![website logo](https://www.dhakanews24.com/webimages/logo.png)
নিউজ ডেস্ক : মৌলভীবাজারে ঘরের চালে বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে পড়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে আহত শিশু সোনিয়া সুলতানাও (৮) মারা গেছে। এর আগে একই ঘটনায় তার মা-বাবা ও তিন ভাই-বোন মারা যায়।
বুধবার (২৭ মার্চ) ভোর ৪টার দিকে সোনিয়ার মৃত্যু হয়। সোনিয়ার বাবা-মা ও তিন ভাইবোনেরও বিদ্যুৎস্পৃষ্টে মৃত্যু হয়। পরিবারের সদস্যদের মধ্যে একমাত্র সেই বেঁচে ছিল।
সে স্থানীয় গোয়ালবাড়ী উত্তর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দ্বিতীয় শ্রেণিতে লেখাপড়া করতো।
সোনিয়ার মামা আব্দুল আজিজ জানান, সোনিয়াকে প্রথমে সিলেটের ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার শরীরের ২৫ শতাংশ পুড়ে গেছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। উন্নত চিকিৎসার জন্য মঙ্গলবার রাতে তাকে ঢাকায় নেওয়া হয়। সেখানে পৌঁছানোর কিছুক্ষণ পরই সে মারা যায়। তার লাশ নিয়ে বাড়ি নিয়ে যাচ্ছি।
আগের দিন মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে একই পরিবারের তিন শিশুসহ পাঁচজনের মৃত্যু হয়। মৃতরা হলেন ফয়েজুর রহমান (৫২), তার স্ত্রী সিরি বেগম (৪৫), তাদের মেয়ে সামিয়া বেগম (১৬) ও সাবিনা (১৩) এবং ছেলে সায়েম (১০)।
স্থানীয় ইউপি সদস্য এমদাদুল ইসলাম চৌধুরী মাসুম বলেন, মৃত ফয়জুর দিনমজুর ও বাক প্রতিবন্ধী ছিলেন।
জুড়ী থানার ওসি এসএম মইন উদ্দিন জানান, পুলিশ জানিয়েছে, আতঙ্কিত পরিবারের সদস্যরা ঘর থেকে বের হওয়ার চেষ্টা করলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন। সংবাদ পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিভিয়ে লাশ উদ্ধার করে।
মৌলভীবাজারের পল্লি বিদ্যুৎ সমিতির মহাব্যবস্থাপক এবিএম মিজানুর রহমান বলেন, বিদ্যুতের লাইন বসানোর পর তারের নিচে ঘর করেছিলেন ফয়জুর। তখন আমরা নিষেধ করেছিলাম কিন্তু উনার ঘর করার মতো কোনো জমি ছিল না।
ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন
আপনার মতামত লিখুন: