ঢাকা  মঙ্গলবার, ৬ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ; ২০শে মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ          সরকারি নিবন্ধন নং ৬৮

spot_img
Homeজাতীয়ভূমিকম্পের তাণ্ডবে মিয়ানমানে মৃতের সংখ্যা ১০ হাজার ছাড়ানোর শঙ্কা

ভূমিকম্পের তাণ্ডবে মিয়ানমানে মৃতের সংখ্যা ১০ হাজার ছাড়ানোর শঙ্কা

আর্ন্তজাতিক ডেস্ক: ৭ দশমিক ৭ মাত্রার ভূমিকম্পের তাণ্ডবে ধ্বংসস্তুপ মিয়ানমার মৃত্যুপুরী নগরীতে পরিণত হয়েছ।ভূমিকম্পের তাণ্ডবে দেশটির সব ওলটপালট হয়ে গেছে। দেশটিতে মৃতের সংখ্যা ১০ হাজার ছাড়াতে পারে বলে শঙ্কা করা হচ্ছে। এখনও নিখোঁজ রয়েছেন অনেকে।

মিয়ানমারের এই ভয়াবহ ভূমিকমম্পের বিধ্বংসী শক্তি ছিল ৩৩৪টি পরমাণু বোমার সমান। যুক্তরাষ্ট্রের ভূতত্ত্ববিদ জেস ফনিক্স দেশটির গণমাধ্য সিএনএনকে বলেছেন, মিয়ানমারের ভূমিকম্প যে পরিমাণ শক্তি নির্গত করেছে তা প্রায় ৩৩৪টি পরমাণু বোমার সমান।

আগামী আরও অন্তত দুই মাস মিয়ানমার ভূমিকম্পের ঝুঁকিতে থাকবে বলে সতর্কবার্তাও দিয়েছেন এই ভূতত্ত্ববিদ। তিনি বলেছেন, ইন্ডিয়ান টেকটোনিক প্লেট এবং ইউরেশিয়ান টেকটোনিক প্লেটের ওপর মিয়ানমারের অবস্থান। এ দু’টি প্লেটের স্থানান্তরের কারণেই ভূমিকম্প হয়েছে। এই স্থানান্তর আরও ২ মাস পর্যন্ত চলবে। এ কারণে আগামী দু’মাস ভূমিকম্পের ঝুঁকিতে থাকবে মিয়ানমার।

মিয়ানমারে শক্তিশালী ভূমিকম্পে ১,০০২ জনের বেশি মানুষের মৃত্যুর খবর আনুষ্ঠানিকভাবে পাওয়া গেছে। তবে প্রকৃত মৃতের সংখ্যা আরও বেশি হবে বলেই মনে করছেন সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা। এ ঘটনায় আহতের সংখ্যাও আড়াই হাজার ছাড়ানোর পথে। নিখোঁজ রয়েছে আরও অনেকে।

মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) আশঙ্কা করে বলেছে, মিয়ানমারের ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা ১০ হাজার ছাড়াতে পারে। ব্যাপক হতাহত ও ক্ষয়ক্ষতির ইঙ্গিত দিয়ে ইউএসজিএস লাল সতর্কতা জারি করেছে।

স্থানীয় সময় বেলা ১২টা ৫০ মিনিটে মিয়ানমারের কেন্দ্রীয় অঞ্চলে ৭ দশমিক ৭ মাত্রার এই ভূমিকম্প হয়। এর কেন্দ্র ছিল ভূপৃষ্ঠের ১০ কিলোমিটার গভীরে। ভূমিকম্পের কেন্দ্র মিয়ানমারের মান্দালয় শহর থেকে প্রায় ১৭ দশমিক ২ কিলোমিটার দূরে। শক্তিশালী এই ভূমিকম্পের পর থেকে দেশটিতে কমপক্ষে ১৪টি আফটারশক আঘাত হেনেছে।

এসব আফটারশক ৭ দশমিক ৭ মাত্রার শক্তিশালী ওই ভূমিকম্প আঘাত হানার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে আঘাত হানে, যার মাত্রা ছিল ৩ থেকে ৫। সবচেয়ে শক্তিশালী ছিল ৬ দশমিক ৭ মাত্রার ভূমিকম্প, যা বড় ভূমিকম্পের প্রায় ১০ মিনিট পরে আঘাত হানে।

এর মধ্যে দুটি ৪ দশমিক ৯ এবং ৬ দশমিক ৭ মাত্রার আফটারশক মিয়ানমারের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর মান্দালয় থেকে প্রায় ২০ মাইল দূরে ঘটেছিল, যেখানে যথেষ্ট ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। অন্যগুলো প্রধান ভূমিকম্পের উত্তর এবং দক্ষিণে আঘাত হানে।

সূত্র: বিবিসি, আল জাজিরা, রয়টার্স

RELATED ARTICLES
- Advertisment -
Google search engine

Most Popular