
মোহাম্মদ রুবেল : আগামী সংসদ নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে অশুভ শক্তি ষড়যন্ত্র করছে। এই শক্তিকে প্রতিহিত করতে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য অ্যাভোকেট কামরুল ইসলাম।
তিনি বলেন, এদেশের মানুষ আর তত্ত্বাবধায়ক সরকার চায়না। এদেশে আর কোন অনির্বাচিত সরকারের অধীনে নির্বাচন হবে না, হবে না। যেকোন রাজনৈতিক দলের সাথে অনেক ইস্যুতেই আলোচনা হতে পারে। কিন্তু তত্ত্ববধায়ক সরকার পদ্ধতিতে নিয়ে সংলাপের কোন সুযোগ নেই।
শুক্রবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউস্থ আওয়ামী লীগ দলীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৩ তম জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
এসময় তিনি অভিযোগ করে বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার নির্বাচনী ব্যবস্থাসহ সকল প্রতিষ্ঠানকে বিএনপি ধ্বংস করেছে। ওই সময় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টার চেয়ারে নিজেদের লোক বসাতে বিচারপতিদের বয়স বাড়িয়েছিল। অবশেষে ইয়াজ উদ্দিনকে প্রধান উপদেষ্টার চেয়ারে বসানো হলো। এমনকি ১ কোটি ভূয়া ভোটারেরও লিষ্ট বানানো হয়েছিলো। অবশেষে ৩ মাসের তত্ত্বাবধায় সরকার ২ বছরে গড়িয়ে ছিলো। এই ভাবে বিএনপি তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থাকে ধ্বংস করেছে।
বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে কামরুল বলেন, ওই সময়ের তত্ত্ববধায়ক সরকার আপনাদের নেতা তারেক জিয়াকে পিটিয়ে কমর ভেঙ্গে দিয়েছিল। শেষে মুচলেকা দিয়ে দেশছেড়ে চলে যেতে হয়েছে। খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দুর্নীতির যে মামলা তাও ওই সময়ের করা। অথচ আপনারা আবারও বেহায়ারমত অনির্বাচিত অর্থাৎ তত্ত্ববধায়ক সরকার আনতে চান।
বিএনপির প্রতি প্রশ্নরেখে এ প্রেসিডিয়াম সদস্য বলেন, আপনারা কি বলতে পারবেন, আবার যদি তত্ত্বাবধায়ক সরকার আসে, তার মেয়াদ কতদিন হবে, কত বছরের হবে?
২০১৪ সালে নির্বাচনে আসেন নাই, যা হওয়ার তাই হয়েছে। কিন্তু ২০১৮ সালে এসেছিলেন নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে। তাই দুই- চারটা আসন পেয়েছিলেন। আমি বিশ্বাসকরি শেষপর্যন্ত আগামীতেও আপনারা নির্বাচনে আসবেন কিন্তু প্রশ্নবিদ্ধ করতে।
আলোচনা সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। সভায় সভাপত্বি করেন, কৃষক নেতা জাহাঙ্গির আলম। সঞ্চালনায় ছিলেন, অ্যাডভোকেট উম্মে, কুলসুম স্মৃতি, সাধারণ সম্পাদক, কৃষক লীগ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, অ্যাডভোকেট নজিবুল্লাহ হিরু, আইন সম্পাদক, আওয়ামী লীগ, ফরিদুন্নাহার লাইলী, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক,আওয়ামী লীগ।
এছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন কৃষক লীগ দপ্তর সম্পাদক,রেজাউল করিম রেজা, সহ সভাপতি মো. আব্দুল লতিফ তারিন, মো. রেজাউল করিম হিরন,এম আকবর আলী চৌধুরীসহ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ।
ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন
আপনার মতামত লিখুন: