![website logo](https://www.dhakanews24.com/webimages/logo.png)
নিউজ ডেস্ক : চেয়ারম্যান, অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশ ও এমডি অ্যান্ড সিইও সেলিম আর. এফ. হোসেন বলেন, ব্র্যাক ব্যাংক আমরা সাম্প্রতিক সময়ে দেশের ব্যাংকগুলোতে তারল্য নিয়ে অনেক গুজব লক্ষ্য করছি, বিশেষ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। বলা হচ্ছে, আমাদের কাছে পর্যাপ্ত তারল্য নেই। গ্রাহকদের নগদ টাকা তুলতে সমস্যার মুখোমুখি হতে হচ্ছে বলে গুজব ছড়ানো হচ্ছে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের বরাত দিয়ে এসব নেতিবাচক খরব দেশ-বিদেশে বিভ্রান্তি ছড়িয়ে যাচ্ছে। বিশেষ করে বিদেশে আমাদের প্রবাসীদের মধ্যেও এই গুজবটি ছড়ানো হচ্ছে, যাতে তারা বৈধ চ্যানেলে রেমিট্যান্স পাঠাতে অনুৎসাহিত হন। এগুলো খুবই দুঃখজনক। এই গুজব প্রচারকারীরা আমাদের গ্রাহকদের, সমাজের এবং দেশের ক্ষতি করছে।
আমরা অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশ লিমিটেড (এবিবি)’র পক্ষ থেকে বলতে চাই, এসব তথাকথিত তথ্যের কোন ভিত্তি নেই এবং এগুলো অসত্য। বর্তমানে ব্যাংকগুলোতে পর্যাপ্ত অর্থ আছে। আমরা সম্মানিত গ্রাহকদের এই বলে আশ্বস্ত করতে চাই যে ব্যাংকগুলোতে তাদের অর্থ সম্পূর্ণ সুরক্ষিত আছে। এ নিয়ে দুশ্চিন্তার কোন কারণ নেই। আমরা গ্রাহকদের অনুরোধ করবো, এই গুজবে বিশ্বাস না করার জন্য।
বাংলাদেশ ব্যাংকও সবাইকে আশ্বস্ত করেছে। বর্তমানে ব্যাংকগুলোতে তারল্যের কোন ঘাটতি নেই। উপরন্তু ১ লাখ ৬০ হাজার কোটি টাকাও বেশী অতিরিক্ত তারল্য আছে। গত পঞ্চাশ বছরে আমাদের কেন্দ্রীয় ব্যাংক কোন ব্যাংক’কে ব্যর্থ হতে দিয়েছে এমন কোন নজির নেই। বাংলাদেশ ব্যাংক তো বলেই দিয়েছে, কোন ব্যাংকের কোন অসুবিধে হলে তারা এগিয়ে আসবে। অতীতেও আমরা দেখেছি ব্যাংকিং খাতে কোন সংকট হলে বাংলাদেশ ব্যাংক এগিয়ে এসেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নজরদারি ও দিকনির্দেশনায় ব্যাংকিং খাত যখন দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে প্রভাবকের ভূমিকা পালন করছে এবং সরকারের প্রণোদনার উপর ভর করে অর্থনীতি যখন মহামারী থেকে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরছে, তখন এ ধরনের অপপ্রচার চালানো দুঃখজনক।
সরকার ও বাংলাদেশ ব্যাংকের দিকনির্দেশনায় ও গ্রাহকদের আস্থায় ব্যাংকগুলো অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে বড় ভূমিকা রেখেছে এবং রাখবে বলে আমরা বিশ্বাস করি।
ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন
আপনার মতামত লিখুন: