
নিউজ ডেস্ক : শিশু ও নারীদের মধ্যে জিঙ্কের ঘাটতি প্রকট হচ্ছে। দেশের প্রায় ৩২ দশমিক ৫ শতাংশ শিশুদের এবং ৪৫ দশমিক ৪০ শতাংশ নারীর মধ্যে জিঙ্কের ঘাটতি রয়েছে। ফলে জিঙ্কের অভাবেই শিশুরা খাটো এবং অপুষ্টিতে ভুগছে। চালের মাধ্যমে এই অপুষ্টি দূর করা সম্ভব। কারণ মোট চাহিদার প্রায় ৭০ শতাংশ পুষ্টি চালে পাওয়া সম্ভব। তাই জিঙ্ক সমৃদ্ধ চাল উৎপাদন বাড়ানোর পাশাপাশি জনপ্রিয় করতে হবে।
রোববার রাজধানীর একটি হোটেলে বায়োফর্টিফাইড জিঙ্ক রাইস সম্প্রসারণের মাধ্যমে অপুষ্টি দূরীকরণে সম্ভাবতা ও করণীয় শীর্ষক আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন। গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর ইম্প্রভড নিউট্রিশন (গেইন) বাংলাদেশ এ আলোচনা সভার আয়োজন করে।
প্রধান অতিথি কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, এক সময় আমরা জাপানিদের খাটো বলতাম। এখন আমরা খাটো হয়ে যাচ্ছি। জাতি হিসেবে এটা আমাদের জন্য দুঃখজনক। নারী ও শিশুদের মধ্যে জিঙ্কের ঘাটতি আতঙ্কজনক পর্যায়ে চলে গেছে। করোনার সময় আমরা বুঝেছি যে জিংক কতটা প্রয়োজনীয়। সে সময় জিঙ্কের ঘাটতি সকলের নজরে এসেছে। আমরা এতেদিন পরিকল্পিতভাবে ভিটামিন আয়রন আয়োডিন ঘাটতি নিয়ে কাজ করেছি। এখন জিঙ্কের ঘাটতি নিয়ে কাজ করতে চাই। ঘাটতি পূরণে সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে সুপরিকল্পিত টার্গেট নিতে হবে।
মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করে গেইন বাংলাদেশের পোর্টফলিও লিড ড. আশেক মাহফুজ বলেন, অপুষ্টির মধ্যে জিংক স্বল্পতা উল্লেখ্যযোগ্য। সমস্যা সমাধানে জিঙ্কসমৃদ্ধ চাল অন্যতম মাধ্যম হতে পারে। কৃষকদের এ ধান চাষে উৎসাহিতকরণে বিশেষ প্রণোদনা বা ব্যাংকঋণের ব্যবস্থা করতে হবে।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, খাদ্য মন্ত্রনালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. মমতাজ উদ্দিন এবং কৃষি মন্ত্রনালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. রুহুল আমিন তালুকদার, বাংলাদশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএডিসি) চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ সাজ্জাদ ও সদস্য পরিচালক মো. মোস্তাফিজুর রহমান, বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিনা) মহাপরিচালক মির্জা মোফাজ্জল ইসলাম বক্তব্য রাখেন।
ঢাকানিউজ২৪.কম / এম আর
আপনার মতামত লিখুন: