতায় আমদানিকৃত নন-ইউরিয়া সার ডিলারদের নিকট সুষ্ঠুভাবে বিতরণের জন্য একটি পত্র প্রেরণ করা হয়।

মন্ত্রনালয়ের থেকে জারিকৃত পত্রে উল্লেখ করা হয়, দেশের প্রতিটি ইউনিয়ন ও পৌরসভা এলাকার চাহিদা অনুযায়ী বরাদ্দকৃত সার কৃষক পর্যায়ে বিনা হয়রানিতে এবং সরকার নিধারিত মূল্যে প্রাপ্তি নিশ্চিতকল্পে ডিলার নিজেই আমদানিকারক থেকে সার উত্তোলন করবে। ক্ষেত্র বিশেষে তার প্রতিষ্ঠানের উপযুক্ত ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মচারী তা উত্তোলন করতে পারবে। সেক্ষেত্রে কর্মচারীর ছবি ডিলার কর্তৃক সত্যায়িত থাকতে হবে। এছাড়া মধ্যে স্বত্ত্বভোগী অথবা অন্য কোন ব্যক্তি আমদানিকারক বা ডিলার হতে সার উত্তোলন করতে না পারে তা নিশ্চিত করণের জন্য কঠোর নির্দেশনা প্রদান করা হয়।

অর্ন্তবর্তী কালীন সরকারের এই নির্দেশনাকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে দেশে সারের তীব্র সংকট সৃষ্টি করতে আওয়ামী ফ্যাসিবাদী সরকারের দোসর বাংলাদেশ ফার্টিলাইজার এসোসিয়েশনের (বিএফএ) নির্বাহি সচিব রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ আমদাননিকারকদের থেকে সার উত্তোলনের জন্য মোকাম কেন্দ্রিক মধ্যস্বত্ত্বদের প্রতিনিধি করে সার উত্তোলনের জন্য আমদানীকারকদের মোবাইলে ক্ষুদে বার্তার মাধ্যমে নির্দেশনা প্রদান করেছেন। যা সরকারের মন্ত্রনালয় কর্তৃক নীতিমালা পরিপন্থি।

অর্ন্তবর্তী কালীন সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই দেশে সারের বাজার অস্থিতিশীল করে অর্ন্তবর্তী সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে নেপথ্যে কাজ করে যাচ্ছে আওয়ামী ফ্যাসিবাদী সরকারের দোসর ও বিএফএ – কিছু নেতা। যারা বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের বিভিন্ন ভাবে সুবিধা ভোগী। সার ব্যবসায়ীদের এই সংগঠনটির এক সময় সভাপতি ছিলেন আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) কামরুল আশরাফ খান পোটন। যিনি বিএফএ এর সভাপতি ছিলেন প্রায় ১৭ বছর। এসময়কালে তিনি বিএডিসি এবং বিসিআইসি‘র প্রায় ৩লাখ মে.টন সরকারি সার আত্মসাৎ করেন। দীর্ঘ এই সময় পোটনের সচিব ছিলেন রিয়াজ উদ্দিন আহমদ। এছাড়া তিনি তার অঘোষিত ক‍্যাশিয়ারও ছিলেন।

বাংলাদেশ ফার্টিলাইজার এসোসিয়েশনের (বিএফএ) নির্বাহি সচিব রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ আমদাননিকারকদের প্রেরিত ক্ষুদে বার্তায় লিখেছেন, [সম্মানিত বিএফএ সদস্যবৃন্দ, সার দ্রুত উত্তোলন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বিগত বছরগুলির ন্যায় ডিলার কর্তৃক মোকামকেন্দ্রিক সার পরিবহনকারী প্রতিনিধিদের মাধ্যমে সার উত্তোলন করত: কৃষক পর্যায়ে সার সরবরাহ নিশ্চিত করুন। রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ, নির্বাহী সচিব, বিএফএ]
বিএফএ-এর নির্বাহি সচিব রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ এই খুদে বার্তাটি প্রেরণের পর থেকেই সিন্ডিকেট আবার সক্রিয় হয়ে উঠেছে। ইতিমধ্যে মধ্যস্বত্ত্বভোগী এই চক্রটি বিসিআইসি ডিলারের কাছ থেকে বরাদ্দের সার ক্রয়করে কালোবাজারে প্রতি বস্তায় চারশ টাকা থেকে পাঁচশ বেশীতে এক জেলার বরাদ্দের সার অন্য জেলায় বিক্রি করছে। যার ফলে বিভিন্ন জেলাতে দেখা দিচ্ছে সারের চরম সংকট। অতিরিক্ত মূল্যে সার ক্রয় করে প্রতারিত হচ্ছে সাধারণ কৃষক। গত ১ ডিসেম্বর যশোরের অভয়নগর থানা এলাকা থেকে ৪টি গাড়ী ডিএপি সার আটক আটক করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

গত ১৫ জানুয়ারি এক জেলা থেকে অন্য জেলায় পাচার কালে সাত গাড়ী ডিএপি সার আটক আটক করে যশোর জেলার আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। যা বর্তমানে পুলিশ হেফজতে রয়েছে। সিন্ডিকেট ভাঙতে হলে বড় ধরনের অভিযান চালাতে হবে। জেলা ভিত্তিক প্রতি মাসের সার প্রতি মাসে উত্তোলন করতে হবে। প্রতি মাসের সার প্রতি মাসে উত্তোলন যদি উত্তোলন না করে তাহলে প্রয়োজনে ডিলারশীপ বাতিল করতে হবে। এবিষয়ে বিএফএ-এর নির্বাহি সচিব রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ কে মোবাইলে ফোন করলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

RELATED ARTICLES
- Advertisment -
Google search engine

Most Popular