নিউজ ডেস্ক: দেশবরেণ্য শিক্ষাবিদ ও বাংলাদেশ মসজিদ মিশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি অধ্যক্ষ মাওলানা যাইনুল আবেদীনের সভাপতিত্বে রাজধানীতে মসজিদ ব্যবস্থাপনা ও নীতিমালা প্রণয়নের কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেক্রেটারি জেনারেল ড. মুহাম্মাদ খলিলুর রহমান মাদানীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানটিতে অর্ধশতাধিক প্রখ্যাত ইমাম, খতিব ও সাবেক আমলারা অংশগ্রহণ করেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যক্ষ মাওলানা যাইনুল আবেদীন বলেন, মসজিদ আল্লাহর ঘর ও জাতি নির্মাণে এর ভূমিকা অপরিসীম। কর্মশালায় উপস্থিতদের মতামত, অভিজ্ঞতা ও পরামর্শ সংগ্রহ করে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে সারাদেশে সরকারি, বেসরকারি, আধা-সরকারি এবং স্বায়ত্তশাসিত পর্যায়ের মসজিদ পরিচালনায় একটি অভিজ্ঞ ও যুগোপযোগী নীতিমালা প্রণয়ন করা হবে, যা ইতিহাসে স্থায়ী হবে—ইনশাআল্লাহ।
মসজিদ মিশন থেকে উপস্থাপিত ২২ পৃষ্ঠার খসড়া নীতিমালা প্রস্তাবে মূলত অন্তর্ভুক্ত রয়েছে — সকল মসজিদকে অভিন্ন নীতিমালার আওতায় আনা, মসজিদ পরিচালনা-কমিটিতে অনিয়মিত বা চিহ্নিত অপরাধীদের অন্তর্ভুক্তি বন্ধ, মসজিদ ইমাম-খতিব-মুয়াজ্জিনদের নিয়োগ-বিচ্ছেদ সংক্রান্ত পরিষ্কার নিয়মাবলী, পরিচালনা কমিটিতে ইমাম-খতিবদের গুরুত্বপূর্ণ অবস্থান নিশ্চিত করা, মসজিদ কমিটি ও ইমাম-খতিবদের মধ্যে গভীর সেতুবন্ধন গঠন, ইমাম-খতিবদের সম্মানী নির্ধারণ এবং মসজিদের উদ্যোগে নিয়মিত মাসিক ও সাপ্তাহিক ইসলামিক জলসা, কোরআন শিক্ষা ও বয়স্ক শিক্ষার কার্যক্রম পরিচালনা করার নির্দেশনা।
কর্মশালায় উপস্থিত দেশবরেণ্য আলেমদের মধ্যেকো– বাংলাদেশ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর শায়েখ আনম রশীদ আহমাদ মাদানী, খেলাফত আন্দোলনের মহাসচিব মুফতি ফখরুল ইসলাম, মাওলানা মোশাররফ হোসাইন, ড. মহিউদ্দিন আহমদ, মুফতি মিজানুর রহমান প্রমুখ। উপস্থিত আলেম-উলামা খসড়া নীতিমালার ওপর সুনির্দিষ্ট ও সুচিন্তিত পরামর্শ প্রদান করেন যা চূড়ান্তকরণের সময় অন্তর্ভুক্ত করা হবে।
মসজিদ মিশন জানিয়েছে, কর্মশালায় পাওয়া মতামত ও প্রস্তাবনা একত্র করে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে জাতীয় পর্যায়ে প্রণয়নযোগ্য নীতিমালা শেষ করা হবে—যা দেশের মসজিদ পরিচালনায় স্থায়ী ও সমন্বিত কাঠামো গড়ে তুলবে।
ঢাকানিউজ২৪/মহফ




