নিজস্ব প্রতিবেদক : জামালপুরের মেলান্দহে বিএনপি নেতার ওপর হামলার অভিযোগে করা মামলায় আওয়ামী লীগ নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) দুপুরে তাঁকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এর আগে সোমবার দিবাগত রাতে উপজেলার মালঞ্চ এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার মোঃ নবীণ (৪০) উপজেলার মালঞ্চ গাংপাড়া এলাকার মৃত ছলি উদ্দিনে ছেলে। তিনি নয়ানগর ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন।
জানা যায়, উপজেলা কৃষকদলের সহ-সভাপতি মোঃ আব্দুল মান্নান (৬০) সোমবার সকালে বাড়ি থেকে মালঞ্চ নতুন বাজারে যাওয়ার পথে মাছ হাটে পৌঁছলে তার উপর দেশীয় অস্ত্র নিয়ে এলোপাতাড়ি মারধর এবং মাথায় আঘাত করে। এসময় স্থানীয়রা এগিয়ে গেলে অভিযুক্ত আ.লীগ নেতারা পালিয়ে যায়। পরে উদ্ধার করে ওই কৃষক দলের নেতাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চলতি মাসের ২ তারিখে উপজেলার আওয়ামী লীগের ১১৮ জন নামীয়সহ অজ্ঞাত ১৫০ জন নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে নাশকতার অভিযোগে বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন তিনি। সেই মামলায় আওয়ামী লীগের ৫ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার হয়েছিল। গ্রেপ্তারকৃতরাসহ অন্যানরা জামিনে বের হয়েছে। জামিনে বের হয়েই হামলা করেছে বলে অভিযোগ আহতের পরিবারের।
এ ঘটনায় মঙ্গলবার আহত বিএনপি নেতা আব্দুল মান্নানের ছোট ভাই উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক মনোয়ার হোসেন মনু বাদী হয়ে আওয়ামীলীগ নেতা শাহ আলম (৫৮) শফিউল আলম শাহাবুদ্দিন (৫৫) সাজেদুল আলম মিস্টার (৫৩) ওয়াদুদ আনসারী লিটন (৩৮) ছাত্রলীগ নেতা আল আমিন (৩৫)সহ ৩২ জনের নাম উল্লেখ ও ৪০ জন অজ্ঞাত আওয়ামীলীগ পন্থী নেতাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করলে পুলিশ অভিযান চালিয়ে রাতেই একজনকে গ্রেপ্তার করে।
তবে এ বিষয়ে অভিযুক্ত আওয়ামীলীগ নেতা ও নয়ানগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শফিউল আলম শাহাবুদ্দিন জানান, বিএনপি নেতা মান্নানের স্ত্রী নয়ানগর ইউনিয়নের সংরক্ষিত মহিলা মেম্বার। আমার বিরুদ্ধে বার বার মিথ্যা মামলা দিচ্ছে। তার উদ্দেশ্য আমাকে সরিয়ে তার তার স্ত্রীকে প্যানেল চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করার।
মেলান্দহ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ মাসুদুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত বলেন, বিএনপির নেতার ওপর হামলার অভিযোগে করা মামলায় মোঃ নবীন পঁচিশ নম্বর আসামি ছিলেন। সোমবার রাতে তাঁকে আটক করে মঙ্গলবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। মামলার অন্যান্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেস্টা অব্যাহত আছে।