![website logo](https://www.dhakanews24.com/webimages/logo.png)
নিউজ ডেস্ক: রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন সতর্ক করে বলেছেন, নর্থ আটলান্টিক ট্রিটি অর্গানাইজেশনের (ন্যাটো) সদস্যরা যদি ইউক্রেন যুদ্ধে অস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জাম সরবরাহ অব্যাহত রাখে তবে ‘গুরুতর বিপদের দিকে যাবে।
সেন্ট পিটারসবার্গে আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক ফোরামে শুক্রবার (১৭ জুন) যোগ দিয়ে পুতিন বলেছেন, ‘ইউক্রেনে যুদ্ধ দীর্ঘায়িত করছে ন্যাটো। আমরা এখানে কী নিয়ে আলোচনা করছি? ইউক্রেনে ভারী অস্ত্র ঢুকছে। তারা এখনও ইউক্রেনকে যুদ্ধবিমান দেওয়ার চিন্তা-ভাবনা করছে।’
পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোর কয়েকটি দেশ ইউক্রেনকে ‘এফ-১৬’ যুদ্ধবিমান সরবরাহের পরিকল্পনা করছে। অবশ্য মিত্র ফ্রান্স জানিয়েছে, এই যুদ্ধবিমান চালানোর জন্য ইউক্রেনের সামরিক বাহিনীকে শুধু প্রশিক্ষণ দেবে তারা।
প্রচুর ট্যাংক দিয়ে ইউক্রেনবে সহায়তা করছে ব্রিটেন এবং জার্মানি। সম্প্রতি ব্রিটেনের চ্যালেঞ্জার-২, জার্মানির লেপার্ড-২ এবং যুক্তরাষ্ট্রের ব্র্যাডলি সামরিক যান ধ্বংসের দাবি করেছে মস্কো। গত এপ্রিলে ন্যাটোর মহাসচিব জেন্স স্টলটেনবার্গ জানিয়েছিলেন, জোটের অংশীদাররা শিগগিরই দেড় হাজারের বেশি সামরিক যান, ২৩০টি ট্যাংক ইউক্রেনকে দেবে। তারই অংশ হিসেবে এসব সামরিক সহায়তা পাঠাচ্ছে পশ্চিমা দেশগুলো।
এ বিষয়ে পিটারসবার্গে ভাষণে প্রেসিডেন্ট পুতিন বলেছেন, রণক্ষেত্রে লেপার্ডসহ অন্যান্য ট্যাংক ধ্বংস করে দিচ্ছে রাশিয়া। বিদেশের মাটিতে যুদ্ধে সরঞ্জামগুলো কীভাবে ব্যবহার হয় তা আমরা দেখবো। এসব আমাদের লক্ষ্যবস্তু হবে। এই সামরিক সংঘাতে ন্যাটোকে টানা গুরুতর বিপদ হবে।
অর্থনৈতিক ফোরামে তিনি আরও বলেছেন, ‘রাশিয়ার যে বিপুল পারমাণবিক অস্ত্র রয়েছে, তা নিজেদের নিরাপত্তার গ্যারান্টির জন্য। আমাদের কাছে ন্যাটোর তুলনায় মস্কোর কাছে অনেক বেশি অস্ত্র রয়েছে ।
আর্মস কন্ট্রোল অ্যাসোসিয়েশনের তথ্য অনুযায়ী, ২০২১ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত রাশিয়ার প্রায় ৬ হাজার ২৫০টি পারমাণবিক ওয়ারহেডের মোট মজুত ছিল। যুক্তরাষ্ট্রের কাছে ৫ হাজার ৫০০-এর বেশি রয়েছে। ন্যাটোর অন্য দুই সদস্য ব্রিটেন এবং ফ্রান্সের কাছে প্রায় ২২০ এবং ২৯০টি পারমাণবিক ওয়ারহেড রয়েছে।
ঢাকানিউজ২৪.কম /
আপনার মতামত লিখুন: