তবুও আছো তুমি..
চৌধুরী নূরুল হুদা
অনেক দূরে আছো জেনেও ভুলে যাই বারবার
তুমি নাই
অনেক ব্যড়িকেট পার হয়ে লজ্জার মাথা খেয়ে তোমার সামনে যেতে হয় জানি, তবুও
তেত্রিশ বছর চোখ বুজে রাখা দূরত্বের যন্ত্রণা পেরিয়ে এই আমি! অনঙ্গ তোমার লাবণ্য মাখা মুখ বুকের পাঁজরে রেখেছি নিরেট নিখাদ আলোময়
প্রতিদিন সূর্য উঠে পূর্ব দিকে যেমন আর পশ্চিম দিকে অস্ত যায়
মাঝখানে হাতের সাথে হাত, পায়ের সাথে পা মিলিয়ে সন্ধ্যা নামে ঠিক
জলের সাথে নদীর কলতান ঢেউ, দু’পারে বিচিত্র সমাহার দলবেঁধে উড়ে পাখি
তখন মনে হয় সঙ্গে আছো তুমি,পাশাপাশি
রেললাইনের উপর দিয়ে ট্রেন দ্রুতগামী লাবণ্য মুখ খানি তোমার
তার ছায়া পাখির ঠোঁটে কোমল নক্ষত্রের আলোর মতো ভেসে আসো তুমি
আমার বুকের তীরে ছড়িয়ে দাও শিশির,
মনে হয়, ভোরের পাখির মতো কন্ঠ তোমার,
লতা কলমির মতো খুব কাছে,অনতিদূর
তুমি হেঁটে যাও সঙ্গে আছি আমি,
তুমি হাটে যাও,সদাই কিনো, ঘরে আনো
রান্না করো,
আমি দেয়ালে হেলান দিয়ে তোমার লাবণ্য মুখ খানি দেখি
স্বপ্ন নয় বাস্তব,সত্যি তুমি রান্না করছো সুগন্ধ ছড়িয়ে পড়ে পাড়াময়
মালতিরা বাগানের সুগন্ধ নিতে আসে
পায়না খুঁজে তোমার দৃশ্যত ছবি
আমি বলি সুগন্ধ রান্না ঘরে আছে,
আমি পাই, মালতিরা পায়না কিছুই
আমার মনের ঘরে কে আসে, যায়!
অনেক দূর আছো জেনেও ভুলে যাই বারবার
তুমি নাই…তবুও আছো তুমি..।