নিজস্ব প্রতিবেদক: খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের প্রধান উৎসব শুভ বড়দিন আগামীকাল বুধবার। এ উপলক্ষে জন নিরাপত্তার স্বার্থে প্রকার আতশবাজি, পটকা ফুটানো ও ফানুস ওড়ানো নিষিদ্ধ করেছে এবং এছাড়া উৎসবকে ঘিরে রাজধানীতে প্রয়োজনীয় সকল নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) এবং পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট।
মঙ্গলবার মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলীর স্বাক্ষরিত গণ বিজ্ঞপ্তিতে আগামী ২৫ ডিসেম্বর খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের বৃহত্তম ধর্মীয় অনুষ্ঠান শুভ বড়দিন উদযাপিত হবে। এই অনুষ্ঠান ভাবগম্ভীর ও উৎসবমুখর পরিবেশে উদযাপনের লক্ষ্যে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ অর্ডিন্যান্স অনুযায়ী ২৪ ডিসেম্বর রাত ১২টা থেকে ২৫ ডিসেম্বর রাত ১২টা পর্যন্ত ঢাকা মহানগর এলাকায় সকল প্রকার আতশবাজি, পটকা ফুটানো এবং ফানুস ওড়ানো নিষিদ্ধ করা হলো। পবিত্র বড়দিন অনুষ্ঠান সুষ্ঠু ও নিরাপদে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ সম্মানিত নগরবাসীর সার্বিক সহযোগিতা কামনা করছে।
সকালে মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম) মো. মাসুদ করিম রাজধানীর রমনার কাকরাইলে অবস্থিত সেন্ট মেরিস ক্যাথেড্রাল চার্চে বড়দিনের সার্বিক নিরাপত্তা মহড়া পরিদর্শনকালে বড়দিন উপলক্ষে ডিএমপির নিরাপত্তাব্যবস্থার কথা উল্লেখ করে বলেন, আগামীকাল ২৫ ডিসেম্বর খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীদের প্রধান উৎসব শুভ বড়দিন উপলক্ষে প্রয়োজনীয় সকল নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, নগরীর প্রতিটি চার্চে সাদা পোশাকে ও ইউনিফর্মে পর্যাপ্তসংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এ ছাড়া এই উৎসব ঘিরে সোয়াট, বোম্ব ডিসপোজাল টিমসহ স্পেশালাইজড ইউনিটগুলো দায়িত্ব পালন করবে। বর্তমানে সেনাবাহিনী আমাদের সঙ্গে আছে। তারাও মাঠপর্যায়ে কাজ করছে। সবার সহযোগিতায় আনন্দঘন পরিবেশে বড়দিন উদযাপন হবে।
নিরাপত্তা ঝুঁকি নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত আমাদের কাছে এমন কোনো তথ্য নেই, আমরা অত্যন্ত সতর্ক রয়েছি। প্রতিবারের মতো এবারও বড়দিন নির্বিঘ্নে ও আনন্দঘন পরিবেশে উদযাপন হবে। এর আগে সেন্ট মেরিস ক্যাথেড্রাল চার্চে ডিএমপির সিটিটিসির সোয়াট, বোম্ব ডিসপোজাল টিম ও কে-নাইন টিম উদ্ভূত জরুরি পরিস্থিতি কীভাবে সামাল দেওয়া হবে তার একটি মহড়া প্রদর্শন করে।
এ সময় ডিএমপির বিভিন্ন পদমর্যাদার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা, সেন্ট মেরিস ক্যাথেড্রাল চার্চের ফাদার এবং প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।



