বখতিয়ার রহমান, পীরগঞ্জ (রংপুর) : রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার সরকারী জলমহাল কাবিলপুর ইউনিয়নের মানসীর বিল নিয়ে উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে কর্তৃপক্ষের সুষ্ট পদক্ষেপের অভাবে একাধিক সুত্রে জানা গেছে, উপজেলার কাবিলপুর ইউনিয়নের ২ একর ১৫ শতাংশ আয়তন বিশিষ্ট একটি সরকারী জলমহাল মানসীর বিল রয়েছে ।
সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা বখতিয়ার হোসেন বিগত ২৩/১২/২৪ ইং সনে স্বাক্ষরিত এক আদেশে ৩ হাজার টাকা কালেকশন সাপেক্ষে মৎস্য আহরণের জন্য কাবিলপুর গ্রামের মৃত্য গনি আকন্দের পুত্র বাবলু আকন্দ কে উক্ত বিল লিজ প্রদান করেন। লিজ প্রাপ্তির পর মৎস্য জীবি বাবলু আকন্দ মোটা অংকের অর্থ ব্যায়ে উক্ত বিলে মাছ চাষের উদ্যেগ নেন । এদিকে উক্ত ভূমি সহকারী কর্মকর্তা ০১/০১/২০২৫ ইং তারিখে স্বাক্ষরিত অপর এক আদেশে বিলটির পুর্বের খাস কালেকশনের কার্যক্রম বাতিল করে বাবলু আকন্দ কে নোটিশ প্রদান করেন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেন বাবলু আকন্দ ।
এদিকে বিষয়টি জানার পর কাবিলপুর গ্রামের সাহেব উদ্দিনের পুত্র জাহিদুল ইসলাম নিজেকে ৯৯ বছরের জন্য উক্ত বিলের লিজ গ্রহীতা দাবী করে ২৫ জানুয়ারি পীরগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগ পেয়ে কাবিলপুর ইউনিয়ন পুলিশের বিট কর্মকর্তা এসআই মমতাছির হাসান সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে উক্ত বিলে বাবলু আকন্দের পক্ষের লোকজনের মাছ শিকার বন্ধ করে মৎস্য জীবিদের জাল আটক করেন । পরক্ষনেই সেখানে শতাধিক লোকের আগমন ঘটে এবং পুলিশের সঙ্গে বাকবিতন্ডার এক পর্যায়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ফিরে যায় ।
অপর দিকে পীরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে গত ১ জানুয়ারী/২০২৫ ইং তারিখে ০৫.৪৭.৮৫৭৬.০০০.১২.০০৭.২৪.১০ নং স্বারকে উক্ত বিলটি ইজারা প্রদানের জন্য বিজ্ঞপ্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয় ।
সর্বপরি মানাসির বিল নিয়ে ইউনিয়ন ভুমি সহকারী কর্মকর্তার খাস কালেকশনের আদেশ, পরবর্তিতে বাতিল, এক পক্ষের লিজ গ্রহনের দাবী এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে ইজারা প্রদানের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ নিয়ে এক উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে । এলাকার অনেকে আশংকা করছেন রক্তক্ষয়ি সংঘর্ষের ।
এ পরিস্থিতি অবসানে গত শনিবার দিবাগত রাতে নিজ কাবিলপুর নয়া বাজার স্থানীয় জনগন এক প্রতিবাদ সভা করেন । এতে বক্তব্য রাখেন সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান শামসুল আলম, মৎস্য জীবির বাবলু আকন্দ এবং মোজাহার আলি প্রমুখ । সভায় বক্তারা বলেন, প্রশাসনের গাফিলতি আর ভুলের কারনে বর্তমানে মানসীর বিল নিয়ে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছে । বিরাজ করছে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি । তাই তারা এ ব্যাপারে প্রশাসনের জর”রী হস্তক্ষেপ কামনা করছেন ।
এ ব্যাপারে ইউনিয়ন ভুমি সহকারী কর্মকর্তা বখতিয়ার হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, স্যারের নির্দেশে লিজ প্রদান করি এবং স্যারের আদেশ পেয়ে খাস কালেকশন কার্যক্রম বাতিল করি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খাদিজা বেগম গণমাধ্যমকে বলেন, অই বিলের কাগজ পত্র না দেখে আমি কিছু বলতে পারবো না ।