জালাল উদ্দিন মন্ডল, নান্দাইল প্রতিনিধি : ময়মনসিংহ জেলার নান্দাইল মডেল থানায় ভাগনীকে ধর্ষণ ও মারপিট করার অপরাধে মামা ও নানার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। থানা পুলিশ ১০ মার্চ নানা আঃ রশিদ (৬৫)কে গ্রেফতার করে কোর্টহাজতে প্রেরন করেছেন।
মামলার বিবরনে জানা যায়, উপজেলা নান্দাইলের আচারগাঁও ইউনিয়নের আচারগাঁও সিংদই গ্রামের আঃ রশিদের মেয়ের দিকের কলেজ পড়োয়া এক নাতনী (২০) গত ১১ জুলাই আঃ রশিদের বাড়িতে বেড়াতে আসে। ঐদিন রাতের খাবার শেষে নাতনী নানার ঘরের একটি রুমে ঘুমাইয়া পড়ে। এমতবস্থায় শেষ রাতের দিকে মেয়েটির মামা জিয়াউর রহমান (২৮) কৌশলে রুমের ভিতরে প্রবেশ করে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষণ করে।
পরদিন সকালে ঘটনার বিষয় ধর্ষিতা তার মাকে মোবাইল ফোনে জানালে মা টাঙ্গাইলের ভুয়াপুর উপজেলার জগতপুর গ্রাম থেকে আচারগাঁওয়ের বাবা আঃ রশিদে বাড়িতে আসে। মেয়ের কাছ থেকে মা বিস্তারিত জেনে বাবা সহ নিকট আত্মীয়দের ঘটনার বিষয় জানায়।
ঘটনার বিষয়ে গন্যমান্য লোকদের মাধ্যমে সালিশ দরবারর করেন। সালিশ দরবারে সুবিচার না পেয়ে ধর্ষিতাকে তার খালা হাফছা খাতুনের কিশোরগঞ্জের বাসায় রেখে মা টাঙ্গাইল চলে আসেন।
কিশোরগঞ্জে থাকাবস্থায় ধর্ষিতাকে লম্পট মামা মোবাইল ফোনে ধারনকৃত নগ্ন ছবি ও ভিডিও ইন্টারনেটে ছেড়ে দেওয়ার হুমকি দেখিয়ে মেয়েটি বিভিন্ন জায়গায় বভিন্ন সময়ে ধর্ষণ করে। এক পর্যায়ে ধর্ষক মেয়েটিকে ভয়ভীতি দেখিয়ে ঢাকায় নিয়ে যায়। এবং ঢাকার বাড্ডায় একটি ভাড়া বাসায় আটকিয়ে রাখে। ধর্ষিতার বাবা মা বহু চেষ্টা করে মেয়ের ঠিকানা সংগ্রহ করে গত ২৮ ডিসেম্বর মেয়েকে তাদের টাঙ্গাইলের বাড়িতে নিয়ে আসেন। ধর্ষক ধর্ষিতার পরিবারের লোকদের মোবাইল ফোনে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়ায় যথাসময়ে ঘটনার বিষয়ে মামলা করতে পারেন নাই। বেশ কিছুদিন পর ধর্ষিতার মা মেয়েকে নিয়ে নান্দাইল মডেল থানায় এসে মামা ও নানার বিরুদ্ধে ধর্ষিতার মা বাদী হয়ে মামলা করেন। নান্দাইল মডেল থানার মামলা নং ১২ তাং ৯ / ৩/ ২০২৪ ধারা ধর্ষণ ও মারপিটের অপরাধ।
ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন
আপনার মতামত লিখুন: