ঢাকা  মঙ্গলবার, ৬ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ; ২০শে মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ          সরকারি নিবন্ধন নং ৬৮

spot_img
Homeলিডডিসেম্বরেও রাজধানীতে এডিসের ঘনত্ব আশঙ্কাজনক

ডিসেম্বরেও রাজধানীতে এডিসের ঘনত্ব আশঙ্কাজনক

নিউজ ডেস্ক : গত মাসে রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) জরিপে দেখা যায়, দুই সিটি করপোরেশনে ৯৯টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৫৬টিতে ব্রুটো ইনডেক্স বা এডিসের ঘনত্ব ২০-এর বেশি। রাজধানীর বেশিরভাগ এলাকাতেই এডিসের ঘনত্ব আশঙ্কাজনক। এতে বোঝা যায়, রাজধানীর বেশিরভাগ এলাকাই ঝুঁকিপূর্ণ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মশক নিধনে কার্যকর উদ্যোগের অভাবেই নিয়ন্ত্রণে আসছে না ডেঙ্গু।

সরকারি তথ্যমতে, চলতি বছর এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে প্রাণ হারিয়েছেন ৫শর বেশি মানুষ। এটি এক বছরে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ মৃত্যু। আর হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা প্রায় এক লাখ।

বছরের শেষ দিকে এসেও রাজধানীর হাসপাতালগুলোতে দেখা যাচ্ছে কমবেশি ডেঙ্গু রোগী। যদিও সাধারণত এ সময়টায় রোগীর চাপ তেমন একটা দেখা যায় না; কিন্তু এবারের চিত্র ভিন্ন। ডিসেম্বরের প্রথম চারদিনে ডেঙ্গু নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ২ হাজার ৮৪৫ জন; অর্থাৎ দৈনিক গড়ে ভর্তি ৭শর বেশি।

এ পরিস্থিতিতে আইইডিসিআরের জরিপে উঠে এলো শঙ্কা জাগানিয়া তথ্য। নভেম্বরে চালানো এ জরিপে দেখা যায়, রাজধানীর ৯৯টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৫৬টিতে এডিসবাহী মশার ঘনত্ব বা ব্রুটো ইনডেক্স ২০-এর বেশি। এর মানে দাঁড়ায়, ঢাকার বেশিরভাগ এলাকাতেই এডিস মশার উপস্থিতি চরম ঝুঁকিপূর্ণ স্তরে। এমনকি কোনো কোনো এলাকায় এডিসের ঘনত্বের মাত্রা ৭০।

আইইডিসিআরের উপদেষ্টা ডা. মুশতাক হোসেন বলেন, বিক্ষিপ্তভাবে কিছু কিটনাশক ছিটানো ছাড়া তো সংঘবদ্ধভাবে কোন কাজ নেই। কীটততত্ত্ববিদ দিয়ে দল গঠন করে এডিস মশার প্রজননস্থল খোঁজা হচ্ছে না, মশার লার্ভা ধ্বংস করা হচ্ছে না। ফলে ডেঙ্গুও নিয়ন্ত্রণে আসছে না।

জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. এম এইচ চৌধুরী বলেন, ‌ডেঙ্গুর প্রকোপ কমার কোন উদ্যোগই নেয়া হয়নি। মশা মারা হচ্ছে না, ডেঙ্গুর ভাইরাস নিয়ে গবেষণা হচ্ছে না এবঙ মশা মারার জন্য পরিকল্পনাও নেই। অবশ্য এ পরিস্থিতির জন্য জলবায়ু পরিবর্তনও অনেকাংশে দায়ী।

RELATED ARTICLES
- Advertisment -
Google search engine

Most Popular