• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২০ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ; ০৩ মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • সরকারি নিবন্ধন নং ৬৮

Advertise your products here

banner image
website logo

শহীদ আবদুল জব্বার গ্রন্থাগারে পাঠক নেই 


ঢাকানিউজ২৪.কম ; প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ২০ ফেরুয়ারী, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ০৩:০৬ পিএম
শহীদ আবদুল জব্বার গ্রন্থাগারে পাঠক নেই 
শহীদ আবদুল জব্বার গ্রন্থাগার ও স্মৃতি জাদুঘর

গফরগাঁও  (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধিঃ গফরগাঁওয়ে ভাষা আন্দোলনের অন্যতম শহীদ আবদুল জব্বারের নামে ২০০৮ সালে  রাওনা ইউনিয়নের পাঁচুয়াতে প্রতিষ্ঠা হয় ভাষা শহীদ আবদুল জব্বার গ্রন্থাগার ও স্মৃতি জাদুঘর। এখানে শহীদের ছবি ছাড়া ব্যবহৃত কোনো স্মৃতি জাদুঘরের ভেতরে নেই। জেলা পরিষদের ব্যবস্থাপনায় স্থাপিত গণ গ্রন্থাগারটিতে চার হাজারের অধিক বই রয়েছে। 
গফরগাঁও উপজেলা সদর থেকে ৬ কিলোমিটার দূরে রাওনার পাঁচুয়া গ্রামে ভাষা শহীদ আব্দুল জব্বারের পৈত্রিক ভিটার পাশেই প্রতিষ্ঠিত হয়েছে ভাষা শহীদ আবদুল জব্বার গ্রন্থাগার ও স্মৃতি জাদুঘর। এখানে রয়েছে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার,শহীদ জব্বার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। সারা বছর সরব না থাকলেও ভাষার মাসে মিলন মেলায় পরিণত হয় পাঁচুয়ার শহীদ জব্বারের জন্মভিটা। এখানে সরকারি পর্যায়ে উদযাপিত হয় অমর একুশের অনুষ্ঠানমালা। 

তবে দু:খজনক বিষয় ৪ হাজারেরও বেশী সংগ্রহ নিয়ে সরকারি ব্যবস্থাপনায় গড়ে ওঠা গ্রন্থাগার ও জাদুঘর পাঠকশূণ্য অলস পড়ে আছে। বিশাল হল রুমে ফাঁকা পড়ে আছে চেয়ার-টেবিল। মাঝে মাঝে উঁকি দিয়ে যায় কিছু দর্শনার্থী।
ছুটির দিন বাদে সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত খোলা থাকে এই স্মৃতি গ্রন্থাগার ও জাদুঘর।

শহীদ জব্বারের জন্মভিটার পাশে ৪০ শতক জায়গার উপর নির্মিত ভাষা শহীদ আবদুল জব্বার গ্রন্থাগার ও স্মৃতি জাদুঘর । আলমারির থাকে শোভা পাচ্ছে  ৪ হাজার ১শ ৩০টি বই। রয়েছে অনেক মূল্যবান ও দুর্লভ বই। পুরো জাদুঘর গ্রন্থাগার হিসেবে ব্যবহৃত হয়। আগে দৈনিক পত্রিকা রাখা হলেও এখন আর দৈনিক পত্রিকার পাঠক আসেনা বলে রাখা হয়না।

গ্রন্থাগার দেখাশুনা ও পরিচালনার জন্য লাইব্রেরিয়ান, সহকারী লাইব্রেরিয়ান ও পিয়নসহ মোট ৫টি পদ থাকলেও এখানে কর্মরত আছেন একজন সহকারী লাইব্রেরিয়ান ও একজন কেয়ারটেকার।

লাইব্রেরিয়ান কায়সারুজ্জামান জানান, অনেক মূল্যবান বইয়ের সমাহার রয়েছে গ্রন্থাগারে। নিয়মিতভাবেই গ্রন্থাগার খোলা হয়। ভাষার মাসজুড়ে এখানে দর্শনার্থীা এলেও বই পড়ার জন্য পাঠক তেমন আসেনা।অন্য সময়ে তেমন কেউ আসেনা।’ 

সোমবার পাঠাগার ঘুরে দেখা গেল বেশ কিছু দর্শনার্থী আসছেন,তারা আশপাশ ঘুরে দেখলেও গ্রন্থাগারের ভেতরে এসে বই পড়ছেনা। জাদুঘরের সামনে,শহীদ মিনার কিংবা ভাষা শহীদ জব্বারের ম্যুরালের সামনে দাঁড়িয়ে ছবি তোলার পর লোকজন ফিরে যাচ্ছে। গ্রন্থাগার ও জাদুঘর দেখতে এসে হতাশা প্রকাশ করেন শিক্ষার্থীরা। 

গফরগাঁও সরকারি কলেজের একাদশ শেণির ছাত্র রাকিবুল আলম অভিযোগ করে বলেন,‘ভাষা শহীদ জব্বারের ব্যবহৃত কোনো জিনিসপত্র এখানে নেই। শহীদ জব্বারের উত্তরসূরীরা এখানে কেউ থাকেনা বলে তাদের কারো সাথে দেখা সাক্ষাতের সুযোগ নেই। আরেক শিক্ষার্থী নাহিদা আক্তার তোড়া বলেন,‘উপজেলা সদর থেকে সরাসরি যানবাহন না থাকায় আসা যাওয়া করতে পরিবহন সঙ্কটে পড়তে হয়।’

গফরগাঁও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম বলেন,‘আমি এখানে নতুন যোগদান করে ভাষা শহীদ আবদুল জব্বার গ্রন্থাগার ও স্মৃতি জাদুঘর পরিদর্শন করেছি।বইয়ের সংখ্যা ও মানের দিক থেকে বেশ সমৃদ্ধ একটি গ্রন্থাগার। দর্শনার্থী ও পাঠকদের জন্য আরো আকর্ষণীয় করতে উদ্যোগ নেওয়া হবে।

ঢাকানিউজ২৪.কম /

আরো পড়ুন

banner image
banner image