নিউজ ডেস্ক: অতিবৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে প্লাবিত হয়েছে নেত্রকোনার খাল ও পুকুরসহ সব ধরনের জলাশয়। এর ফলে জেলার কলমাকান্দা, দুর্গাপুর, পূর্বধলা, বারহাট্টা ও সদর উপজেলার প্রায় দেড় হাজার মাছচাষির চাষের মাছ ভেসে গেছে বন্যার পানিতে।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা শাহজাহান কবীর জানান, সর্বশেষ বন্যায় নেত্রকোনার পাঁচ উপজেলায় দেড় সহস্রাধিক পুকুর ও ফিশারির ৮ কোটি ২৪ লাখ ৬৫ হাজার ৩২০ টাকার মৎস্য সম্পদের ক্ষতি হয়েছে। তবে প্রকৃত ক্ষতির পরিমাণ আরো বেশি বলে দাবি করেছেন ক্ষতিগ্রস্ত পুকুর ও ফিসারির মালিক এবং স্থানীয় বাসিন্দারা।
ধীরে ধীরে কমতে শুরু করেছে কংস, সোমেশ্বরী, ধনু, মগড়াসহ সবকটি নদ-নদীর পানি। তবে কলমাকান্দার উব্দাখালী নদীর পানি এখনও বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সারওয়ার জাহানের তথ্য অনুযায়ী, নেত্রকোনার বিভিন্ন উপজেলায় অন্তত ২৭টি ইউনিয়নে দেড় শতাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দি হয়ে আছেন দেড় লক্ষাধিক মানুষ। প্রায় ২৪ হাজার ৬৬৭ হেক্টর জমির আমন ধান পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে। পাঠদান বন্ধ রাখা হয়েছে ২ শতাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের। প্রায় ৩১০ কিলোমিটার গ্রামীণ সড়ক এখনো পানির নিচে রয়েছে।
কলমাকান্দা, পূর্বধলা এবং সদর উপজেলার কালিয়ারা গাবরাগাতীসহ দুর্গম এলাকায় এখনো পৌঁছেনি ত্রাণ। কিছু কিছু এলাকায় চলছে সেনাবাহিনী, স্থানীয় প্রশাসন এবং বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ত্রাণ বিতরণ। তবে তা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল বলছেন স্থানীয়রা।