নিউজ ডেস্ক : ২৬ মার্চ আজ সেই গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস রচনার সূচনা দিন। মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস। একাত্তরে মহান মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে বাঙালি জাতির ইতিহাসে সর্বশ্রেষ্ঠ অর্জন স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে দীর্ঘ আন্দোলন-সংগ্রামের স্ফুলিঙ্গে উজ্জীবিত সশস্ত্র জনযুদ্ধের মধ্য দিয়ে অর্জিত হয়েছে আমাদের মুক্তির ইতিহাস– স্বাধীনতার ইতিহাস। ত্যাগ-তিতিক্ষা এবং কোটি বাঙালির আত্মনিবেদন, ৩০ লাখ শহীদের আত্মদান, দুই লাখ মা-বোনের সম্ভ্রমহানি ও সংগ্রামের গৌরবগাথা, গণবীরত্বের ইতিহাস।
১৯৭১ সালের এই দিনটিতেই আজ থেকে ৫৩ বছর আগে ডাক এসেছিল দেশকে পাকিস্তানি হানাদারদের কবল থেকে মুক্ত করার।
আজ সরকারি ছুটি। দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাণী দিয়েছেন। পৃথক বাণীতে দেশবাসীকে স্বাধীনতার শুভেচ্ছা জানিয়েছেন তারা।
আনুষ্ঠানিক সূচনা ঘটেছিল বাঙালির সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের। পাকিস্তানি শোষকের হাত থেকে প্রিয় মাতৃভূমিকে স্বাধীন করতে রণাঙ্গনে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল বাংলার দামাল ছেলেরা। এরই ধারাবাহিকতায় ৯ মাস বহু ত্যাগ-তিতিক্ষা আর রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর ১৬ ডিসেম্বর অর্জিত হয়েছিল স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব। জাতি অর্জন করেছিল একটি দেশ, জাতীয় পতাকা ও জাতীয় সংগীত।
বঙ্গবন্ধুর অবর্তমানে মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনাকারী তাঁর সহকর্মী চার জাতীয় নেতা এবং ৯ মাসে অসামান্য আত্মত্যাগকারী বাংলার অকুতোভয় বীরসেনানী মুক্তিযোদ্ধাদের। পাশাপাশি গোটা দেশ আজ মেতে উঠবে স্বাধীনতার উৎসব আমেজে।
পলাশীর প্রান্তরে বাংলার স্বাধীনতার সূর্য অস্তমিত হওয়ার পর দীর্ঘ আন্দোলন-সংগ্রামের পথ বেয়ে ১৯৪৭ সালে উপমহাদেশের জনগণ পেয়েছিল পাকিস্তান ও ভারত নামের পৃথক দুটি দেশ। নতুন করে বাঙালিদের শোষণ ও পরাধীন রাখার জন্য পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর ষড়যন্ত্র শুরু হয়।
পাকিস্তানি হানাদারদের শোষণ-বঞ্চনার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ায় বাঙালি জাতি। স্বাধীনতার জন্য দৃঢ় প্রত্যয়ে দীপ্ত বাঙালির সামনে কোনো মারণাস্ত্রই বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারেনি। বাঙালি হয়ে ওঠে সংগ্রাম, আন্দোলন আর স্বাধিকারে জাগরিত মহান স্বাধীনতা অর্জনের অনন্য উজ্জ্বলতার প্রতীক। জাতিকে মুক্তির এই মহামন্ত্রে উজ্জীবিত করে ধাপে ধাপে স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের পথে এগিয়ে নিয়ে যান ইতিহাসের মহানায়ক, মহাবীর, বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন
আপনার মতামত লিখুন: