ঢাকা  মঙ্গলবার, ৬ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ; ২০শে মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ          সরকারি নিবন্ধন নং ৬৮

spot_img
HomeUncategorizedভারত পাকিস্তান যুদ্ধ বিরতির নেপথ্য কারণ

ভারত পাকিস্তান যুদ্ধ বিরতির নেপথ্য কারণ

ভারত পাকিস্তান যুদ্ধ চারদিন চলার পর বন্ধ হয়ে গেল কেন? এই প্রশ্নের উত্তর এখনো অনেকে খুঁজছেন। পাকিস্তানের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে ভারত যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব তাদের দিয়েছে এজন্য তারা রাজি হয়েছে। অন্যদিকে ভারতের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে যুদ্ধ বিরতির জন্য পাকিস্তানই পীড়াপীড়ি করেছে এজন্য তারা রাজি হয়েছে।

ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের মূখপাত্র বিক্রম মিশ্রি সংবাদ সম্মেলনে বলেন, পাকিস্তানের ডিজিএমও ভারতের ডিজিএমও কে ফোন করে যুদ্ধ বিরতির প্রস্তাব দিলে ভারত রাজি হয়। এছাড়া ভারতের সেনা সূত্রে বলা হয় তাদের অপারেশন সিন্দুর ৭ মে তে শেষ হয়ে গিয়েছিল। এরপর তারা পাকিস্তানে কোনো আক্রমণে যায়নি।  

যুদ্ধবিরতি নিয়ে যখন দুই দেশের এমন পাল্টাপাল্টি দাবি, তখন ভারতীয় গণমাধ্যমগুলো এ নিয়ে বেশ কয়েকটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। যেখানে যুদ্ধবিরতির সম্ভাব্য-করণ গুলি তুলে ধরা হয়। তাদের মতে পাকিস্তানের কিরানা হিলে পরমাণু বোমার মজুদস্থলে ভারতের বেশ কয়েকটি মিসাইল বিস্ফোরিত হয়। এতে সেখানকার বাঙ্কার ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সেই বাঙ্কারগুলিতে জমানো পরমাণু ওয়ারহেড বিস্ফোরিত হলে সেখানে রিকটার স্কেলে ৪.২ মাত্রার ভূমিকম্প হতে থাকে। এতে সেখানে ১০০ কিলোমিটারের মতো জায়গায় রেডিয়েশন ছড়িয়ে পড়ে। সেই রেডিয়েশনের মাত্রা কমাতে মিশর থেকে বোরন ভর্তি কার্গো বিমান আনা হয়। যেটি কিরানা হিলে আকাশ থেকে বোরন ছুঁড়তে দেখা গেছে। তাদের মতে মিশরের ওই বিমান জিগজাগ পজিশনে উড়ছিল। এই পজিশনে বিমান তখনই উড়ে যখন আকাশ থেকে কিছু ফেলা হয়। তাছাড়া মার্কিন এনার্জি কোম্পানির একটি বিমানকে নূর খান এয়ার বেজে নামতে দেখা গেছে। এই বিমান সেই দেশেই যায় যেখানে পরমাণু বোমার বিস্ফোরণের মতো ঘটনা ঘটে।

আর এসব কারণে মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভান্স যুদ্ধবিরতির আগে একটি কথা সংবাদ মহলে বলেন, সেটি হচ্ছে আমরা যুদ্ধক্ষেত্র থেকে উদ্বেগজনক গোয়েন্দা তথ্য পাচ্ছি যা এলার্মিং। যুদ্ধ আরো কিছুদিন চলতে থাকলে তা ভয়ঙ্কর রুপ নেবে। সেদিন তার এই কথার অর্থ কেউ বুঝতে পারেনি। এখনও জেডি ভান্স সেই উদ্বেগজনক গোয়েন্দা তথ্যের বিষয়টি সংবাদ মহলে খোলসা করে বলেননি।

সম্প্রতি কিরানা হিলের বিষয়টি হোয়াইট হাউজের মুখপাত্রকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল। তিনি এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করবেন না বলে সবাইকে জানিয়ে দেন। আসলে এ বিষয়টি নিয়ে মার্কিন প্রশাসন ঘাটাঘাটি করতে চান না। কি থেকে কি বিতর্ক শুরু হয়ে যায় । এটা নিয়ে তারা বিব্রতকর পরিস্থিতিতে আছে।

তবে ভারতের বেশিরভাগ গণমাধ্যম পাকিস্তানের এই দুর্বল জায়গার বিষয়টি বুঝতে পেরেছে। যে কারণে তারা নরেন্দ্র মোদীর সমালোচনা সেভাবে করছেন না।

কাশ্মীরের পেহেলগামে বৈসারন ভ্যালিতে পর্যটকদের ধর্ম বেছে বেছে হত্যা করা হয়। নারকীয় এই হত্যাযজ্ঞের পর থেকেই পাকিস্তান নিজেদের ওপর হামলা হবে এই ভেবে বিভিন্ন দেশে ভারতের হামলা বন্ধে তদবির করতে থাকে।

