ডেস্ক রিপোর্টার : ভোলার শাহবাজপুরের টবগী-১ অনুসন্ধান কূপ থেকে দৈনিক ২ কোটি ঘনফুট গ্যাস পাওয়া যাবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন কোম্পানি (বাপেক্স)।
দেশে জ্বালানিসংকটের মুহূর্তে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ সাংবাদিকদের বিষয়টি জানিয়েছেন।
তিনি জানান, ভোলায় ইলিশা-১ ও ভোলা নর্থ-২ নামের দুটি কূপ জুনের মধ্যে খনন শুরু হবে। এ দুই কূপ থেকে ৫ কোটি ৫০ লাখ ঘনফুট গ্যাস মিলবে দেড় থেকে দুই বছরের মধ্যে। তিন থেকে চার বছরের মধ্যে এগুলো থেকে ৭০ থেকে ৮০ কোটি ঘনফুট গ্যাস পাওয়া যাবে।
নসরুল হামিদ বলেন, দেশীয় জ্বালানির উৎস অনুসন্ধানে কাজ করছে সরকার। এ লক্ষ্যে ২০২২ থেকে ২০২৫ সময়কালের মধ্যে পেট্রোবাংলা ৪৬টি অনুসন্ধান, উন্নয়ন ও ওয়ার্কওভার কূপ খননের পরিকল্পনা নিয়েছে। এরই অংশ হিসেবে বাপেক্সের তত্ত্বাবধানে গৃহীত প্রকল্পের আওতায় গ্যাজপ্রমের মাধ্যমে গত ১৯ আগস্ট ভোলার শাহবাজপুর গ্যাসক্ষেত্রের টবগী-১ অনুসন্ধান কূপটি প্রায় সাড়ে তিন হাজার মিটার গভীরতা পর্যন্ত খননের লক্ষ্যে কাজ শুরু করা হয়।
তিনি বলেন, ‘মহান আল্লাহতায়ালার রহমতে গত ২৯ সেপ্টেম্বর-২০২২ তারিখে ৩ হাজার ৫২৪ মিটার গভীরতায় খননকাজ সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে।’
প্রতিমন্ত্রী জানান, খনন-পরবর্তী কূপে সম্ভাব্য গ্যাস মজুত ও উৎপাদন হার নিরূপণে গৃহীত কারিগরি পরীক্ষামূলক টেস্টিং (ডিএসটি) কার্যক্রম ১ নভেম্বর শেষ হয়। সর্বশেষ পরিচালিত ডিএসটি কার্যক্রমে ৩২-৬৪ ইঞ্চি চোক সাইজ ব্যবহার করে ওই কূপ থেকে গড়ে দৈনিক ২০ মিলিয়ন (২ কোটি) ঘনফুট হারে গ্যাস ফ্লো টেস্ট করা হয়েছে, যা আশাব্যঞ্জক।
তিনি জানান, শাহবাজপুর গ্যাসফিল্ড থেকে টবগী-১ কূপ এলাকাটি আনুমানিক ৩.১৭ কিলোমিটার দূরে। ভূতাত্ত্বিক তথ্য এবং ডিএসটি রিপোর্ট অনুযায়ী এ অনুসন্ধান কূপে গ্যাসের সম্ভাব্য মজুত প্রায় ২৩৯ বিলিয়ন (২৩ হাজার ৯০০ কোটি) ঘনফুট।
দৈনিক গড়ে ২০ মিলিয়ন (২ কোটি) ঘনফুট হারে গ্যাস উৎপাদন বিবেচনায় এ কূপ থেকে ৩০-৩১ বছর গ্যাস উৎপাদন সম্ভব হবে।
নসরুল হামিদ আরও জানান, আগামী ৭ নভেম্বর নাগাদ কূপটি দ্রুত উৎপাদনক্ষম করার লক্ষ্যে এর কমপ্লিশন ও ক্রিসমাস ট্রি স্থাপন কার্যক্রম সম্পন্ন হবে।
ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন
আপনার মতামত লিখুন: