মনিরুজ্জামান মনির, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধিঃ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিশ্ব এন্টিমাইক্রোবিয়াল সচেতনতা সপ্তাহ উপলক্ষে জেলা প্রশাসন ও ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের উদ্যোগে র্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
দিবসটি উপলক্ষে বৃহস্পতিবার সকালে জেলা ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর ব্রাহ্মণবাড়িয়া কার্যালয়ের সামনে থেকে একটি র্যালি বের হয়ে র্যালিটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে গিয়ে আলোচনা সভায় মিলিত হয়। আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলম।
অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট হেলেনা পারভীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোল্লা মোহাম্মদ শাহীন, ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া কার্যালয়ের তত্ত্বাবধায়ক মোঃ শাহজালাল ভূইয়া, সদর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ সাখাওয়াত হোসেন, জেলা কেমিষ্ট এন্ড ড্রাগিষ্ট সমিতির সভাপতি আহাম্মদ হোসেন, সাধারণ সম্পাদক মোঃ আবু কাউছার প্রমুখ।
আলোচনা সভায় জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলম ফার্মাসিস্টদের উদ্দেশে বলেন, এন্টিবায়েটিক খুবই গুরুত্বপূর্ন ঔষধ। একজন ডাক্তার যখন এন্টিবায়েটিক লিখেন তখন সেটি কোর্স হিসেবে ৫/৭ দিনের জন্য লিখেন। সে ক্ষেত্রে রোগীরা ফার্মেসীতে গিয়ে ২ দিনের জন্য এন্টিবায়েটিক নিয়ে সেই কোর্স পূরণ করেনা। এতে করে রোগীরাই বেশি ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন। যারা ঔষধ ব্যবসার সাথে জড়িত তাদের দায়িত্ব থাকবে অব্যশই প্রেসক্রিপশন দেখে রোগীকে বলে দিতে হবে যাতে এন্টিবায়েটিকের কোর্সটি সম্পন্ন করেন।
প্রতিটি ঔষধের দোকানে প্রেসক্রিপশন রেজিষ্ট্রার রাখতে হবে। এন্টিবায়েটিক বিক্রির ক্ষেত্রে অব্যশই সেই রেজিষ্ট্রারে তথ্য থাকতে হবে। প্রেসক্রিপশন ছাড়া কোনো এন্টিবায়েটিক বিক্রি করা যাবে না। যারা বিক্রি করবেন তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
সভায় জেলা কেমিষ্ট এন্ড ড্রাগিষ্ট সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোঃ আবু কাউছার বলেন, এ ধরণের সচেতনতামূলক অনুষ্ঠান গ্রামাঞ্চলে বেশি বেশি করা প্রয়োজন। কারণ গ্রামের মানুষ এখনো অনেকে ঔষধ সম্পর্কে সঠিক ধারণা জানেন না। তিনি বলেন, প্রেসক্রিপশন ছাড়া ঔষধ বিক্রি না করার জন্য ব্যবসায়ীদের প্রতি আহবান জানান। সভায় বিভিন্ন উপজেলার কেমিষ্ট এন্ড ড্রাগিষ্ট সমিতির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন
আপনার মতামত লিখুন: