সুমন দত্ত: বিআরআইসিএম এর বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মশিউর রহমানের নি:শর্ত মুক্তি চাইলেন প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তা কর্মচারীবৃন্দ। শনিবার ঢাকা রিপোর্টস ইউনিটির সাগর রুনি মিলনায়তন হলে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি করেন তারা। মশিউর রহমানের গ্রেফতারে একই প্রতিষ্ঠানের পদস্থ কর্মকর্তা মালা খানের ভূমিকা আছে বলে তাদের অভিযোগ। এ কারণে মালা খানের বরখাস্ত চান তারা। নামের মিল থাকায় মশিউরকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
বক্তারা বলেন, ৫ আগস্ট ছাত্র আন্দোলনে মালা খান গিরগিটির মতো রং বদলিয়ে বিএনপি শিবিরে যোগ দেয়। তারপর প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন কর্মকর্তা কর্মচারীকে বিভিন্ন মামলায় জড়িয়ে দেন। এরই ধারাবাহিকতায় গত বুধবার প্রতিষ্ঠানের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মশিউর রহমানকে নিউমার্কেট থানার ওসির ও ছাত্রদল নামধারী কিছু লোকের সহায়তায় তাকে তুলে নেওয়া হয়। অথচ মশিউর রহমান ছাত্রলীগ করতেন না। ছাত্রলীগ করত এমন এক নেতার সঙ্গে নামের মিল থাকায় তাকে গ্রেফতার করে নিয়ে যাওয়া হয়। এজন্য তারা সমন্বয়কদের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলেছেন। সমন্বয়কদের পক্ষে উম্মে ফাতেমা এ বিষয়ে বলেন, সঠিক ব্যক্তিকে যেন গ্রেফতার করা হয়। নিরপরাধ মানুষকে যেন হয়রানি না করা হয়।
তারা আরো বলেন, পুলিশের কাছে মশিউর রহমানের নামে যেসব ছবি আছে তা ভুয়া। সেগুলো বানানো। খালেদা জিয়ার গাড়ি বহরে যিনি হামলা করেছিলেন তার নাম মশিউর রাহমান রুবেল। আর যাকে গ্রেফতার করা হয়েছে তিনি মশিউর রহমান। তিনি ছাত্রলীগ করতেন না। অথচ ডিএমপির ফেসবুক পেজে এই অসত্য দেখানো হয়েছে। তাদের দাবি খালেদা জিয়ার গাড়িতে হামলাকারীকে নিয়ে একই সংবাদ দৈনিক প্রথম আলো সহ অনেকে করেছে। সেগুলো দেখে সিদ্ধান্ত নিতে পারেন পুলিশ কর্তৃপক্ষ।