নিউজ ডেস্ক : প্রতিদিন বাড়ছে শীতের তীব্রতা । রাজধানীসহ পুরো দেশ কুয়াশাচ্ছন্নতা আর তীব্র শীতে কাঁপছে। গতকাল ঢাকাসহ চার বিভাগের ১৪ জেলায় বৃষ্টির পর তীব্র শীতের দাপট বেড়েছে।
গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির মতো ঝরছে কুয়াশা। হাড় হিম করা হিমেল বাতাসে বিপর্যস্ত জনজীবন। রাজধানীতে সকালে রোদের ঝিলিক থাকলেও দুপুরের পর আকাশ ঢেকে যায় মেঘে-কুয়াশায়। বিকালেই যেন সন্ধ্যার আঁধার নেমে আসে। এরপর সাড়ে ৫টা নাগাদ শুরু হয় গুঁড়ি গুিঁড় বৃষ্টি। হঠাত্ বৃষ্টির কারণে অফিসফেরত মানুষ যেমন ভোগান্তিতে পড়েন, তেমনি ফুটপাতের দোকানিরাও কবলিত হন দুর্ভোগে। গতকাল ১৮ জেলায় শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যায়।
আবহাওয়াবিদরা বলছেন, বৃষ্টির কারণে বৃহস্পতিবার থেকে তাপমাত্রা আরো কমতে পারে। আগামীকাল শুক্রবার থেকে ঠান্ডার প্রকোপ আরো বাড়বে। আজও বিভিন্ন জেলায় বৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে। জানুয়ারি মাসে কনকনে শীত কমার কোনো সম্ভাবনা নেই। ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত থাকতে পারে শীত ।
আবহাওয়াবিদরা বলছেন, শীতার্ত বাতাস আর কুয়াশার ভারী আবরণের কারণে ঠান্ডা জেঁকে বসেছে। কুয়াশার ভারী স্তর ভেদ করে সূর্যের কিরণ মিলছে না। রোদের উত্তাপ-স্বল্পতার কারণে দিনের বেলাতেও শীতের অনুভূতির তীব্রতায় কষ্ট বাড়ছে। অন্যদিকে আকাশে নিচুস্তরে মেঘের কারণে আটকে যাচ্ছে দৃষ্টিসীমা। দিন ও রাতের তাপমাত্রার পার্থক্য কমে যাওয়ায় শীত বেশি কামড় দিচ্ছে। উড়োজাহাজ থেকে শুরু করে নৌযান ও সড়কের যানবাহন চলাচলে বিঘ্ন ঘটেছে। দেশের হাসপাতালে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে।
ভারী কুয়াশায় বঙ্গবন্ধু সেতুতে ১০ কিলোমিটার যানজটের সৃষ্টি হয়। ঘন কুয়াশার কারণে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নামতে পারেনি পাঁচটি যাত্রীবাহী বিমান। এগুলো পরে চট্টগ্রাম ও কলকাতায় অবতরণ করে। এছাড়া একই সময়ে আরো ১৫-২০টি অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক ফ্লাইট গন্তব্যে যেতে পারিনি। পরে অবশ্য বেলা বেড়ে যাওয়ার পর থেকে উড়োজাহাজ চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।
ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন
আপনার মতামত লিখুন: