ডেস্ক নিউজ : গাজীপুর সদর উপজেলার জয়দেবপুর থানাধীন নয়নপুর এলাকায় সালাহউদ্দিন চেয়ারম্যানের বাড়ির রাস্তায় ১৪ মে ২০২৫, বিকেল ৪টা ৪৫ মিনিটে একটি কভার্ডভ্যান থামিয়ে চালকের কাছ থেকে তিন লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করেছে একটি সংঘবদ্ধ চক্র। চালক ভয় পেয়ে থানায় আশ্রয় নিলে পুলিশ তাৎক্ষণিক অভিযানে গিয়ে এজহারভুক্ত তিন আসামি—শাকিল, হারুন ও রনিকে গ্রেফতার করে।
ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী মো. আলমগীর জয়দেবপুর থানায় দেওয়া অভিযোগে উল্লেখ করেন, তিনি নেসলে বাংলাদেশ লিমিটেড থেকে সংগৃহীত মালামাল—ওয়েস্টেজ কার্টুন, ছেঁড়া বস্তা ও অন্যান্য সামগ্রী—পরিবহনের জন্য ৮-১৪-৪৪৩১ নম্বরের একটি কভার্ডভ্যান ভাড়া করেন। চালক মো. সোহাগ (২০), পিতা- ইসমাইল, মাইজদী, নোয়াখালী পণ্যবাহী ভ্যানটি চালিয়ে গন্তব্য নয়নপুরে পৌঁছালে সালাহউদ্দিন চেয়ারম্যানের বাড়ির রাস্তার কাছে একদল ব্যক্তি ভ্যানটি থামিয়ে দেয়।
অভিযোগে বলা হয়, অভিযুক্তরা চালককে তিন লক্ষ টাকা চাঁদা দিতে বলে এবং চাঁদা না দিলে কভার্ডভ্যান না ছাড়ার হুমকি দেয়। তারা চালানের কাগজ জাল বলেও ভয়ভীতি দেখায় এবং আর.পি. চেকপোস্টের পাশে কভার্ডভ্যানটি আটকে রাখে।
চালক ঘটনাটি তাৎক্ষণিকভাবে জয়দেবপুর থানা পুলিশকে জানালে পুলিশ কভার্ডভ্যানটি থানায় নিয়ে আসে এবং মালামাল হেফাজতে রাখে।
ওসি আব্দুল হালিম বলেন, “অভিযোগ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই এসআই হাদিউল ইসলামের নেতৃত্বে অভিযান পরিচালনা করা হয়। এজহারভুক্ত তিন আসামি—শাকিল, হারুন ও রনি—কে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।”
ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী মো. আলমগীর বলেন,”চাঁদা না দিলে তারা আমার চালককে মারধরের হুমকি দেয় এবং পণ্য আটকে রাখে। আমি থানায় আশ্রয় না নিলে হয়তো বড় বিপদ হয়ে যেত। ওসি আব্দুল হালিম সাহেব আমার ফোন পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে কার্যকর ভূমিকা গ্রহণ করেন।”
জানা গেছে, এজহারভুক্ত আরও কয়েকজন পলাতক রয়েছে। পুলিশ বলছে, মামলাটি তদন্তাধীন এবং বাকি আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত আছে।