নিজস্ব প্রতিবেদক: দীর্ঘদিন ধরে গোপনে সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসা নিষিদ্ধ সংগঠন হিযবুত তাহরী এখন অনেকটা প্রকাশ্যে তাদের কাজ চালাচ্ছে। দলটি আগামীকাল শুক্রবার বায়তুল মোকারমে কর্মসূচি ঘোষণা করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ ঢাকার বিভিন্ন জায়গায় পোস্টার লাগিয়েছে; বিভিন্ন জায়গায় লিফলেটও বিলি করছে।
অপরদিকে নিষিদ্ধ সংগঠন হিযবুত তাহরীর শুক্রবার বায়তুল মোকাররমে কর্মসূচি পালনের চেষ্টা করলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ-ডিএমপি। বৃহস্পতিবার ডিএমপির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, হিযবুত তাহরীর বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী একটি নিষিদ্ধ সংগঠন।
জননিরাপত্তার প্রতি হুমকি বিবেচনায় ২০০৯ সালের ২২ অক্টোবর বাংলাদেশ সরকার হিযবুত তাহরীরকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। সন্ত্রাসবিরোধী আইন-২০০৯ অনুযায়ী নিষিদ্ধ ঘোষিত যে কোনো সংগঠনের সভা, সমাবেশ, মিছিল, পোস্টার-লিফলেট বিতরণ ও অন্যান্য উপায়ে প্রচারণাসহ সকল কার্যক্রম শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
হিযবুত তাহরীরসহ নিষিদ্ধ ঘোষিত কোনো সংগঠন সভা, সমাবেশ ও যে কোনো উপায়ে প্রচারণামূলক কার্যক্রম চালালে ডিএমপি প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে।
গত ৫ অগাস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের দিনই ঢাকায় মিছিল করে সংগঠনটির নেতাকর্মীরা। এরপর আরও নানা দাবিতে মিছিলের পাশাপাশি ঢাকায় গোলটেবিল বৈঠকও করেছে সংগঠনটি। চট্টগ্রামেও পালন করেছে নানা কর্মসূচি।
সংগঠনটির মিডিয়া সমন্বয়ক ইমতিয়াজ সেলিম বিবিসি বাংলাদেশকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, সরকার পতন আন্দোলনে শুরু থেকেই তাদের কর্মীরা অংশ নেন; তবে তারা কোনো ব্যানার ব্যবহার করেননি।
শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর গুলশানের হোলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গি হামলায় নিহত পুলিশ কর্মকর্তার স্মরণে নির্মিত ভাস্কর্য ‘দীপ্ত শপথ’ গুঁড়িয়ে হিযবুত তাহরীরের পোস্টারও লাগানো হয়েছিল।
২০০১ সালে বাংলাদেশে কার্যক্রম শুরু করা হিযবুত তাহরীর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের জন্য গত সেপ্টেম্বরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগে আবেদন করলেও সরকারের তরফে কোনো বক্তব্য আসেনি।