কক্সবাজার প্রতিনিধি : কক্সবাজারে রামুতে দুর্গম পাহাড়ে অস্ত্র তৈরির কারখানায় অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও অস্ত্র তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। এ সময় চারজন অস্ত্র তৈরির কারিগরকেও আটক করা করা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে। বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) ভোররাতে উপজেলার ঈদগড় ইউনিয়নের ছগিরাকাটা তুলাতলি পাহাড়ে ওই অস্ত্রের কারখানাটি বলে র্যাব জানিয়েছে। র্যাবের দাবি, অভিযানের বিষয় টের পেয়ে কারখানার মালিক ও অস্ত্র তৈরির প্রধান কারিগর মনিউল হক পালিয়ে গেছে।
আটককৃতরা হলেন,সাহাব উদ্দিন (৪০), জাফর আলম (৪১), লাল মিয়া (৫৮) ও মাঈন উদ্দিন (৪৩)। তারা ঈদগড় ইউনিয়নের বাসিন্দা। র্যাব-১৫ কক্সবাজার ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এইচএম সাজ্জাদ হোসেন বলেন, রামু উপজেলার ঈদগড়ের গহীন পাহাড়ে সংঘবদ্ধ একটি চক্র দীর্ঘদিন ধরে কারখানা গড়ে তুলে অস্ত্র তৈরি করে আসছিল। মঙ্গলবার বিকেল ৩টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অস্ত্রের কারখানার সন্ধানে র্যাবের একটি দল অভিযান শুরু করে। একপর্যায়ে বুধবার ভোররাত ৫টার দিকে ঈদগড় ইউনিয়নের ছগিরাকাটা তুলাতলি এলাকার পাহাড়ে অস্ত্র তৈরির কারখানাটির সন্ধান পায় র্যাব। এ সময় কারখানায় থাকা দুই কারিগরকে আটক করা হয়। পরে তাদের দেওয়া
তথ্যমতে, আরও দুই কারিগরকে তাঁদের বাড়ি থেকে আটক করা হয়। তিনি আরও বলেন, কারখানা থেকে দেশীয় তৈরি ১০টি বন্দুক, ১০টি রাইফেলের গুলি, ১২টি কার্তুজ এবং অস্ত্র তৈরির বিভিন্ন ধরনের সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়। আটককৃতরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে দীর্ঘদিন ধরে পাহাড়ে কারাখানা গড়ে তুলে অস্ত্র তৈরি করে বিভিন্ন জায়গার অপরাধীদের কাছে সরবরাহ করে আসছিল বলে স্বীকার করেছে।
র্যাবের এ অধিনায়ক বলেন, দুর্গম পাহাড়ি এলাকার এই কারখানাটি আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর নজরদারির বাইরে ছিল। আটককৃতরা আরও কয়েকজনের বিষয়ে তথ্য দিয়েছে। সেখানে আরও কয়েকটি অস্ত্র তৈরির কারখানা থাকার তথ্যও পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন র্যাবের এই কর্মকর্তা। তিনি জানান, আটকদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আইনে রামু থানায় মামলা দায়ের করার প্রস্তুতি চলছে।
ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন
আপনার মতামত লিখুন: