ঢাকা  মঙ্গলবার, ৬ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ; ২০শে মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ          সরকারি নিবন্ধন নং ৬৮

spot_img
Homeঅর্থনীতিমুদ্রার বিনিময় হার বাজারভিত্তিক করতে বাংলাদেশ ব্যাংকের উদ্যোগ চায় আইএমএফ

মুদ্রার বিনিময় হার বাজারভিত্তিক করতে বাংলাদেশ ব্যাংকের উদ্যোগ চায় আইএমএফ

নিউজ ডেস্ক:  বিদেশি ফের তাগাদা দিল আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) প্রতিনিধি দল। বুধবার বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে বৈঠকে এ তাগাদা দেয় সংস্থাটির একটি প্রতিনিধি দল।

বাংলাদেশকে দেয়া ঋণের চতুর্থ কিস্তি ছাড়ের আগে সবশেষ তৃতীয় কিস্তির অর্থের ব্যবহার ও শর্ত পরিপালনের অগ্রগতি দেখতে সংস্থার গবেষণা বিভাগের ডেভেলপমেন্ট ম্যাক্রোইকোনমিকস বিভাগের প্রধান ক্রিস পাপাজর্জিওর নেতৃত্বে ১৩ সদস্যর প্রতিনিধি দলটি গত ৪ ডিসেম্বর থেকে সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের সঙ্গে বৈঠক করছে।

এ ব্যাপারে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক হুসনে আরা শিখা বলেন, গত তিন মাস ধরেই একটি জায়গায় স্থির আছে বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হার। দর পুরোপুরি বাজারমুখি করতে পরামর্শ দিয়েছে আইএমএফ, যাতে ডলারের দর স্বয়ংক্রিয়ভাবে বাজারের চাহিদা ও যোগানের সঙ্গে সমন্বয় করে ওঠা-নামা করে। বৈঠকে আইএমএফ এর প্রতিনিধিরা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তাদের ডলারের বিনিময় হার নিয়ে গত ছয় মাসের একটি গ্রাফ দেখান। সেখানে দেখা যায়, গত সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বর পর্যন্ত অর্থাৎ গত তিন মাস ডলারের বিনিময় হারের রেখায় কোনো ওঠানামা হয়নি। সে কারণে বিনিময় হার উন্মুক্ত করতে ক্রলিং পেগ পদ্ধতি বাস্তবায়ন করার পরামর্শ দিয়েছেন আইএমএফ কর্মকর্তারা।

ঋণের দ্বিতীয় কিস্তি বাস্তবায়নের পরে তৃতৃীয় কিস্তি ছাড়ের আগে বৈদেশিক মুদ্রার সংকট কাটাতে ক্রলিং পেগ পদ্ধতি চালুর এই শর্ত জুড়ে দিয়েছিল আইএমএফ। সে অনুযায়ী গত মে মাসে দ্বিতীয় কিস্তির রিভিউ পর্যালোচনা চলাকালে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়ে ক্রলিং পেগ পদ্ধতির বাস্তবায়ন শুরু করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এরপর মুদ্রানীতিতেও ‘ক্রলিং পেগ’ বাস্তবায়ন করার ঘোষণা আসে। ক্রলিং পেগ হল স্থানীয় মুদ্রা টাকার বিপরীতে বৈদেশিক মুদ্রার মান সমন্বয়ের একটি পদ্ধতি। কোনো মুদ্রার বিনিময় হারকে একটি নির্দিষ্ট সীমার মধ্যে ওঠানামা করার অনুমতি দেয়া হয়, যাকে ক্রলিং পেগ মিড রেট (সিপিএমআর) বলেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এক্ষেত্রে মুদ্রার দরের সর্বোচ্চ এবং সর্বনিম্ন সীমা নির্ধারণ করা থাকে। ফলে একবারেই খুব বেশি বাড়তে পারে না, আবার কমতেও পারে না।

প্রসঙ্গত, আইএমএফের ঋণ চুক্তির পরিকল্পনা অনুযায়ী চতুর্থ কিস্তিতে বাংলাদেশের জন্য বরাদ্দ আছে ৮ কোটি ৩৩ লাখ এসডিআর। চতুর্থ কিস্তি পেলে মোট ৩৫ কোটি ২৩ লাখ এসডিআর (আইএমএফ মুদ্রা) পেয়ে যাবে বাংলাদেশ, যা ৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলারের মোট ঋণের ৩৩ শতাংশ।

RELATED ARTICLES
- Advertisment -
Google search engine

Most Popular