নিউজ ডেস্ক : বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, চলতি মৌসুমেও দেশের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাত বড় চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে পারে। রমজান, সেচ মৌসুম এবং গরমের কারণে আগামী মাস থেকেই বাড়বে বিদ্যুৎ চাহিদা। চলতি মৌসুমে দৈনিক সর্বোচ্চ চাহিদা ১৭ হাজার মেগাওয়াট ছাড়ানোর পূর্বাভাস বিদ্যুৎ বিভাগের। বিদ্যুৎ সরবরাহের সক্ষমতা থাকলেও ভাবনার কারণ জ্বালানি ও ডলার সংস্থান।
বৈশ্বিক প্রতিকূল পরিস্থিতি, চলমান ডলার সংকট, পুঞ্জিভূত বকেয়া, গ্যাস-কয়লাসহ জ্বালানির ঘাটতি, এবং পায়রার মতো সবচেয়ে বড় ও নির্ভরযোগ্য কেন্দ্র বন্ধ থাকা; এমন সব টালটামাল অবস্থার কারণে দেশের বিদ্যুৎ খাতকে গত দুই বছরই ধুঁকতে হয়েছে। যার ফলে চরম লোডশেডিংয়ে নাকাল হন সব প্রান্তের গ্রাহক।
আবারও বছর ঘুরে যখন ঘনিয়ে আসছে গরম, তখন উঁকি দিচ্ছে সংকটের সংশয়। এবারও কি আগের তিক্ত অভিজ্ঞতা পাবেন ভোক্তারা? নাকি তুলনামূলক স্বস্তি পাবেন? ঘুরপাক খাচ্ছে এমনসব প্রশ্ন।
গরম, রমজান এবং সেচ মৌসুমের কারণে আগামী মাস থেকেই পাল্লা দিয়ে বাড়বে বিদ্যুতের চাহিদা। বিদ্যুৎ বিভাগের পূর্বাভাস, আগেরবারের তুলনায় প্রায় ২ হাজার মেগাওয়াট বেড়ে চলতি মৌসুমে বিদ্যুতের সর্বোচ্চ চাহিদা দাঁড়াতে পারে ১৭ হাজার ৮০০ মেগাওয়াট। গত মৌসুমে বিদ্যুতের চাহিদা ছিল ১৬ হাজার মেগাওয়াট।
১১ শতাংশের বেশি বিদ্যুৎ চাহিদা বাড়লেও, জ্বালানি সংস্থানে রাতারাতি বড় কোনো পরিবর্তন দৃশ্যমান নয়। এর ওপর আরেক ভাবনার কারণ ডলার নিয়ে টানাটানি। এবার সেচ মৌসুমে বিদ্যুৎ পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে প্রয়োজন ১ লাখ ৫৫ হাজার মেট্রিক টন ফার্নেস অয়েল, ১৫ হাজার ৬০০ মেট্রিক টন ডিজেল এবং দৈনিক কয়লার চাহিদা ৩০ হাজার টন। যার জন্য লাগবে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রার ছাড়।
এবার বিদ্যুৎ বিভাগের দৈনিক চাহিদা ১৫৪ থেকে ১৭৬ কোটি ঘনফুট গ্যাস। যেখানে গতবার বিদ্যুৎ খাতে ১১০ থেকে ১২৫ কোটি ঘনফুট গ্যাস জুগিয়েই হাঁপিয়ে যায় জ্বালানি বিভাগ। সে কারণেই এবার সংশ্লিষ্টদের চিন্তা।
ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন
আপনার মতামত লিখুন: