• ঢাকা
  • সোমবার, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ; ২৯ এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • সরকারি নিবন্ধন নং ৬৮

Advertise your products here

banner image
website logo

ইবিতে মধ্যরাতে চিকিৎসা কেন্দ্রে ভাংচুর বহিষ্কৃত ছাত্রলীগ কর্মীর


ঢাকানিউজ২৪.কম ; প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১১ জুলাই, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ০২:২৭ পিএম
ইবিতে মধ্যরাতে ভাংচুর বহিষ্কৃত ছাত্রলীগ কর্মীর
চিকিৎসা কেন্দ্র

আহমাদ গালিব, ইবি প্রতিনিধি: মধ্যরাতে শিক্ষার্থীর কথা মত এম্বুলেন্স না দেওয়ায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) চিকিৎসা কেন্দ্রে ভাংচুর করেছে ছাত্রলীগ কর্মী রেজওয়ান সিদ্দিকী কাব্য। সোমবার (১০ জুলাই) রাতে চিকিৎসা কেন্দ্রে সেবা দেয়ার পরে অবস্থানরত ডাক্তার এম্বুলেন্সসহ কুষ্টিয়া যেতে না দেওয়ায় জরুরী বিভাগে তিনি ভাংচুর করেন। এদিকে মাদকাসক্ত অবস্থায় সেবা নিতে এসেছেন বলে অভিযোগ মেডিকেলের প্রত্যক্ষদর্শী কর্মকর্তাদের।

এসময় চিকিৎসা কেন্দ্রে ভাংচুরের ঘটনায় তিন অভিযুক্ত শিক্ষার্থী হলেন আইন বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের রেজওয়ান সিদ্দিকী কাব্য, আইন বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের আতিক আরমান ও সালমান আজিজ। এবিষয়ে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. ওয়াহিদুল হাসান বলেন, ঘটনার সময় রাতে তাকে (কাব্য) দেখে আচরণ স্বাভাবিক মনে হচ্ছিলো না৷ তাছাড়া রূঢ় এবং ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচারণ করছিল।

জানা যায়, রাত ১০ টার দিকে কাব্য বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেলে চিকিৎসা গ্রহণ করতে আসলে কর্ত্যবরত চিকিৎসক ডা. ওয়াহিদুল হাসান মিল্টন তাকে ইনজেকশন দেন৷ এর আধঘন্টা পর কুষ্টিয়া পাঠানোর জন্য ডাক্তারের সাথে বাকবিতন্ডা শুরু করেন কাব্য। এরই মাঝে শিক্ষার্থীর বহিঃষ্কৃত হওয়ার বিষয়টি জানতে পারেন। এতে এম্বুলেন্সে পাঠানোর সিদ্ধান্তে একটু দেরি হচ্ছিল। এটা না মানতে পেরে টেবিল চেয়ার ভাংচুর করেন কাব্য। পরে ডাক্তার তাকে কুষ্টিয়া পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেন।

এদিকে এম্বুলেন্স ড্রাইভার মোহাম্মদ শাহিনুজ্জামান বলেন, আমাকে সে (কাব্য) ফোন দিয়ে গাড়ি নিয়ে যেতে বলে এবং পরিচয় জানতে চাইলে হুমকি দিতে থাকে। পরে খোজাখুজি করে তাকে ক্যাম্পাসের বাইরে বিএম ছাত্রাবাসের পাশে ঘাসে শুয়ে থাকা অবস্থায় পাই। এতে মেডিকেলে নিয়ে আসার পর ডাক্তার তাকে ইঞ্জেকশন দেন। কিন্ত সেবা দেয়ার পর কেন্দ্রেই বসে থাকেন ও কুষ্টিয়া যেতে চান। কিন্ত প্রক্টরিয়াল বডি অনুমতি না দেয়ায় আমি গাড়ি দিতে রাজি না হলে আমাকে শার্টের কলারে ধরে মারধর করেন।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী প্যাথলজি বিভাগের কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর বলেন, তিনি (কাব্য) এসে দেয়ালে লাথি দেয়া ও অস্বাভাবিক আচরণ করতে থাকেন। পরে অসুস্থতার জন্য ইনজেকশন দেয়া হলে কর্তব্যরত ডাক্তারকে কুষ্টিয়া পাঠাতে জোর করেন। এতে একটু সময় লাগায় তিনি ভাংচুর করতে থাকেন।

এবিষয়ে চিফ মেডিকেল অফিসার ডা. সিরাজুল ইসলাম বলেন, সকালে এসে জরুরি বিভাগে সকল কিছু ভাংচুর অবস্থায় পেয়েছি। পরে যোগাযোগ করে দ্রুত প্রশাসনকে জানিয়েছি। এতে উপ উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমান, প্রক্টর অধ্যাপক শাহাদাৎ হোসেন আজাদ এবং রেজিস্ট্রার ভারপ্রাপ্ত এইচ এম আলী হাসান পরিদর্শনে আসেন। গতকাল রাতের ঘটনায় কর্তব্যরত ডাক্তারসহ যারা দায়িত্বে ছিলেন তাদের বক্তব্য নিয়ে আজ লিখিত অভিযোগ দিব। তাছাড়া এখন পুলিশ তদন্ত করছে এবং এর একটি সুষ্ঠু বিচার আমি দাবি করছি।

উল্লেখ, বিশ্ববিদ্যালয়ের ফটকে ছিনতাই, ক্যাম্পাসে সশস্ত্র মহড়া ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সাংবাদিকদের হুমকি দেওয়ার ঘটনায় গত বছর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাময়িক বহিস্কার হয়েছিলেন কাব্য। টাকা ছিনতাই ও দেশীয় অস্ত্র বহনের অভিযোগে অভিযুক্ত কাব্যের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছিল। তার বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিকিউরিটি ইনচার্জ আব্দুস সালাম সেলিমের সাথে খারাপ আচরণ ও গলায় ছুরি ধরারও অভিযোগ রয়েছে।

ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন

আরো পড়ুন

banner image
banner image