রাঙামাটি প্রতিনিধি: কাপ্তাই লেক ঘীরে জীবন-যাপন চলে আশেপাশে বসবাসকারী কৃষক পরিবারগুলোর। এই লেকের তীরে জেগে ওঠা ভাসমান চর নিয়েই তাদের জীবন চলার স্বপ্ন। তাইতো প্রতিনিয়ত তারা অপেক্ষায় থাকে কখন আসবে শীত, কখন নামবে লেকের পানি, কখন জেগে ওঠবে ভাসমান চর। জেগে ঔঠলে সেখানে তারা বিভিন্ন ফসলের চাষ করবে। এ লেকের চরের মাটি চাষের উপযোগী হওয়াতে কৃষকরা বেশ লাভবান হয়ে থাকে।
এবারও তার ব্যাতিক্রম হয়নি। অপেক্ষার পালাবদলে চলমান শীত মৌসুমে পানি হ্রাস পাওয়ার সাথে সাথে লেকের তীরে ভাসমান চর জেগে উঠায় কৃষকের মুখে হাসি ফুটে উঠেছে। লেকের তীরে শীত মৌসুমের হরেক রকমের শাকসবজি ও মৌসুমি ফল চাষাবাদ চলছে। ইতি মধ্যে শাকসবজি বিক্রয় করে কৃষকরা লাভবান হয়েছে অনেকেই।
সম্প্রতি কাপ্তাই হ্রদ সংলগ্ন বিলাইছড়ি, শুক্কুর ছড়ি, আলিখ্রিয়াং, কেংড়াছড়ি ও কাপ্তাইয়ের বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে দেখা মিলে কাপ্তাই হ্রদের জেগে ওঠা চরে কৃষকরা বিভিন্ন শাকসবজি ও মৌসুমি ফল চাষে ব্যস্ত সময় পার করছে। হ্রদের যেই অংশে পানি কমছে সেখানে কৃষকরা লাউ, কুমড়া, বরবটি, লালশাক, পালংশাক, ঢেড়শ, শিম, মরিচ টমেটোর চাষ করছে। আবার অনেক কৃষক তরমুজ, ও বিভিন্ন জাতের ধান চাষ করছে।
বিলাইছড়ি কৃষক মংলাকং মারমা, রাইখঅং মারমা এবং কাপ্তাইয়ের কৃষক শাহাবুদ্দীন নয়ন ও শফি জানান, আমরা প্রতি বছর অপেক্ষা করি কখন হ্রদের পানি কমা শুরু করবে। পানি হ্রাস পাওয়ার সাথে শুরু হয় আমাদের বিভিন্ন মৌসুমি ফলের চাষ। প্রতিবছর এই মৌসুমে হ্রদের চরে চাষকৃত ফসল বিক্রি করে বেশ লাভবান হয়ে থাকি।
কৃষক শাহাবুদ্দিন শফি আরো জানান, লালশাক, কুমড়া শাক, শিম বিক্রয় ইতিমধ্যে লাভবান হয়েছি। সামনে পানি আরো হ্রাস পেলে আমরা শুকিয়ে যাওয়া ভাসমান হ্রদে আরো বেশি ফসল উৎপাদন করতে পারবো। কেংড়াছড়ির কৃষক ইদিস ও ফজলু জানান, এবার ধারণা করা হচ্ছে আগের বছরের তুলনায় আরো ভালো ফসল পাওয়া যাবে।
কাপ্তাই উপজেলা কৃষি অফিসার মোঃ ইমরান আহমেদ জানান, কাপ্তাই হ্রদে শুষ্ক মৌসুমে জেগে ওঠা চর। সেখানে স্থানীয়রা বিভিন্ন ফসলের চাষ করে লাভবান হয়। আমরা কৃষিবিভাগ থেকেও তাদের বিভিন্ন ভাবে সহযোগীতা করে থাকি। যার ফলে কৃষকরা এসব জমিতে চাষ করে লাভবান হয়ে থাকে।