নিউজ ডেস্ক: চট্টগ্রাম দোহাজারী অংশে ট্রেন চালু সময়োপযোগী ও জোড় দাবিতে পরিনত হয়েছে। চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার রেল লাইনে ট্রেন চালু হওয়ার পূর্বে আনুমানিক চট্টগ্রাম দোহাজারী লাইনে ট্রেন চালুর বয়স আনুমানিক ১০০ বছর অতিবাহিত হয়েছে ।
চট্টগ্রাম থেকে দোহাজারী এবং দোহাজারি থেকে চট্টগ্রামে চার জোড়া রেললাইন অতি সুন্দরভাবে চলাচল করতো কিন্তু বর্তমান সময়ে এসে চারজোড়া ট্রেন দূরে থাক একটি ডেমু ট্রেন চলাচল করতো তাও দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ । বর্তমানে দোহাজারী থেকে চট্টগ্রাম শহরে চাকুরী , ব্যবসা এবং লেখাপড়ার জন্য যারা বিভিন্ন কলেজ ও বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় আসা যাওয়া করেন তারা আবার নিজ নিজ কর্ম শেষ করে এলাকায় ফিরে যান ।
ইতিপূর্বে সিআরবি ভবনের মিলনায়তনে ২৯ শে জুন ২০২৪ সিনিয়র সচিব মহোদয় এবং ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ চট্টগ্রাম রেলস্টেশনের ভিআইপি লাউঞ্জে অংশীজন সভায় রেলের রাজস্ব বৃদ্ধিতে এবং বিভিন্ন সংস্কারের বিষয়ে ডা. মুহাম্মদ শাখাতয়াত হোসাইন হিরু বক্তব্য উপস্থাপন করে যা অনলাইন ও টেলিভিশন চ্যানেলে প্রচারিত ও স্থানীয় পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে ।
এখানে উল্লেখ্য যে চট্টগ্রাম থেকে দোহাজারী যাওয়ার পথে যে কয়েকটি স্টেশন রয়েছে তন্মধ্যে শুধুমাত্র দুইটি রেলস্টেশন অর্থাৎ পটিয়া এবং চক্রশালা রেল স্টেশন সড়ক পথের সাথে নিকটতম অবশিষ্ট স্টেশন যথাক্রমে ঝাউতলা , জানালী হাট , গোমদন্ডী, বেঙ্গুরা, ধলঘাট , খানমোহনা, খরনা , কাঞ্চন নগর, খানহাট এবং সর্বশেষ দোহাজারি রেলস্টেশনের অবস্থান আরাকান সড়ক থেকে অর্থাৎ যাতায়াতের মূল সড়ক থেকে কোনটির অবস্থান এক কিলোমিটার আবার কোনটির অবস্থান দেড় কিলোমিটার দূরে অবস্থিত ।
এক কিলোমিটার কিংবা দেড় কিলোমিটার দূর ভোরবেলা এবং রাত্রিবেলা যাতায়াত করতে গিয়ে অনেকে অনেক বিপদের সম্মুখীন হতে হয় যেমন চুরি , ডাকাতি, চিন্তাইকারী, খুন খারাপি পর্যন্ত সংগঠিত হয়ে থাকে । এরকম নানানবিদ সমস্যা থেকে উওরণের একমাত্র সহজ পথ হল চট্টগ্রাম দোহাজারী ট্রেন যদি অতি শীঘ্রই চালু করা যায় । বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষের বসবাস হলো উল্লেখিত স্টেশনগুলোর আশপাশে যারা অবস্থান করেন ।
শুধুমাত্র তাদের জন্য যাদের আয় খুবই স্বল্প পরিমাণে অর্থাৎ তাদের জন্য যদি মানবিক বিবেচনায় চিন্তা ভাবনা করে যদি চট্টগ্রাম দোহাজারী ট্রেনটি আবার চালু করা যায় তাহলে হাজার হাজার যাত্রী প্রতিনিয়ত উপকৃত হবেন । এখানে সব চাইতে বড় কথা হলো শুধু ট্রেন যাত্রীরা উপকৃত হবেন না বরঞ্চ বাংলাদেশ রেলওয়েরও রাজস্ব অনেকখানি বেড়ে যাবে ।
পরিশেষে এলাকাবাসী জানান যে কথাটি একেবারে বললেই নয় সেটি হল রেললাইন আছে, প্লাটফর্ম আছে, স্টেশন মাস্টার আছে , লোকবল আছে, কক্সবাজার পর্যন্ত সমস্ত কিছুর সেটআপ আছে তাহলে শুধুমাত্র কর্তৃপক্ষের সদিচ্ছায় যথেষ্ট ।