নিজস্ব প্রতিবেদক: ক্রেতা কম, বিক্রি মন্দা-এমন কথা অহরহ শুনতে হয় ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায়। তবে বিক্রেতাদের এই দাবি মানতে নারাজ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। তাদের দাবি, মেলার ২৮ দিনে ভ্যাট আদায় বেড়েছে বছর ব্যবধানে প্রায় ৭০ শতাংশ। অন্যদিকে বিক্রি বেড়েছে ১০ শতাংশের বেশি।
এবারের ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার ২৯তম আসরে ৩৫১টি স্টল-প্যাভিলিয়নে দেশীয় প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে অংশ নিয়েছে ভারত, পাকিস্তান, তুরস্কেরসহ ১১টি বিদেশি প্রতিষ্ঠান।
এই মেলার শুরু থেকেই পণ্যের মান ও দাম নিয়ে বিস্তর অভিযোগ করে আসছেন ক্রেতারা। তারা জানান, শেষ দিকে এসে অফার ও ছাড় দিলেও মাসজুড়ে চড়া দাম নিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। তাছাড়া মানও তুলনামূলক খারাপ। এরমধ্যেই বেচাকেনায় সন্তুষ্টির কথা জানাচ্ছে বড় প্রতিষ্ঠানগুলো। যদিও ছোট প্রতিষ্ঠানগুলো বলছে, মেলায় দর্শনার্থী এলেও ক্রেতা পাচ্ছেন না তারা।যদিও তাদের বিক্রি মন্দার দাবিকে নাকচ করে দিচ্ছে ভ্যাট আদায়ের তথ্য।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) পরিসংখ্যান বলছে, গত ২৮ দিনে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা থেকে ৩ কোটি ৮ লাখ ৩৮ হাজার ৬৯৬ টাকা ভ্যাট আদায় করেছে সংস্থাটি।
গত বছরের একই সময়ের তুলনায় যা প্রায় ৬৮ শতাংশ বেশি। ৫ শতাংশ ভ্যাটের হিসাবে এ সময়ে ৩৬ কোটি ৭২ লাখ ৯৫ হাজার টাকার পণ্য বিক্রি হলেও এবার সাড়ে ৭ শতাংশ ভ্যাট হিসাবে একই সময়ে বিক্রি হয়েছে ৪১ কোটি ১১ লাখ ৮২ হাজার টাকার পণ্য। অর্থাৎ বছর ব্যবধানে এবার মেলায় বিক্রিও বেড়েছে ১০.৬৭ শতাংশ।
ভ্যাট জমা নেয়া প্রতিষ্ঠান ও ব্যাংকগুলো বলছে, মেলায় বেচাবিক্রি ভালো হচ্ছে। ফাঁকি বন্ধে এনবিআরের তৎপরতা বাড়ায় বেড়েছে ভ্যাটের আদায়।
ব্যাংকভিত্তিক হিসাব বলছে, প্রথম ২৮ দিনে সোনালি ব্যাংক ১ কোটি ২ লাখ আর ইসলামি ব্যাংকে প্রায় ২ কোটি টাকা ভ্যাট জমা দিয়েছেন বিক্রেতারা।