নিউজ ডেস্ক : রোজার শেষের দিকে কেনাকাটার জন্য মানুষ বের হলে, তখন আবার যাত্রীর সংখ্যা বাড়বে বলেও আশা প্রকাশ করে এ সিদ্ধান্তের কথা জানায় তারা। জানা গেছে এরইমধ্যে রোজা উপলক্ষে কমেছে যাত্রী সংখ্যা।পবিত্র রমজান মাসে মেট্রোরেল ১৬ রোজা অর্থাৎ আগামী বুধবার (২৭ মার্চ) থেকে রাত ৯টার পরও চালু রাখার উদ্যোগ নিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল) কর্তৃপক্ষ সোমবার (২৫ মার্চ) এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ১৬তম রোজার দিন মতিঝিল থেকে সর্বশেষ ট্রেন ৯টা ৪০ মিনিটে এবং উত্তরা থেকে সর্বশেষ ট্রেন ৯টা ২০ মিনিটে ছাড়বে। বাড়তি সময়ে ১২ মিনিট পরপর ট্রেন চলাচল করবে। এতে চলাচলরত ট্রেনের সংখ্যা ১০টি বাড়বে। এখন দিনে ১৮৪ বার ট্রেন চলে করে। তখন চলবে ১৯৪ বার। পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিন মেট্রোরেল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
এর আগে ডিএমটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) এম এ এন সিদ্দিক সাংবাদিকদের বলেন, দিনে পাঁচ লাখ যাত্রী পরিবহন করা লক্ষ্য রয়েছে। এজন্য চালুর পর থেকেই যাত্রী চলাচলের ধরন নিয়ে বিশ্লেষণ করা হচ্ছে। প্রয়োজন পড়লে দুই ট্রেনের সময় কমিয়ে আনা হবে। নিজেদের আয়ে চলা হচ্ছে। সরকার থেকে কোনো ভর্তুকি নিচ্ছেন না। মেট্রোরেল পরিচালনা ও বিদ্যুতের খরচ ওঠানো গুরুত্বপূর্ণ। যাত্রী না বাড়িয়ে ট্রেনের সংখ্যা বাড়ালে লোকসান গুনতে হবে।
রোজা উপলক্ষে ইফতারের সময়ের আগে–পরে মেট্রোরেল ভ্রমণের সময় ২৫০ মিলিলিটার পরিমাণের পানির বোতল বহন করার অনুমতি দেয় কর্তৃপক্ষ। তবে পানি পানের পর বোতল অবশ্যই নির্দিষ্ট জায়গায় ফেলতে হবে। যেখানে-সেখানে ফেলা যাবে না। ট্রেনের ভেতর ও বাইরে পর্দায় (এলইডি স্ক্রিন) ইফতারের সময়সূচি প্রদর্শিত হচ্ছে। রমজান মাসে ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিট (এমআরটি) পাসে ৭৫ মিনিট পর্যন্ত ‘পেইড জোনে’ অবস্থান করার সুযোগ দেয়া হয়েছে। রমজান মাসে যাত্রীরা ক্লান্ত থাকবে। তাই তাদের কথা বিবেচনা করে পেইড জোনে কার্ড পাঞ্চ করে প্রবেশ করার পর থেকে ৭৫ মিনিট থাকার সুযোগ রাখা হয়েছে। রোজার আগে তা ৬০ মিনিট ছিল।
রোজার মধ্যে ১৯ মার্চ ইফতারের আগে মেট্রোরেলের চলাচল আধা ঘণ্টা বন্ধ থাকে। এতে ইফতারের আগে যাত্রীরা ভোগান্তিতে পড়ে। ওই দিন বিকেল ৪টা ৪৮ মিনিটে মতিঝিল থেকে ছেড়ে আসা উত্তরাগামী ট্রেনটি বাংলাদেশ সচিবালয় স্টেশনে এসে আটকে যায়। প্রায় আধাঘণ্টা পর চালু করা হয়। এর আগে গত ১৭ ফেব্রুয়ারি মেট্রোরেলের চলাচল এক ঘণ্টা বন্ধ ছিল। এ দুটি ঘটনার পেছনে যাত্রীদের দায়ী করছে কর্তৃপক্ষ। তাদের দাবি, যাত্রীরা দরজার মধ্যে দাঁড়ানোর কারণে দরজা বন্ধ করা যায়নি। এ জন্যে চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
ডিএমটিসিএলের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মেট্রোরেলের দরজা বন্ধের সময় স্বয়ংক্রিয়ভাবে তিনবার সতর্কবাণী প্রচার করা হয়। তিনবারের চেষ্টায় দরজা বন্ধ করা না গেলে বা দরজা না খুললে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এতে কমপক্ষে আধা ঘণ্টা লেগে যায়। এ ক্ষেত্রে দরজা লাগানো বা খোলার যন্ত্র নির্দিষ্ট স্থান থেকে এনে চালু করতে হয়। এখন দরজা লাগানো বা খোলার ব্যবস্থা দ্রুত করার জন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্র বিভিন্ন স্টেশনে রাখার পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে।
এমআরটি লাইন সিক্সে ধীরে ধীরে যুক্ত হচ্ছে রাজধানীর কমলাপুর। ভায়াডাক্টে যুক্ত হচ্ছে একেকটি পিআর। মতিঝিল থেকে শুরু এই কর্মযজ্ঞ। অন্যদিকে কমলাপুর প্রান্তেও স্টেশনের দুই প্রান্তের কলামের কাজ প্রায় শেষ। পুরো অংশের সার্বিক অগ্রগতি ৩২ ভাগ। মেট্রোরেল রাজধানীবাসীর যাতায়াতে এনেছে স্বস্তি। উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত প্রতিদিনের যাত্রায় যে স্বস্তি ফিরেছে নগরে, সেখানেই বাড়তি পাওনা কমলাপুর পর্যন্ত বর্ধিতাংশ। এবার চলছে প্রত্যাশা আর প্রপ্তির সেই নতুন সংযোগের কাজ।
ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন
আপনার মতামত লিখুন: