![website logo](https://www.dhakanews24.com/webimages/logo.png)
নিউজ ডেস্ক : রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে রেস্টুরেন্টে অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনার অভিযোগে ৩৫ জনকে আটক করেছে পুলিশ। এর মধ্যে শুধু ধানমন্ডিতেই ১৫টি রেস্তোরাঁয় অনিয়ম ও অবব্যবস্থপনার অভিযোগে ১৯ জনকে আটক করা হয়েছে। এদের মধ্যে রেস্টুরেন্টের ব্যবস্থাপকসহ কর্মীরাও রযেছেন। এছাড়া অভিযানে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে সতর্ক করে আইনি ব্যবস্থাও নেয়া হয়েছে।
রোববার রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেন ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম) ড. খন্দকার মহিদ উদ্দিন।
আটককৃতরা ধানমন্ডির হোয়াইট হল রেস্তোরাঁর শামীম হোসেন তুহীন, ম্যারিটেজ ঢাকার খুরশীদ আলম, আদি কড়াই গোস্তের খালিদ হোসেন, দি লবি লাউঞ্জের মারুফ হোসেন, ক্যাপিট্যাল লাউঞ্জের রেদুয়ান আহম্মেদ, ইয়ামচা ডিস্ট্রিক্টের পুলক বিশ্বাস, ক্যাফে ডোলচের আশিক তালুকদার, এ্যারিস্টোক্যাটের সাব্বির হোসেন, ক্যাফে সাওপাওলোর শাহিন সারোয়ার, পার্ক অ্যান্ড স্ট্রাটের্র মিজানুর রহমান, খানাজের শরিফুল ইসলাম, ক্যাফে ইউফোরিয়ার আল আমিন, টুইন পার্কের আল আমীন মোস্তফা তালুকদার, স্টার দেশীর মেহেদী হাসান, ডিকে-১৩ এর রাসেল পালমা, বেস্টার প্রে-র আমিনুল ইসলাম রিফাত, চা-টাইপের সামিত আলম সিয়াম, চয়ন হালদার ও বিবিকিউ’র সুমিত রায়।
তিনি বলেন, রোববার রাত ১০টা পর্যন্ত ধানমন্ডিসহ বিভিন্ন রেস্টুরেন্টের ৩৫ কর্মীকে আটক করা হয়েছে। তাদের মধ্যে কয়েকটি রেস্তোরাঁর ব্যবস্থাপকও রয়েছেন। এছাড়া যেসব রেস্তোরাঁয় ছোটখাট অনিয়ম পাওয়া গেছে তাদের মুচলেকা রেখে সতর্ক করা হয়।
ড. খন্দকার মহিদ উদ্দিন বলেন, রাজধানীতে বিভিন্ন রেস্তোরাঁয় অভিযান চালানো হচ্ছে। প্রতিষ্ঠানের অনুমোদন আছে কিনা, নিরাপদ স্থানে গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবহার করছে কিনা, নিরাপত্তা ব্যবস্থা কতটুকু, অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্র এবং ঝুঁকির বিষয়টি দেখা হয়।
এদিকে পুলিশের মাঠ পর্যায়ের বিভিন্ন থানার একাধিক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, অভিযান অব্যাহত থাকবে। বিশেষ করে নিয়ম মেনে হোটেল-রেস্টুরেন্ট চালানো হচ্ছে কিনা সেই বিষয় অভিযানে গুরুত্ব পাচ্ছে। তবে আগে সেভাবে পুলিশের পক্ষ থেকে অভিযান চালানো হয়নি। এ কারণে মাঠপর্যায়ে পুলিশ সদস্যরা সতর্কতার সঙ্গে কাজ করছেন।
এর আগে, বৃহস্পতিবার রাতে রাজধানীর বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজে ভয়াবহ আগুনে এখন পর্যন্ত ৪৬ জন মারা গেছে। এর মধ্যে ৪৪ জনের লাশ তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। বাকি দুইজনের পরিচয় এখনো শনাক্ত হয়নি। সিআইডি এই দুইজনের ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করেছে।
আগুনের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ভবন ও রেস্টুরেন্ট সংশ্লিষ্ট চারজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ভবন মালিকসহ দায়ীদের বিরুদ্ধে রমনা থানায় মামলা হয়েছে।
ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন
আপনার মতামত লিখুন: