• ঢাকা
  • শনিবার, ১১ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ; ২৭ জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • সরকারি নিবন্ধন নং ৬৮

Advertise your products here

banner image
website logo

গণমুখী কর্মসূচির সুফল নির্বাচনে কংগ্রেস ঘরে দাড়িয়েছে


ঢাকানিউজ২৪.কম ; প্রকাশিত: শুক্রবার, ০৭ জুন, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ০৮:৪৭ পিএম
অস্বস্তির কারণে বিরোধী জোটকে ভোট দিয়েছে
নির্বাচনে কংগ্রেস ঘরে দাড়িয়েছে

নিউজ ডেস্ক:   ভারতে বিজেপি নেতৃত্বাধীন জোট টানা তৃতীয় দফায় ক্ষমতায় এলেও এবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির অবস্থান অনেকটাই নড়বড়ে। এর বিপরীতে নুয়ে পড়া কংগ্রেস জোট সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি বটে, তবে মোদির একক আধিপত্য ভেঙে দিতে পেরে এখন চরম উচ্ছ্বসিত তারা।

কীভাবে কংগ্রেস এভাবে পুনরুজ্জীবিত হলো– এমন প্রশ্নে বিশ্লেষকরা বলছেন, বেকারত্ব, জিনিসপত্রের দামবৃদ্ধির কারণে নাখোশ ছিল মানুষ। একই সঙ্গে রাহুল গান্ধীর ভারত জোড়ো ও ন্যায় যাত্রার মতো জনসম্পৃক্ত কর্মসূচির ইতিবাচক ফল পেয়েছে কংগ্রেস। গণতন্ত্রিক দেশ একদলীয় শাসন ও একনায়কত্বে পরিণত হতে যাচ্ছে– এই অস্বস্তির কারণে বিরোধী জোটকে ভোট দিয়েছে জনগণ। খবর বিবিসির।

মোদির নেতৃত্বে এনডিএ জোট ৫৪৩ আসনের মধ্যে ২৯০ আসন পেয়েছে। কিন্তু একক দল হিসেবে তাঁর ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় ২৭২ আসনে পৌঁছাতে পারেনি। ফলে জোটসঙ্গীদের ওপর নির্ভর করতে হচ্ছে। 

এ অবস্থা দেশটির বিরোধী কংগ্রেস ও ইন্ডিয়া জোটের নেতা রাহুল গান্ধীর জন্য দেশের রাজনীতিতে চমকপ্রদ উত্থান হিসেবে দেখা হচ্ছে। বিরোধী এ জোট ২৩০ আসন জিতেছে। যদিও সরকার গঠন করার মতো সংখ্যাগরিষ্ঠ আসন নেই তাদের।

কংগ্রেসের এমন প্রত্যাবর্তনের বিষয়ে রাজনৈতিক বিশ্লেষক রশিদ কিদওয়াই বলেছেন, ‘এটি অসাধারণ এক গল্প। নির্বাচনের ফল আশ্চর্যজনক। বিরোধীরা অপ্রত্যাশিতভাবে ভোট টানতে পেরেছে।’

এমন ফলাফলে কংগ্রেসের উচ্ছ্বাসের পটভূমি আছে। নির্বাচনের আগে বিরোধীদের পুরোপুরি বিশৃঙ্খল বলে মনে হয়েছিল। শুধু তাই নয়, কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইন্ডিয়া জোটে ভাঙন দেখা দেবে বলে ধারণা করা হয়েছিল। ওই অবস্থায় বিশ্লেষকরা প্রশ্নও তুলেছিলেন, মোদিকে চ্যালেঞ্জ করার জন্য ইন্ডিয়া জোটের শক্তি আছে কিনা। কারণ সেই সময় অপ্রতিরোধ্য ছিলেন মোদি।

নির্বাচন ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে বিরোধী দলের নেতাদের অনেক চড়াই-উতরাইয়ের মুখোমুখি হতে হয়েছে। সরকারি সংস্থার মাধ্যমে বিরোধী দল ও নেতাদের ওপর খড়গ চালানো হয়। জেলে পোড়া হয় দুই মুখ্যমন্ত্রীকেও।  

রাজনৈতিক বিশ্লেষক কিদওয়াই বলেছেন, বিরোধীদের এমন চমকপ্রদ ফলাফলের কৃতিত্ব আসলে রাহুল গান্ধীকে ঘিরে হয়েছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, গান্ধী পরিবারের পঞ্চম প্রজন্মের বংশধর রাহুল। সেই ঐতিহাসিক ভাবমূর্তি নিয়ে তিনি মাঠে নামলেও দেশের মূলধারার গণমাধ্যম তাঁকে ইতিবাচকভাবে নেয়নি। একই সঙ্গে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও তাঁকে টার্গেট করা হয়েছে। 

কিদওয়াই বলেন, তিনি এতসব প্রতিকূলতা কাটিয়ে উঠেছেন। বিগত বছরগুলোতে নিজের এবং তাঁর দলের সেই অবস্থান পরিবর্তনে কঠোর পরিশ্রম করেছেন। নিয়েছেন গণমুখী নানা কর্মসূচি।

এই বিশ্লেষকের মতে, রাহুলের ভারত জোড়ো যাত্রা এবং ন্যায় যাত্রার সময় লাখ লাখ মানুষের সঙ্গে তিনি দেখা করেছেন; যা তাঁর মর্যাদা ও ব্যাপক সমর্থন বাড়িয়েছে।  

রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও লেখক অজয় বোস বলেছেন, বিজেপি কিছুটা অহংকারী এবং আত্মতুষ্টিতে ভুগেছে।ভারতে প্রতিযোগিতামূলক গণতন্ত্রের ইতিহাস রয়েছে। দেশ একদলীয় শাসন ও একনায়কত্বে পরিণত হতে যাচ্ছে– এই অস্বস্তিও ছিল জনগণের মধ্যে। 

অযোধ্যায় বাবরি মসজিদের স্থানে নতুন রাম মন্দির নির্মাণকে বিজেপি তুরুপের তাস মনে করেছিল। কিন্তু দেখা গেল, যেখানে মন্দিরটি অবস্থিত– সেই ফৈজাবাদ কেন্দ্রেই বিজেপির আসনটি হাতছাড়া হয়ে গেছে এবার।

সেসঙ্গে ছিল মানুষে বেকারত্ব, খাদ্য ও জ্বালানির দাম বৃদ্ধি এবং সেনাবাহিনীর সৈন্য নিয়োগের পদ্ধতিতে পরিবর্তন নিয়ে ক্ষোভ। ফলে বিজেপিবিরোধী ভোটাররা কংগ্রেস জোটকে ভোট দিয়েছেন।  

ঢাকানিউজ২৪.কম / এইচ

আরো পড়ুন

banner image
banner image