বগুড়া জেলা প্রতিনিধি: বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় অ্যাসিসটেন্ট সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান বলেছেন, বাংলাদেশের মানুষ এখন সৎ, যোগ্য ও দক্ষ নেতৃত্বের অপেক্ষায় আছে। গণমানুষের সেই জনআকাঙ্খা পূরনের জন্য জামায়াত-শিবিরকে আবারো ঐতিহাসিক ভূমিকা পালন করতে হবে। এই জমিনে ইসলাম বিজয়ের পতাকা না উড়ানো পর্যন্ত যে কোন ত্যাগ ও কুরবানী দিতে জামায়াত-শিবিরের প্রতিটি নেতা-কর্মী সবসময় প্রস্তু আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে ইনশাআল্লাহ।
শনিবার বগুড়ার টিটু মিলনায়তনে সকাল থেকে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী বগুড়া শহর শাখা আয়োজিত ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক কর্মী, সাথী ও সদস্যদের মিলনমেলায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
বগুড়া শহর জামায়াতের আমীর অধ্যক্ষ আবিদুর রহমান সোহেলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের সদ্যবিদায়ী কেন্দ্রীয় সভাপতি মঞ্জুরুল ইসলাম ও জামায়াতের বগুড়া অঞ্চলের টীম সদস্য অধ্যাপক নজরুল ইসলাম। বগুড়া শহর জামায়াতের সেক্রেটারি অধ্যাপক আ স ম আব্দুল মালেক এবং সাবেক ছাত্রনেতা হেদাইতুল ইসলামের পরিচালনায় অন্যান্যের মাঝে বক্তব্য রাখেন মাওলানা আলমগীর হোসাইন, সাবেক শিবির নেতা মিজানুর রহমান, নুরুল আমীন সরকার, আব্দুস সালাম তুহিন, আনিছুর রহমান, অধ্যাপক রফিকুল আলম, মো: সেলিম রেজা, আব্দুল কাদিম, আলাউদ্দীন সোহেল, আল আমিন, আজগর আলী, ইকবাল হোসেন, অ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম আকন্দ, মেহেদী হাসান প্রমুখ।
প্রধান অতিথি বলেন, যেই ফ্যাসিবাদী শক্তি জামায়াত-শিবিরকে নিষিদ্ধ করেছিল, আজ তারাই জনগনের কাছে নিষিদ্ধ হয়ে গেছে। জামায়াত-শিবির সকল বাধা অতিক্রম করে তার লক্ষ্য পানে এগিয়ে যাচ্ছে। যতই উঁকিঝুকি মারুক পালিয়ে যাওয়া ফ্যাসিবাদ আর কখনোই দেশে ফিরতে পারবেনা।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রমিবিরের সদ্যবিদায়ী কেন্দ্রীয় সভাপতি মঞ্জুরুল ইসলাম বলেন শিবিরকে বাদ দিয়ে জুলাই বিপ্লবের কোন ইতিহাস লেখা হতে পারে না। শাহাদাতের তামান্না নিয়ে রাজপথে দাঁড়িয়ে হাজার হাজার প্রাণের বিনিময়ে যে ফ্যাসিবাদকে তাড়ানো হয়েছে তা আর কোনদিন এই জমীনে ফিরে আসতে পারবে না। ইসলামী ছাত্রশিবির প্রয়োজনে আবারো শাহাদতের শপথ নিয়ে রাজপথে দাঁড়িয়ে যে কোন ফ্যাসিবাদকে কবর দিবে ইনশাআল্লাহ।
ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক আড়াই হাজারের অধিক নেতা-কর্মীর এই মিলনমেলা শেষে বর্নাঢ্য র্যালি বগুড়া শহর প্রদক্ষিন করে। বিকেলে জাতীয় ও স্থানীয় শিল্পীদের পরিবেশনায় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়।