ঢাকা  বৃহস্পতিবার, ২৮শে কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ; ১৩ই নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ          সরকারি নিবন্ধন নং ৬৮

spot_img
Homeআইন ও আদালতঅনলাইন জুয়া ও পর্নোগ্রাফি বিজ্ঞাপন বন্ধে কঠোর অবস্থান

অনলাইন জুয়া ও পর্নোগ্রাফি বিজ্ঞাপন বন্ধে কঠোর অবস্থান

নিউজ ডেস্ক : বর্তমানে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির বিস্তারে অনলাইন জুয়া ও পর্নোগ্রাফি (অশ্লীল সামগ্রী) বিজ্ঞাপন সামাজিক সংকটে পরিণত হয়েছে। সরকারের কঠোর অবস্থান ও আইনগত উদ্যোগ এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় কেন্দ্রীয় ভূমিকা রাখছে।

বাংলাদেশে পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০১২ – এই আইন অনুযায়ী পর্নোগ্রাফি উৎপাদন, বিতরণ, প্রদর্শন ও অধিকার রাখা নিষিদ্ধ।

আইন বলেছে যে, ইন্টারনেট বা যেকোনো ইলেকট্রনিক ডিভাইসের মাধ্যমে পর্নোগ্রাফি সরবরাহ করা হলে দায় স্বীকার কর হবে, এবং সর্বোচ্চ পাঁচ বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ডের বিধান থাকবে।

জুয়া বিষয়ে, যদিও পুরনো সময়ের “পাবলিক গ্যাম্বলিং আইন, ১৮৬৭” প্রযোজ্য রয়েছে, অনলাইন জুয়াকে নির্দিষ্টভাবে নিয়ন্ত্রিত করার জন্য একটি আধুনিক এবং স্পষ্ট আইন প্রণীত হচ্ছে।

নতুন সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ / নিয়মাবলী, ২০২৫–এর অধীনে অনলাইন জুয়া সংক্রান্ত কার্যক্রম, প্রচারণা বা লেনদেনকে একাধিক ধারা দ্বারা অপরাধ হিসেবে ধরা হয়েছে।

অপরাধ তদন্ত বিভাগের (CID) উদ্যোগে দেশে অনলাইন জুয়া ও বেটিং-এর বিরুদ্ধে একটি সামগ্রিক অভিযান শুরু হয়েছে।

তারা ইতিমধ্যে ৫,০০০ এর বেশি মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস (MFS) একাউন্ট শনাক্ত করেছে, যা জুয়া লেনদেনের সঙ্গে যুক্ত।

এজন্য সংশ্লিষ্ট MFS এজেন্টদের নাম বাংলাদেশ ব্যাংকে পাঠানো হয়েছে এবং লাইসেন্স বাতিল ও জরিমানা প্রস্তাব করা হয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংক সব ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে নির্দেশ দিয়েছে যেন তারা AI-চালিত মনিটরিং ব্যবহার করে অনৈধ জুয়া লেনদেন শনাক্ত ও রিপোর্ট করে।

সন্দেহভাজন লেনদেনের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট তথ্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে প্রেরণ করতে বলা হয়েছে।

২০১৯ সালে প্রায় ২০,০০০ টি ওয়েবসাইট, বিশেষ করে পর্নোগ্রাফি ও জুয়া বিষয়ক বিজ্ঞাপন বর্জনসহ ব্লক করা হয়েছিল।

উচ্চ আদালতের নির্দেশে অনলাইন অশ্লীল ও জুয়া বিষয়ক বিজ্ঞাপন ও ইউটিউব, টিকটকসহ বিভিন্ন ডিজিটাল মাধ্যমেই নিয়ন্ত্রণের দাবি এসেছে।

যুব সমাজ ও পরিবারগুলোতে মূলত এই ধরনের অপরাধে যে ক্ষতি হয় — অর্থহানির কারণে মানসিক চাপ, পারিবারিক ভাঙন, লালিত কিশোরদের ভয়াবহ প্রভাব — তা সীমাহীন।

বিজ্ঞাপন প্রচার বা ওয়েবসাইট ব্লকিংয়ের প্রযুক্তি ক্রমে উন্নত হচ্ছে, ফলে কিছু প্ল্যাটফর্ম মুহূর্তে বাতিল করা বা ব্লকে ধরা যায় না।

কিছু খবর অনুযায়ী অনলাইন জুয়া ও পর্নোগ্রাফি অনেকক্ষেত্রে মানি লন্ডারিং আইনে যুক্ত করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে, আইনগত ব্যাকআপ তৈরি করা হচ্ছে।

এ প্রেক্ষাপটে, স্কুল, কলেজ ও সামাজিক মাধ্যমে জনসাধারণকে সচেতন করতে হবে — জুয়া ও অশ্লীল বিজ্ঞাপনের বিপজ্জনক দিকগুলো তুলে ধরা।

মানবাধিকার ও স্বাধীনতা প্রশ্ন: ব্লকিং ও সেন্সরশিপ কার্যক্রম কখনো কখনো অব্যাহতভাবে মিথ্যা অভিযোগ ও বাকস্বাধীনতার কমতি সৃষ্টি করতে পারে।

ব্লকিং ও মনিটরিংয়ে ভবিষ্যৎ-উপযুক্ত প্রযুক্তি প্রয়োগ করতে হবে।

ঢাকানিউজ২৪/মহফ

RELATED ARTICLES
- Advertisment -
Google search engine

Most Popular