এদিকে নরেন্দ্র মোদী পাকিস্তান কে এবার উচিত শিক্ষা দেওয়া হবে বলে হুঙ্কার দেন। পাকিস্তান আগে ভাগেই বুঝে গিয়েছিল মোদী যা বলে তা করে থাকে। এ কারণে পাকিস্তান বিষয়টি মীমাংসার জন্য জাতিসংঘসহ আরব দেশগুলোতে জোর কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালায়। ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ভারতে এসে মোদীকে বোঝানোর চেষ্টা করে।

পাকিস্তান বুঝেই উঠতে পারেনি ভারত এ ধরনের কোনো হামলা চালাতে পারে। এই হামলার আরেকটি বিশেষ দিক ছিল বিশ্বের অস্ত্র বাজার। ভারত পাকিস্তান উভয় দেশ অস্ত্র আমদানি করে থাকে। পাকিস্তানের ৮০ শতাংশ অস্ত্র চীনের। বাকী ২০ শতাংশ তুর্কি, আমেরিকা, ফ্রান্সের। অন্যদিকে ভারতের বেশিরভাগ অস্ত্র রাশিয়া ও ইসরাইলের।

এছাড়া রাশিয়ার সুখোই বিমানগুলোতে ভারতের প্রযুক্তি লাগিয়ে অন্য এক ভেরিয়েন্ট তৈরি করা হচ্ছে। ডিফেন্স সিস্টেমে ইসরাইল থেকে বারাক ও স্পাইডার কেনা হয়েছে। রাশিয়ার এস-৪০০ আনা হয়েছে। এর সঙ্গে ভারতের আকাশ প্রযুক্তি রয়েছে। সম্প্রতি শোনা যাচ্ছে ভারত ও রাশিয়া যৌথ উদ্যোগে এস-৫০০ বানাবে।

ভারতের এই হামলায় মারা যায় জইশ ই মহম্মদের প্রধান মাছুদ আযহারের পরিবারের ১৪ সদস্য। মাছুদ আযহার বেঁচে আছে কিনা তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে পাকিস্তান থেকে মাছুদ আযহারের এক চিঠি প্রকাশিত হয় যেখানে তিনি নিজেকে মরে যাওয়ার আকুতি জানান। ভারতের মিসাইল হামলায় লস্করে তৈয়বার হেডকোয়াটার, জইশ মহম্মদের হেডকোয়াটার ও হিজবুল মুজাহিদিনের হেডকোয়ার্টার ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়। পাকিস্তান এসব হামলাকে ধর্মীয়-স্থানে হামলা হয়েছে বলে প্রচার চালায়। ভারতের পক্ষ থেকে বলা হয় সেখানে জঙ্গি প্রশিক্ষণ হতো।

পাকিস্তান ভারতকে উদ্দেশ্য করে ইরান থেকে আনা ফাত্তাহ মিসাইল দিল্লীর উদ্দেশ্যে ছুড়ে ছিল। সেই মিসাইল ভারতের শীর্ষাতেই কুপোকাত। ভারতের এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম পাকিস্তানের সব মিসাইল আকাশেই আটকে দেয়।

পাকিস্থানের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল তারা ভারতের রাফাল বিমান ভূপাতিত করেছে। পরে ভারত দাবি করে পাকিস্তান ভারতের যেসব বিমান ভূপাতিত করেছে সেগুলো ছিল ডামি রাফাল বিমান। পাকিস্তানের এয়ার ডিফেন্স ইউনিট সনাক্ত করতে এসব ডামি বিমান পাকিস্তানের দিকে উড়ানো হয়। আর সেই ফাঁদে পাকিস্তান পা দেয়। নিজেদের প্রতিরক্ষা সিস্টেম কোথায় লুকিয়ে রাখা হয়েছে তা জেনে যায় ভারত। সেই মতো হামলা চালিয়ে তাদের এয়ার ডিফেন্স ধ্বংস করে দেয় ভারত।

ভারত পাকিস্তানের যেসব স্থানে হামলা চালিয়েছে তার প্রতিটির ভিডিও ফুটেজ বিশ্ববাসীকে দেখিয়েছে। পাকিস্তান তাদের হামলার চিত্র দেখাতে ব্যর্থ হয়েছে। আবার তারাই পাকিস্তানে বিজয় উৎসব করে। কথায় আছে খালি কলসি বাজে বেশি। পাকিস্তানের দশা হয়ে এইরূপ। হেরে গিয়ে বিজয় উৎসব।

এই যুদ্ধ চলমান থাকলে পারমানবিক মজুদের খবর বিশ্ববাসির কাছে প্রকাশ পেয়ে যেতো, এবং রেডিয়েশনের কারন ১০০ কিলোমিটারের মধ্যে মানব সম্পদের ব্যাপক ক্ষতির সম্ভাবনা ছিলো । এই অজানা কাহিনি দুই দেশের কাছেই অজানা ছিলো, যার কারনে মার্কিনিরা দ্রুত কূটনৈতিক তৎপরতায় লিপ্ত হয় ।

 

RELATED ARTICLES
- Advertisment -
Google search engine

Most Popular