• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ; ২৫ এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • সরকারি নিবন্ধন নং ৬৮

Advertise your products here

banner image
website logo

নেপালের নতুন প্রেসিডেন্ট রাম চন্দ্র পাওদেল


ঢাকানিউজ২৪.কম ; প্রকাশিত: শুক্রবার, ১০ মার্চ, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ১০:৫৮ পিএম
প্রধানমন্ত্রী পুষ্প কমল দাহাল প্রচন্ডের নেতৃত্বাধীন সরকার
নেপালের নতুন প্রেসিডেন্ট রাম চন্দ্র পাওদেল

নিউজ ডেস্ক:  নেপালের পুরানো রাজনৈতিক দল নেপালি কংগ্রেসের জ্যেষ্ঠ নেতা রাম চন্দ্র পাওদেল দেশটির নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় পার্লামেন্ট ভবনে শুরু হয় প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ভোট গ্রহণ, চলে বিকেল ৩টা পর্যন্ত। ভোট গণনা শেষে রামচন্দ্র পাওদেলকে দেশের প্রেসিডেন্ট ঘোষণা করা হয়। তিনি দেশটির তৃতীয় প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলেন।

প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী এবং নেপালের পার্লামেন্টের বিরোধী দল কমিউনিস্ট পার্টি অব নেপাল-ইউনিফায়েড মার্কসিস্ট-লেনিনিস্টের (সিপিএন-ইউএমএল) ভাইস চেয়ারম্যান সুভাষচন্দ্র নেমবাংকে ১৮ হাজার ২৮৪ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করেছেন তিনি।

নেপালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোট দিতে পারেন কেবল দেশটির কেন্দ্রীয় পার্লামেন্ট ও প্রাদেশিক আইনসভার সদস্যরা। দেশটির কেন্দ্রীয় পার্লামেন্টের সদস্যসংখ্যা ৩১৩ এবং ৭টি প্রদেশের আইনসভাগুলোর সম্মিলিত সদস্যসংখ্যা ৫১৮ জন।

দেশটির সংবিধানে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের জন্য ৫২ হাজার ৭৮৬ ভোট বরাদ্দ করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় পার্লামেন্ট সদস্যদের একটি ভোটকে ধরা হয় ৭৯টি ভোট এবং প্রাদেশিক আইনসভার সদস্যদের একেকটি ভোটের মান ৪৮টি ভোটের সমান।

নেপালের প্রধানমন্ত্রী পুস্প কমল দহল ওরফে প্রচণ্ড প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বিরোধীদল থেকে একজন প্রার্থীকে সমর্থন দেওয়ার পরিকল্পনা করায় দেশটির উপ-প্রধানমন্ত্রীসহ চার মন্ত্রী পদত্যাগ করেন। এতে করে বিপাকে পড়ে ক্ষমতাসীন জোট।

জোট সরকারের শরিক দল ‘দ্য কমিউনিস্ট ইউনিফাইড মার্কসিস্ট লেনিনিস্ট’ (ইউএমএল)-এর প্রার্থীর পরিবর্তে রাম চন্দ্রকে সমর্থন দেওয়ার সিদ্ধান্ত জানান প্রচণ্ড। এর প্রতিবাদে পদত্যাগ করেন উপপ্রধানমন্ত্রী রাজেন্দ্র। তার সঙ্গে পদত্যাগ করেন নগর উন্নয়ন মন্ত্রী, আইন বিষয়ক মন্ত্রী এবং একজন জুনিয়র মন্ত্রীও।

নেপালের উপ-প্রধানমন্ত্রীসহ চার মন্ত্রীর পদত্যাগ, বিপাকে ক্ষমতাসীন জোট

এরপর ভাঙন দেখা দেয় নেপালের জোট সরকারে। চার মন্ত্রীর পদত্যাগের পর সরকার থেকে সরে দাঁড়ায় অন্যতম শরিক দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলির নেতৃত্বাধীন সিপিএন-ইউএমএল পার্টি। এক মাস ধরেই দেশটির রাজনীতিতে টালমাটাল অবস্থা চলছে। সব শেষ ওলির এই ঘোষণার মধ্য দিয়ে প্রধানমন্ত্রী পুষ্প কমল দাহাল প্রচন্ডের নেতৃত্বাধীন সরকার আরও চাপে পড়ে।

সরকারের ওপর থেকে সমর্থন প্রত্যাহারের আগে নেপালের কমিউনিস্ট পার্টির (ইউনিফাইড মার্কসবাদী-লেনিনবাদী, সিপিএন-ইউএমএল) শীর্ষ নেতাদের বৈঠক হয়। এর পরই রাজনৈতিক সমীকরণের পরিবর্তনের কথা উল্লেখ করে সরকারের ওপর সমর্থন প্রত্যাহারের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেওয়া হয়। ইউএমএলের ভাইস চেয়ারম্যান বিষ্ণু পাউডেল জানান, নেপালের প্রধানমন্ত্রীর ভিন্ন ধারায় কাজ শুরু এবং রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের দৌড়ে পরিবর্তিত রাজনৈতিক সমীকরণের কারণে সরকার থেকে সরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

বিরোধী দল নেপালি কংগ্রেসের শীর্ষ মাওবাদী নেতা রাম চন্দ্র পাউডেলকে রাষ্ট্রপতি পদের জন্য সম্প্রতি সমর্থনের সিদ্ধান্ত নেন প্রধানমন্ত্রী প্রচন্ড। এটি জানানোর পরই পরিস্থিতি ঘোলাটে হতে থাকে। এর জেরেই সরকার থেকে সরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় সাবেক প্রধানমন্ত্রী ওলির নেতৃত্বাধীন জোট। ৯ মার্চ দেশটিতে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হয়।

ঢাকানিউজ২৪.কম /

আরো পড়ুন

banner image
banner image