নিজস্ব প্রতিবেদক: জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানকে কেন্দ্র করে দেশব্যাপী গড়ে উঠেছে হাজারো মামলাবাজ চক্র। এই চক্রের কাজ শুধু মামলায় সমাজের পয়সাওয়ালা লোকজনের নাম ঢুকিয়ে অর্থ কামানো। এতে সহায়তা করছে পুলিশ ও এলাকায় গড়ে উঠা নব্য ফ্যাসিস্ট বিরোধী শক্তির নামে এক অপরাধী চক্র।
যারা বিভিন্ন সময়ে ভোল পালটিয়ে রাজনীতি করে। যখন যে ক্ষমতায় থাকে তখন তাদের সমর্থক সেজে মাল কামানোর ধান্দায় থাকে। এমন একটি চক্রের সন্ধানে রয়েছে পুরান ঢাকার সূত্রাপুর থানার স্থায়ী বাসিন্দাদের কয়েকজন।
সম্প্রতি পুলিশের অনুসন্ধান থেকে জানা যায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ৪৪ নম্বর ওয়ার্ডের, ঠাকুর দাস লেনের বেশ কয়েকটি বাড়ির মালিককে টার্গেট করে একটি মামলাবাজ চক্র এলাকায় গোপনে সক্রিয় রয়েছে।
এই মামলাবাজ চক্র বিল্লাল হোসেন নামক এক ব্যক্তিকে দাঁড় করিয়ে আদালতে ম্যাজিস্ট্রেট সামনে সাবেক এমপি হাজি সেলিমের নামে কোতওয়ালি থানায় নালিশি মামলা করে। যার মামলা নম্বর সিআর-১৮৬০/২০২৪ (কোতওয়ালি)
সেই মামলায় অজ্ঞাত আসামিদের যে নামের তালিকা দেওয়া হয়েছে তাতে ঢুকে পড়েছে সাংবাদিক, ব্যবসায়ী, গৃহিণী, স্বামী হারা এতিম নারী, প্রাইভেট হাসপাতালের ক্যাশিয়ার, টিসিবির চাল বিক্রেতাসহ অনেকের নাম। যা পুরান ঢাকার বহু বাসিন্দাদের অবাক করেছে।
এলাকায় সদ্য গজিয়ে ওঠা এই মামলাবাজ চক্র কারা তা জানতে তৎপর রয়েছে পুরো এলাকাবাসী। তবে সন্দেহের তীর এলাকার মাদক ব্যবসায়ী, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের দখলবাজ, চাঁদাবাজ চক্রের দিকে। যাদের কারো কারো রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা রয়েছে। উপযুক্ত প্রমাণ পেলে তাদের নামের তালিকা সংশ্লিষ্ট রাজনৈতিক দলের কাছে প্রেরণ করা হবে এবং তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও হয়রানীর অভিযোগ এনে আদালতের মাধ্যমে প্রতিকার চাওয়া হবে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায় সমন্বয়ক পরিচয় দিয়ে এলাকায় একটি চক্র যাকে তাকে মামলায় জড়িয়ে দেবার হুমকি প্রদর্শন করেছে। এরা কারা তাদের কে সনাক্তের চেষ্টায় রয়েছে এলাকার অন্যরা। শোনা যাচ্ছে জুলাই আগস্টের পর জেল থেকে ছাড়া পেয়ে কিছু বিএনপি সমর্থিত রাজনৈতিক কর্মী এই মামলাবাজ চক্রের সঙ্গে জড়িত। এরা নিজেদের ব্যক্তিগত স্বার্থে অরাজনৈতিক ব্যক্তিদের নামে মামলা দিচ্ছে।
বিষয়টি কোতওয়ালি থানা ও সূত্রাপুর থানার তদন্তকারী পুলিশ কর্মকর্তাদের ইতিমধ্যে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। তারা অচিরেই এই বিষয়ে সুষ্ঠু তদন্ত করে আদালতে সঠিক প্রতিবেদন দেবেন বলে জানিয়েছেন।
মামলাবাজ চক্রের পর্দা ফাঁস করতে সবাই একজোট হয়েছে। যেদিন এদের পর্দা ফাঁস হবে সেদিন তাদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগ জানিয়ে এর বিচার ও প্রতিকার চাওয়া হবে।
কেবি