নিউজ ডেস্ক: ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, ডিজিটাল রূপান্তরের ধারাবাহিকতায় প্রচলিত গণমাধ্যমের বিদ্যমান ধারা ভবিষ্যতে সম্পূর্ণরূপে বদলে যাবে। ডিজিটাল প্রযুক্তির ক্রমবিকাশে আগামী দিনগুলোতে কাগজের পত্রিকা থেকে তথ্য খুঁজে নেওয়ার অবস্থাও বিরাজ করবে না। এক সময়কার অডিও, প্রিন্ট ও টিভিভিত্তিক গণমাধ্যম এখন ইন্টারনেটভিত্তিক যোগাযোগ মাধ্যমের পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিস্তার লাভ করছে। এই অবস্থা সমাজ ও রাষ্ট্রের জন্যই নয় সংবাদপত্র সাংবাদিকদের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ।
সোমবার (১ মে) ঢাকায় জাতীয় প্রেসক্লাবে বৃহত্তর ময়মনসিংহ সাংবাদিক সমিতি-ঢাকা আয়োজিত বৃহত্তর ময়মনসিংহের প্রয়াত স্মরণীয় বরণীয় সাংবাদিক স্মরণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী স্বাধীনতার পর সাংবাদিকতার রূপান্তর ঘটেছে উল্লেখ করে বলেন, বঙ্গবন্ধু সাংবাদিকদের সম্মান করতেন। তিনি দেশে সাংবাদিকতার বিকাশে অভাবনীয় ভূমিকা রেখেছেন। স্বাধীনতা পরবর্তী সাংবাদিকদের মধ্যে মত ও পথের ভিন্নতা থাকলেও সাংবাদিকতার স্বার্থে সবাই ছিলেন আপসহীন।
অবিভক্ত ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাফা জব্বার বলেন, স্বাধীনতার পর মুক্তিযুদ্ধ থেকে ফিরে আমি যখন সাংবাদিকতা শুরু করি তখন ৫ বছরের সাংবাদিকতার অভিজ্ঞতা ছাড়া জাতীয় প্রেসক্লাবে তরুণ সাংবাদিকদের প্রবেশ একপ্রকার নিষিদ্ধ ছিলে। আমরা সেই নিয়ম পরিবর্তনে বাধ্য করি নতুন গঠনতন্ত্র তৈরি করে তরুণ সাংবাদিকদের প্রেসক্লাবকে ঠিকানা সৃষ্টি করতে সমর্থ হই।
তিনি বলেন, বৃহত্তর ময়মনসিংহের মাটিই কেবল উর্বর নয়, সাংবাদিকতা, শিল্প সাহিত্যে এই অঞ্চলের মানুষের অবদান অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। মন্ত্রী সাংবাদিক হিসেবে প্রয়াত আবুল কালাম শামসুদ্দীন, আবুল মনসুর আহমদ, মুজীবুর রহমান খাঁ, খোন্দকার আবদুল হামিদ, সৈয়দ নুরুদ্দীন, হাসান হাফিজুর রহমান, মীর নুরুল ইসলাম, আতাউস সামাদ, রাহাত খান, আসাফ উদ্দৌলা, বজলুর রহমান, ফকির আশরাফ, রফিক আজাদ, শফিউল হক প্রমুখের অবদান তুলে ধরেন।
সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেন, বাংলাদেশের সাংবাদিকতা জগতে বৃহত্তর ময়মনসিংহের সাংবাদিকদের ভূমিকা অবিস্মরণীয়। এ অঞ্চলে জন্মগ্রহণ করেছেন আবুল মনসুর আহমদ, হাসান হাফিজুর রহমান, রাহাত খান, রফিক আজাদের মতো দেশবরেণ্য সাংবাদিকরা।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল দৈনিক বাংলার বাণী পত্রিকায় তার সাংবাদিক জীবনের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে বলেন, সাংবাদিকতা থেকে আমি অনেক কিছু শিখেছি।
মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল বলেন, প্রয়াতদের নীতি আদর্শে নিজেদের তৈরি করতে পারলে জাতীয় পর্যায়ে সাংবাদিকদের অসাধারণ অবদান রাখার সুযোগ আছে।
পরে কেক কেটে ময়মনসিংহ জেলা প্রতিষ্ঠার ২৩৬তম বার্ষিকী উদযাপন করা হয় ।
বৃহত্তর ময়মনসিংহ সাংবাদিক সমিতি-ঢাকা‘র সভাপতি মোল্লা জালাল এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য দেন—বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ব বিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. লুৎফুল হাসান, সাংবাদিক নেতা কুদ্দুস আফ্রাদ, সাংবাদিক ফায়জুস সালেহীন, ইউসুফ শরীফ প্রমুখ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বৃহত্তর ময়মনসিংহ সাংবাদিক সমিতি-ঢাকা‘র সাধারণ সম্পাদক উদয় হাকিম।
ঢাকানিউজ২৪.কম /
আপনার মতামত লিখুন: