ঢাকা  বুধবার, ৪ঠা অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ; ১৯শে নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ          সরকারি নিবন্ধন নং ৬৮

spot_img
Homeঅর্থনীতিমার্কিন কৃষকদের কাছ থেকে সরাসরি তুলা কেনার প্রস্তাব

মার্কিন কৃষকদের কাছ থেকে সরাসরি তুলা কেনার প্রস্তাব

নিউজ ডেস্ক: চলমান শুল্ক ইস্যুতে বিদেশে উৎপাদিত পণ্যে মার্কিন কাঁচামাল ব্যবহারের শর্ত আরোপের চিন্তাভাবনা করছে যুক্তরাষ্ট্র সরকার। এরই মধ্যে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্র দুই দফায় আলোচনা করেও শুল্ক ইস্যুতে কার্যকর কোনো সমাধানে পৌঁছতে পারেনি। এরই মাঝে মার্কিন কৃষকদের কাছ থেকে সরাসরি তুলা কেনার প্রস্তাব দিয়েছে আমেরিবাংলা করপোরেশন। এ বাণিজ্যিক জোট গঠিত হলে মধ্যস্বত্বভোগীদের পাশ কাটিয়ে তুলা সরবরাহ ব্যয় আরো কমবে এবং যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশের পোশাক রফতানি আরো সম্প্রসারিত হবে বলে মনে করছে প্লাটফর্মটি।

রাজধানীর একটি পাঁচ তারকা হোটেলে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় এ প্রস্তাব দেন আমেরিবাংলা করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) আসওয়ার রহমান।

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আমেরিবাংলা করপোরেশন যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা বৃদ্ধিতে কাজ করে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় চলমান শুল্ক ইস্যুতে বাংলাদেশী ব্যবসায়ীদের সঙ্গে উচ্চ পর্যায়ের কৌশলগত বাণিজ্য সভার আয়োজন করে প্লাটফর্মটি।

সভায় প্রস্তাবিত কাঠামোটিতে দুটি ধারণা উপস্থাপন করা হয়। প্রথমত, বাংলাদেশী পোশাক প্রস্তুতকারক ও রফতানিকারকরা মার্কিন কৃষকদের কাছ থেকে সরাসরি তুলা ক্রয় করবে। দ্বিতীয়ত, এর বিনিময়ে মার্কিন তুলা উৎপাদকরা যুক্তরাষ্ট্রের আইনপ্রণেতাদের সঙ্গে লবিং করে শুল্ক হ্রাস, রিবেট অথবা টার্গেটেড ছাড়ের মতো সুবিধাজনক নীতি গ্রহণে সহায়তা করবে, যা বাংলাদেশের পোশাক রফতানিতে বাধা কমাবে।

আসওয়ার রহমান বলেন, ‘কংগ্রেস সদস্য ও সিনেটরদের মাঝে মার্কিন তুলাচাষীদের যথেষ্ট রাজনৈতিক প্রভাব রয়েছে। এ প্রভাব কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশী পণ্যের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক হ্রাসে সহায়তা নেয়া সম্ভব হবে।’

প্রস্তাবিত কাঠামোয় পাঁচটি অংশীদারত্বমূলক উপাদানের কথা উল্লেখ করেন আসওয়ার। এগুলো হলো বাংলাদেশী মিলগুলোর জন্য সরাসরি মার্কিন কৃষকের কাছ থেকে তুলা কেনার সহজ প্লাটফর্ম, বাংলাদেশে শুল্কমুক্ত তুলা সংরক্ষণের জন্য বন্ডেড গুদাম স্থাপনের অনুমোদন, আমদানি করা তুলার বেশির ভাগ যেন মার্কিন কৃষকদের কাছ থেকেই আসে সে বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপ, বাংলাদেশী পণ্যের শুল্ক রেয়াতের জন্য মার্কিন কৃষকদের সরাসরি সুপারিশ, ‘মার্কিন তুলা দিয়ে তৈরি, বাংলাদেশে সেলাই’ এমন পোশাক প্রচারে যৌথ উদ্যোগ।

আগামী আগস্ট থেকেই বাছাইকৃত কিছু স্পিনিং ও কম্পোজিট মিল সরাসরি কেনাকাটার এ প্রক্রিয়া শুরু করবে বলে জানান আসওয়ার। তিনি জানান, এরই মধ্যে ছয়টি বাংলাদেশী প্রতিষ্ঠান চুক্তি চূড়ান্ত করার পথে রয়েছে। বাংলাদেশ তৈরি পোশাকের সবচেয়ে বড় ক্রেতা যুক্তরাষ্ট্র। দেশটিতে বার্ষিক প্রায় ১১ বিলিয়ন ডলারের পণ্য রফতানি করে বাংলাদেশ। তবে ট্রাম্প প্রশাসনের নতুন শুল্কনীতির কারণে হুমকির মুখে পড়েছে প্রায় ৮ শতাংশ হারে প্রবৃদ্ধি পাওয়া এ খাতটি।

অন্যদিকে, যুক্তরাষ্ট্র থেকে বার্ষিক প্রায় ২ বিলিয়ন ডলারের তুলা আমদানি করে বাংলাদেশ। এ আমদানি প্রক্রিয়ায় মধ্যস্বত্বভোগীদের পাশ কাটানোর আহ্বান জানিয়েছেন আসওয়ার রহমান।

সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন বিকেএমইএর পরিচালক মিনহাজুল হক, হা-মীম গ্রুপের পরিচালক সাজিদ আজাদ, যমুনা গ্রুপের হুরাইন ফ্যাব্রিকসের সিএমও আবদুল হাকিম, ট্রু গ্রুপের পরিচালক (বিপণন) তারেক মামুন চৌধুরী, ডিভাইন গ্রুপের ব্যবসা উন্নয়ন প্রধান খুরশিদ আলম, মারুবেনি গ্রুপের উপ-মহাব্যবস্থাপক মো. আরিফুজ্জামান প্রমুখ।

RELATED ARTICLES
- Advertisment -
Google search engine

Most Popular