আন্তর্জাতিক ডেস্ক : শান্তিতে নোবেলজয়ী যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টার মারা গেছেন। জিমি কার্টারকে ‘অসাধারণ নেতা’ আখ্যায়িত করে শোক প্রকাশ করেছেন বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।স্থানীয় সময় রোববার বিকেলে জর্জিয়া অঙ্গরাজ্যের প্লেইনস-এর বাড়িতে তিনি মারা যান।
গত অক্টোবরে ১০০তম জন্মদিন উদ্যাপন করেন জিমি কার্টার। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে সবচেয়ে দীর্ঘজীবী প্রেসিডেন্ট।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে জিমি কার্টারের দায়িত্ব পালন সুখকর ছিল না। অর্থনৈতিক দুরবস্থা ও কূটনৈতিক সংকট সামলাতে না পেরে এক মেয়াদের বেশি ক্ষমতায় থাকতে পারেননি তিনি। পরে অবশ্য মানবিক কর্মকাণ্ডের মধ্য দিয়ে নিজের সুনাম পুনরুদ্ধার করেন জিমি কার্টার। এর স্বীকৃতি পান শান্তিতে নোবেল পুরস্কারে ভূষিত হয়ে।
কৃষক থেকে প্রেসিডেন্ট কার্টার
জেমস আর্ল কার্টার জুনিয়র জর্জিয়ার ছোট শহর প্লেইনসে ১৯২৪ সালের ১ অক্টোবর জন্মগ্রহণ করেন। ছোটবেলায় তাকে জিম্মি নামে ডাকা হতো। পরবর্তী তিনি জিমি কার্টার হিসেবেই পরিচিতি পান। একজন কৃষক ও দোকানির চার সন্তানের একজন ছিলেন তিনি। তার পরিবার সদস্যরা ছিলেন ব্যাপ্টিস্ট।
জিমি কার্টার যুক্তরাষ্ট্রের নেভাল একাডেমি থেকে ১৯৪৬ সালে স্নাতক পাস করেন। এরপর পারমাণবিক সাবমেরিন কর্মসূচিতে কাজ করেন। পরবর্তীতে এই চাকরি ছেড়ে পরিবারের বাদাম চাষাবাদের ব্যবসা দেখভালের দায়িত্ব নেন।
জিমি কার্টার একপর্যায়ে কোটিপতি হন। জর্জিয়া থেকে কংগ্রেস সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি ১৯৭১ থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত জর্জিয়ার গভর্নর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭৬ সালে ডেমোক্রেটিক পার্টি থেকে প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পান। ক্ষমতাসীন রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট জেরাল্ড ফোর্ডকে হারিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ৩৯তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন।
কিশোর বয়স থেকেই সাউদার্ন ব্যাপ্টিস্ট সানডে স্কুলের শিক্ষক ছিলেন জিমি কার্টার। প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালনেও শক্তিশালী নৈতিকতার চেতনা নিয়ে আসেন তিনি। কোনো রাখঢাক ছাড়াই নিজের ধর্মীয় বিশ্বাসের বিষয়টি প্রকাশ করতেন জিমি কার্টার।