গৌরীপুর (ময়মনসিংহ) সংবাদদাতা: ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার মইলাকান্দা ইউনিয়নের কাউরাট আকবর আলী দাখিল মাদ্রাসার সুপার মো. আল মামুন আকন্দের বিরুদ্ধে কাম্য যোগ্যতা ছাড়াই সুপার পদে নিয়োগ, অর্থ আত্মসাৎ, অভ্যন্তরীণ নিরীক্ষার নামে পকেট কমিটিসহ শিক্ষকদের মাঝে বিভাজন সৃষ্টির অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এসব বিষয়ে মাদ্রাসা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবরে অভিযোগ দায়ের করেছেন মাদ্রাসার সাবেক শিক্ষক ও দাতা সদস্য মো. আনোয়ার উদ্দিন। তিনি জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ জোবায়ের হাসানের বাবা। তিনি বলেন, সুপার গত বছরের ৬ এপ্রিল একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে ঘুস দেওয়ার কথা বলে ২০২৪ সনের টিউশন ফি থেকে ৫০ হাজার টাকা আত্মসাৎ করেছেন। এ বছরের ২৩ এপ্রিল টিউশন ফির ৬৯ হাজার টাকা থেকে শিক্ষকদের মাত্র ২৮ হাজার ১৪ টাকা দিয়েছেন। বাকি ৪০ হাজার ৯৮৬ টাকাই আত্মসাৎ করেছেন।
তিনি বিগত সরকারের আমলে নিয়োগ বাণিজ্য ও ৯৬-এ আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে দলীয় প্রভাব কাটিয়ে কাম্য যোগ্যতা ছাড়াই সুপার পদে নিয়োগ পেয়েছেন। যোগ্যতা ছাড়াই সুপার পদে নিয়োগ গ্রহণের বিষয়টি স্বীকার করেন মাদ্রাসার সুপার মো. আল মামুন আকন্দ। তিনি বলেন, সে সময় যে অভিজ্ঞতার থাকার কথা ছিল, আমার সে অভিজ্ঞতার যোগ্যতা ছিল না। সে কারণে তো আমি শাস্তিভোগ করেছি, প্রায় ১০ বছর পরে বেতন হয়েছে। অর্থ আত্মসাৎ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, মাদ্রাসার টিউশনি ফি’র টাকা উত্তোলন করে বিভিন্ন খাতে ব্যয় হয়েছে। জমিসংক্রান্ত খাতের টাকা ব্যয় হয়নি।
এ প্রসঙ্গে মাদ্রাসা ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ইউএনও এম সাজ্জাদুল হাসান বলেন, মাদ্রাসার সুপারের বিরুদ্ধে অভিডোগের ঘটনা তদন্তনাধীন রয়েছে। এসব অভিযোগ প্রসঙ্গে মাদ্রাসা অধিদপ্তরের উপপরিচালক (প্রশাসন) মোহাম্মদ আরিফুর রহমান মজুমদার বলেন, যে কোনো দুর্নীতি ও অনিয়মের বিরুদ্ধে আমরা ব্যবস্থা নিব। অভিযোগের বিষয়টি আমরা তদন্ত করে দেখব। তদন্তে সত্যতা পাওয়া গেলে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এদিকে সরজমিনে গেলে গত ২৩ এপ্রিল সুপারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভার কার্যবিবরণীতে ২০২৫ সনের দাখিল পরীক্ষার্থীদের কেন্দ্র ফিস খাতে নিয়মিত শিক্ষার্থীদের জন্য ৯হাজার টাকা ও অনিয়মিত শিক্ষার্থীতের জন্য ৪ হাজার টাকা ব্যয় উল্লেখ করা হয়। যা শিক্ষার্থীরা ফরম পূরণের সময় এ অর্থের চেয়েও অতিরিক্ত অর্থ দিয়ে ফরম পূরণের বিষয়টি শিক্ষার্থীরা নিশ্চিত করেন। এছাড়া ব্যবহারিক পরীক্ষা না দিয়েই নাম্বার দেয়ার কথা বলে ব্যবহারিক পরীক্ষার জন্য ৩০০টাকা করে নেয়ার অভিযোগও রয়েছে।