
নিউজ ডেস্ক : বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন ও বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের মধ্যে অলিম্পিক বাছাইয়ে দেশের নারী ফুটবলাররা খেলতে যেতে না পারার জের ধরে চলছে রেশারেশি। নাম উল্লেখ ছাড়াই পাপনকে খোঁচা দিয়ে সালাউদ্দিন বলেছিলেন, আমি সবাইকে দেখিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ফোন করতে পারব না। জবাবে পাপন বললেন, প্রধানমন্ত্রী ফোন করলে তিনি যেখানেই থাকেন না কেন, ফোন ধরবেনই।
সালাহউদ্দিন ও পাপনের মধ্যকার ইট-পাটকেল ছোঁড়াছুড়ির শুরুটা হয় বাফুফের কথিত টাকার সংকট থেকে। বাংলাদেশের মেয়েদের অলিম্পিক বাছাই খেলতে মিয়ানমার যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ২০ টাকা না থাকায় বাফুফে মেয়েদের সেখানে পাঠাতে পারেনি বলে জানিয়েছিলেন সালাউদ্দিন। এ অভাবের কথা প্রধানমন্ত্রীকে কেন জানাননি, সালাউদ্দিনকে গণমাধ্যমকর্মীরা এমন প্রশ্ন করলে উত্তরে পরোক্ষভাবে পাপনকে খোঁচা দিয়ে তিনি বলেন, ‘সবার পারসোনালিটি তো এক না। আমি তো পাবলিকলি দেখিয়ে ফোন করব না যে, এই দেখো, প্রধানমন্ত্রী ফোন করেছেন। আই অ্যাম নট দ্যাট। আমি এটা করতে পারি না। কারণ আমি ফুটবল ব্যাকগ্রাউন্ড থেকেই এসেছি। স্বাধীনতা থেকে শুরু করে আজ অবধি। আমি তো এই নাটক করতে পারব না। আমি প্রধানমন্ত্রীকে তার প্রাপ্য সম্মান দেব এবং সবাই তাকে সম্মান করে। কিন্তু আমি তো পাবলিকলি সেটা দেখাতে পারব না। স্যরি।
সালাহউদ্দিনের এ বক্তব্যের পাল্টা জবাব দিয়ে পাপন বলেন, ‘প্রথম কথা হচ্ছে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ফোন করলে আমি যেখানেই থাকি, যে অবস্থায় থাকি ফোন ধরবই। আমি জানি না এটা নিয়ে কেন বলেছে। এ নিয়ে আমি মন্তব্য করতে চাচ্ছি না। আমি বলছি এ কারণে-এটার সঙ্গে ওটার কী সম্পর্ক আমি জানি না। আমার মনে হয় সমস্যাটা আপনাদের, আপনারা এত বাজে প্রশ্ন করলেন কেন। আপনারা হিসাব চাচ্ছেন, টাকা কী করছে। এমন প্রশ্ন জিজ্ঞেস করতে যান কেন। এটা করলে তো উনার মাথা খারাপ হবে এটা সবাই জানেন। এমন প্রশ্ন করেন কেন। করলে মাথা ঠিক থাকবে?’
ব্যাকগ্রাউন্ড নিয়ে সালাহউদ্দিন সমালোচনা করায় পাল্টা সমালোচনা করেছেন পাপনও। তিনি বলেন, বলেন, সব জায়গাতেই সবরকমের জিনিস আছে। যেমন ধরেন ব্যাকগ্রাউন্ড। এখন সব ফুটবলার...ফুটবল ব্যাকগ্রাউন্ড মানেই কী নির্লজ্জ, বেহায়া, অহংকারী এটা বলা যাবে? তো? ব্যাকগ্রাউন্ডের সঙ্গে সম্পর্ক কী আমি জানি। এটা ব্যক্তির ব্যাপার। তবে আপনারা এসব প্রশ্ন না করাই ভালো। যে যত কথাই বলুক- আমার এগুলো নিয়ে প্রশ্নই উঠে না মন খারাপ হওয়ার, চিন্তা করার। কে বলছে সেটা আসলে বড় কথা। এ ধরনের লোক বললে কিছু যায় আসে না।
পাল্টা জবাবে বাফুফে পরিচালকদেরও সমালোচনা করেন পাপন। তিনি বলেন, অবিশ্বাস্য! বাফুফের পরিচালকরা ২০ লাখ টাকা দিতে পারে না? তাদের অনেক পরিচালকের প্রতিদিনের খরচই তো ২০ লাখ টাকা। আমার কাছে এটা আশ্চর্য লাগে। ওখানে হয়তো অন্য কিছু আছে! দুঃখজনক। দেশের জন্য এর চেয়ে বড় বদনাম আর হতে পারে না। দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। অর্থনৈতিকভাবে উন্নতি হচ্ছে। সারা পৃথিবী মেনে নিচ্ছে, সেখানে আমরা বলছি ২০ লাখ টাকার জন্য আমাদের দেশের মেয়েরা প্রিয় অলিম্পিক খেলতে যেতে পারে না। এর চেয়ে লজ্জার বিষয় আর হয় না। সে জন্য এ টপিক নিয়ে আমি কথাই বলতে চাই না। এদের (বাফুফে কর্মকর্তারা) সঙ্গে কথা বলার প্রশ্নই উঠে না।
ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন
আপনার মতামত লিখুন: